ঢাকা ০১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপিত 

তিস্তার জল কি গড়াল, খোঁজ নেবেন হাসিনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও মোদীর বৈঠকে কি কি বিষয় উঠে আসতে পারে তা নিয়ে ‘তিস্তার জল কি গড়াল, খোঁজ নেবেন হাসিনা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা। পাঠকদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে সংবাদটি হুবুহু তুলে ধরা হল।’

দিল্লি সফরে এসে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় নিজের দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে উত্থাপন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মধ্যে থাকবে তিস্তার জলবণ্টনের বিষয়টিও।’ রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশসচিব মাসুদ বিন মোমেন এই কথা ঘোষণা করেন। মোমেন বলেন, “তিস্তার জলবণ্টনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই উত্থাপন করবেন। এ ছাড়াও আমাদের আরও কিছু অসুবিধা রয়েছে। আমাদের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। সেগুলির জলবণ্টনের প্রশ্নও রয়েছে।”

বকেয়া তিস্তা চুক্তি ছাড়া গঙ্গা-পদ্মার জলবণ্টন চুক্তি পুনর্নবীকরণ নিয়েও শেখ হাসিনা কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশসচিব। দু’দেশের মধ্যে ১৯৯৬-এ ৩০ বছরের জন্য যে চুক্তি হয়েছিল, ২০২৬-এ তা শেষ হচ্ছে। ৩০ বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নতুন চুক্তিতে কিছু অদলবদল চায় দু’দেশই। দিল্লিও মনে করে, এখন থেকে সেগুলি নিয়ে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে গেলে পুরনো চুক্তি শেষ হওয়া মাত্রই নতুন চুক্তি কার্যকর হতে পারবে। এর ফলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে না।’

বিদেশসচিব মোমেন জানিয়েছেন, ২০১১-য় নীতিগত সমঝোতার পরেও তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে দু’দেশের চুক্তি বকেয়া রয়ে গিয়েছে। শেখ হাসিনা গত কয়েক বছরের প্রতিটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনাতেই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছেন। ঠিক এক বছর আগে দিল্লি সফরে এসেছিলেন হাসিনা। সে সময়ে উভয় দেশের মধ্যে বয়ে যাওয়া নদীগুলির জলদূষণ মোকাবিলা এবং নাব্যতা বাড়ানোর জন্য একযোগে কাজ করার বিষয়ে সহমত হয়েছিল ভারত ও বাংলাদেশ।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শেখ হাসিনাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, দেশে রাজনৈতিক সহমত গড়ে দ্রুত তিস্তা চুক্তি রূপায়ণ করা হবে। সেপ্টেম্বরের ৮ তারিখ থেকে দিল্লি সফরে এসে হাসিনা জানতে চাইবেন, প্রতিশ্রুতি পালনের বিষয়টি কত দূর এগোল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

তিস্তার জল কি গড়াল, খোঁজ নেবেন হাসিনা

আপডেট সময় : ০৯:০৫:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও মোদীর বৈঠকে কি কি বিষয় উঠে আসতে পারে তা নিয়ে ‘তিস্তার জল কি গড়াল, খোঁজ নেবেন হাসিনা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা। পাঠকদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে সংবাদটি হুবুহু তুলে ধরা হল।’

দিল্লি সফরে এসে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় নিজের দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে উত্থাপন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মধ্যে থাকবে তিস্তার জলবণ্টনের বিষয়টিও।’ রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশসচিব মাসুদ বিন মোমেন এই কথা ঘোষণা করেন। মোমেন বলেন, “তিস্তার জলবণ্টনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই উত্থাপন করবেন। এ ছাড়াও আমাদের আরও কিছু অসুবিধা রয়েছে। আমাদের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। সেগুলির জলবণ্টনের প্রশ্নও রয়েছে।”

বকেয়া তিস্তা চুক্তি ছাড়া গঙ্গা-পদ্মার জলবণ্টন চুক্তি পুনর্নবীকরণ নিয়েও শেখ হাসিনা কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশসচিব। দু’দেশের মধ্যে ১৯৯৬-এ ৩০ বছরের জন্য যে চুক্তি হয়েছিল, ২০২৬-এ তা শেষ হচ্ছে। ৩০ বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নতুন চুক্তিতে কিছু অদলবদল চায় দু’দেশই। দিল্লিও মনে করে, এখন থেকে সেগুলি নিয়ে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে গেলে পুরনো চুক্তি শেষ হওয়া মাত্রই নতুন চুক্তি কার্যকর হতে পারবে। এর ফলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে না।’

বিদেশসচিব মোমেন জানিয়েছেন, ২০১১-য় নীতিগত সমঝোতার পরেও তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে দু’দেশের চুক্তি বকেয়া রয়ে গিয়েছে। শেখ হাসিনা গত কয়েক বছরের প্রতিটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনাতেই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছেন। ঠিক এক বছর আগে দিল্লি সফরে এসেছিলেন হাসিনা। সে সময়ে উভয় দেশের মধ্যে বয়ে যাওয়া নদীগুলির জলদূষণ মোকাবিলা এবং নাব্যতা বাড়ানোর জন্য একযোগে কাজ করার বিষয়ে সহমত হয়েছিল ভারত ও বাংলাদেশ।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শেখ হাসিনাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, দেশে রাজনৈতিক সহমত গড়ে দ্রুত তিস্তা চুক্তি রূপায়ণ করা হবে। সেপ্টেম্বরের ৮ তারিখ থেকে দিল্লি সফরে এসে হাসিনা জানতে চাইবেন, প্রতিশ্রুতি পালনের বিষয়টি কত দূর এগোল।