ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

খালেদা জিয়ার একটি পরিণতির অপেক্ষায় কি আন্দোলন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৫:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: যখনই বিএনপির আন্দোলন তীব্র হয় এবং বেগম খালেদা জিয়ার তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়, তখনই বেগম জিয়াকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন, এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তাহলে কি বিএনপিরই কেউ কেউ বিশেষ করে তারেক রহমান তার মাকে আন্দোলনের ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন? এই প্রশ্নটিই এখন বিএনপির মধ্যে বেশ জোরালোভাবে উত্থাপিত হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি এক দফা আন্দোলন ঘোষণা করেছে। এক দফা আদায়ের লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। তবে এক দফা দাবি আদায়ে যে ধরনের আগ্রাসী কর্মসূচি দেয়ার কথা সেটি করতে পারেনি বিএনপি। বরং বিদেশি প্রেসক্রিপশনেই আন্দোলন করছে বিএনপি। শুরুতে এই বিদেশি প্রেসক্রিপশন বিএনপির নেতাকর্মীদের আশাবাদী করে তুললেও সেই প্রেসক্রিপশন যেন এখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে বিএনপির এক দফা আন্দোলন। এ রকম বাস্তবতায় বেগম খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের ট্রাম্পকার্ড হিসেবে সামনে আনা হচ্ছে।

উল্লেখ্য যে, টানা ২৮ দিন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত কিছু দিন ধরে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হলেও চিকিৎসা কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে। কারণ তার যাবতীয় চিকিৎসার সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে’। এভারকেয়ার হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার যেকোনো চিকিৎসার ব্যাপারে প্রথমে সেটি লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত তারেক জিয়ার স্ত্রী ডা. জোবাইদাকে অবহিত করা হয়। তিনি সম্মতি দিলে পরে চিকিৎসকরা চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার। কারণ বাংলাদেশের সাথে লন্ডনের ব্যবধান প্রায় ৬ ঘণ্টা। এ রকম বাস্তবতায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে সেটি লন্ডনে অবহিত এবং সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসা বেশ সময় সাপেক্ষ। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা। তার মানে কি বিএনপি খালেদা জিয়ার একটি পরিণতির অপেক্ষা আন্দোলন করছে। তারা কি তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।’

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও তার চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্তে কেন লন্ডন থেকে আসছে সেটি নিয়েও কোনো কোনো মহল শঙ্কা প্রকাশ করছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আন্দোলনের ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন কিনা সেটি প্রশ্ন বারবার সামনে আসছে। কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, খালেদা জিয়াকে হয়তো বিএনপির আন্দোলনের ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা অনস্বীকার্য যে বিএনপিতে বেগম খালেদা জিয়া এখনো অদ্বিতীয় নেতা। সারাদেশে তার একটা বড় সমর্থক গোষ্ঠী রয়েছে’। সুতরাং এ রকম বাস্তবতায় বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে তারা বসে থাকবে না। কর্মীরা সেটা মেনে নেবে না। অর্থাৎ খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তায়। তখন বিএনপির আন্দোলন তুঙ্গে উঠবে। সরকারের পতন হবে। যদিও কেউ কেউ মনে করছেন যে, খালেদা জিয়ার ব্যাপারে সরকারের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। কারণ খালেদা জিয়া এখন শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত রেখে জামিনে আছেন এবং তিনি নিজ দায়িত্বে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু তার চিকিৎসার ব্যাপারে জিয়া পরিবারের উদাসীনতা একটি বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে। খালেদা জিয়া তারেক জিয়ার ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার হচ্ছেন কিনা সেটি বারবার সামনে আসছে। কারণ এর আগেও খালেদা জিয়ার মামলাগুলোর ব্যাপারে তার আইনজীবীরা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করতে চাইলে তারেকের হস্তক্ষেপের কারণে শেষ পর্যন্ত সেটা করা হয়নি।’ ফলে এখন কি তারেক জিয়া খালেদা জিয়ার অসুস্থতার একটি পরিণতির অপেক্ষায় আছেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

