ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

চাটখিলে সাপের কামড়ে প্রাণ গেলো সরকারি কর্মচারীর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৭৮ বার পড়া হয়েছে

চাটখিল (নোয়াখালী) সংবাদদাতা: নোয়াখালীর চাটখিলে সাপের কামড়ে নূপুর কর্মকার (৩২) নামের এক যুবক মৃত্যু বরণ করেছেন। নিহত নূপুর উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের হরিকৃষ্ণপুর গ্রামের কর্মকার বাড়ির তুন্তল কর্মকারের কনিষ্ঠ সন্তান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মোবাইলে কথা বলা আবস্থায় নিজ বাড়ির আঙিনায় বিষধর সাপে কামড় দেয় নূপুররকে। তার বড় ভাই তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে আহত অবস্থায় স্থানীয় চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিষাক্ত সাপের কামড়ের ভ্যাকসিন না থাকায় তারা জেলা সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করে। কিন্তু সেখানেও সাপের কামড়ের এই ভ্যাকসিন প্রদানের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় রোগীকে পার্শ্ববর্তী জেলা কুমিল্লায় নেওয়ার জন্য পরমর্শ দেওয়া হয়। আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোর ৩ টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে কুমিল্লা নেওয়ার পথেই তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

নিহত নূপুর কর্মকারের সহপাঠী রুবেল বলেন, ‘নোয়াখালীর মতো এতো পুরাতন একটি জেলায় বিষধর সাপের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’

চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘রোগীর অবস্থা দেখে দ্রুততম সময়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমরা তাকে রেফার করে দেই। নোয়াখালী জেলাতে বিষধর সাপের ভ্যাকসিন দেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় তাকে কুমিল্লায় পাঠানো হয়।’ রোগী সাপের কামড়ের আকস্মিকতায় মানসিক বিপর্যস্ত ছিলেন বলেও তিনি জানান।

নূপুর কর্মকার ২০২২ সাল থেকে জেলা প্রশানের কর্মচারী হিসেবে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বদলকোট স্কুলে পড়ার সময় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত নূপুরের এই আকস্মিক মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছে না।

তিনি নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে এইএসসি এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে গণিত বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চাটখিলে সাপের কামড়ে প্রাণ গেলো সরকারি কর্মচারীর

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চাটখিল (নোয়াখালী) সংবাদদাতা: নোয়াখালীর চাটখিলে সাপের কামড়ে নূপুর কর্মকার (৩২) নামের এক যুবক মৃত্যু বরণ করেছেন। নিহত নূপুর উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের হরিকৃষ্ণপুর গ্রামের কর্মকার বাড়ির তুন্তল কর্মকারের কনিষ্ঠ সন্তান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মোবাইলে কথা বলা আবস্থায় নিজ বাড়ির আঙিনায় বিষধর সাপে কামড় দেয় নূপুররকে। তার বড় ভাই তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে আহত অবস্থায় স্থানীয় চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিষাক্ত সাপের কামড়ের ভ্যাকসিন না থাকায় তারা জেলা সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করে। কিন্তু সেখানেও সাপের কামড়ের এই ভ্যাকসিন প্রদানের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় রোগীকে পার্শ্ববর্তী জেলা কুমিল্লায় নেওয়ার জন্য পরমর্শ দেওয়া হয়। আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোর ৩ টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে কুমিল্লা নেওয়ার পথেই তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

নিহত নূপুর কর্মকারের সহপাঠী রুবেল বলেন, ‘নোয়াখালীর মতো এতো পুরাতন একটি জেলায় বিষধর সাপের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’

চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘রোগীর অবস্থা দেখে দ্রুততম সময়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমরা তাকে রেফার করে দেই। নোয়াখালী জেলাতে বিষধর সাপের ভ্যাকসিন দেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় তাকে কুমিল্লায় পাঠানো হয়।’ রোগী সাপের কামড়ের আকস্মিকতায় মানসিক বিপর্যস্ত ছিলেন বলেও তিনি জানান।

নূপুর কর্মকার ২০২২ সাল থেকে জেলা প্রশানের কর্মচারী হিসেবে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বদলকোট স্কুলে পড়ার সময় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত নূপুরের এই আকস্মিক মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছে না।

তিনি নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে এইএসসি এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে গণিত বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।