খালেদা জিয়ার একটি পরিণতির অপেক্ষায় কি আন্দোলন

আপডেট সময় : ১০:৪৫:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: যখনই বিএনপির আন্দোলন তীব্র হয় এবং বেগম খালেদা জিয়ার তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়, তখনই বেগম জিয়াকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন, এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তাহলে কি বিএনপিরই কেউ কেউ বিশেষ করে তারেক রহমান তার মাকে আন্দোলনের ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন? এই প্রশ্নটিই এখন বিএনপির মধ্যে বেশ জোরালোভাবে উত্থাপিত হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি এক দফা আন্দোলন ঘোষণা করেছে। এক দফা আদায়ের লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। তবে এক দফা দাবি আদায়ে যে ধরনের আগ্রাসী কর্মসূচি দেয়ার কথা সেটি করতে পারেনি বিএনপি। বরং বিদেশি প্রেসক্রিপশনেই আন্দোলন করছে বিএনপি। শুরুতে এই বিদেশি প্রেসক্রিপশন বিএনপির নেতাকর্মীদের আশাবাদী করে তুললেও সেই প্রেসক্রিপশন যেন এখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে বিএনপির এক দফা আন্দোলন। এ রকম বাস্তবতায় বেগম খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের ট্রাম্পকার্ড হিসেবে সামনে আনা হচ্ছে।

উল্লেখ্য যে, টানা ২৮ দিন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত কিছু দিন ধরে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হলেও চিকিৎসা কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে। কারণ তার যাবতীয় চিকিৎসার সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে’। এভারকেয়ার হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার যেকোনো চিকিৎসার ব্যাপারে প্রথমে সেটি লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত তারেক জিয়ার স্ত্রী ডা. জোবাইদাকে অবহিত করা হয়। তিনি সম্মতি দিলে পরে চিকিৎসকরা চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার। কারণ বাংলাদেশের সাথে লন্ডনের ব্যবধান প্রায় ৬ ঘণ্টা। এ রকম বাস্তবতায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে সেটি লন্ডনে অবহিত এবং সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসা বেশ সময় সাপেক্ষ। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা। তার মানে কি বিএনপি খালেদা জিয়ার একটি পরিণতির অপেক্ষা আন্দোলন করছে। তারা কি তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।’

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও তার চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্তে কেন লন্ডন থেকে আসছে সেটি নিয়েও কোনো কোনো মহল শঙ্কা প্রকাশ করছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আন্দোলনের ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন কিনা সেটি প্রশ্ন বারবার সামনে আসছে। কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, খালেদা জিয়াকে হয়তো বিএনপির আন্দোলনের ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা অনস্বীকার্য যে বিএনপিতে বেগম খালেদা জিয়া এখনো অদ্বিতীয় নেতা। সারাদেশে তার একটা বড় সমর্থক গোষ্ঠী রয়েছে’। সুতরাং এ রকম বাস্তবতায় বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে তারা বসে থাকবে না। কর্মীরা সেটা মেনে নেবে না। অর্থাৎ খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তায়। তখন বিএনপির আন্দোলন তুঙ্গে উঠবে। সরকারের পতন হবে। যদিও কেউ কেউ মনে করছেন যে, খালেদা জিয়ার ব্যাপারে সরকারের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। কারণ খালেদা জিয়া এখন শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত রেখে জামিনে আছেন এবং তিনি নিজ দায়িত্বে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু তার চিকিৎসার ব্যাপারে জিয়া পরিবারের উদাসীনতা একটি বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে। খালেদা জিয়া তারেক জিয়ার ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার হচ্ছেন কিনা সেটি বারবার সামনে আসছে। কারণ এর আগেও খালেদা জিয়ার মামলাগুলোর ব্যাপারে তার আইনজীবীরা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করতে চাইলে তারেকের হস্তক্ষেপের কারণে শেষ পর্যন্ত সেটা করা হয়নি।’ ফলে এখন কি তারেক জিয়া খালেদা জিয়ার অসুস্থতার একটি পরিণতির অপেক্ষায় আছেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।