ঢাকা ০১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপিত 

পাঁচ কারণে জি-২০ সম্মেলন আসছেন না শি জিনপিং

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৩১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী সপ্তাহের শুরুতে ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় ১৮তম জি-২০ সম্মেলনে আসছেন না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিবৃতিতে সোমবার বিকেলে এই তথ্য জানিয়েছে। তবে তার এ সফরে না আসার পেছনে কোনো কারণ উল্লেখ করেনি চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শি’র এ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, আমি হতাশ…তবে আমি তার সাথে দেখা করব। যদিও ওই সময়ে তিনি শি’র সাথে দেখা হওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট করে করে কিছু জানাননি।

শি’র না আসার সম্ভাব্য পাঁচ কারণ

১. সম্প্রতি অরুণাচল, আকসাই চীন, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে নতুন করে ‘স্ট্যান্ডার্ড মানচিত্র’ প্রকাশ করেছে চীন। তবে চীনের এ মানচিত্রকে প্রত্যাখ্যান করে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। জি-২০ সম্মেলনের আগে এমন কর্মকাণ্ড উভয়ের মধ্যকার সম্পর্কের তিক্ততা আরও বাড়িয়েছে। এ ছাড়া সদ্য সমাপ্ত ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন’।

২. ভারত ও চীনে সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে সম্পর্ক ক্রমেই তিক্ততার দিকে যাচ্ছে। গত তিন বছর আগে লাদাখে ভারতের ২০ সেনাকে হত্যা করে চীন। এরপর থেকে সীমান্তে হাজার হাজার সৈন্য, গোলাবারুদ, ট্যাঙ্ক ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে দুই দেশ। এ নিয়ে উভয়ের মাঝে উত্তেজনা রয়েছে।’

৩. চীনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের বাণিজ্য ও কৌশলগত সম্পর্ক ক্রমেই বাড়ছে। যা নিয়ে চীনের উদ্বেগ রয়েছে। এ ছাড়া উভয় দেশ থেকে বিপরীত দেশের সাংবাদিকদের বহিষ্কারও করা হয়েছে।

৪. অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক গবেষক ওয়েন টি সাং বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, শি’র পশ্চিমা বিশ্বের শক্তিশালী জোট জি-২০ সম্মেলন এড়িয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ব্রিকস সম্মেলনে তিনি বলেছেন, পূর্বরা জেগে উঠেছে আর পশ্চিমাদের পতন হচ্ছে’। এ ছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার তার সাথে সম্পর্কের অংশ হিসেবে তিনিও যোগ দিচ্ছেন না।

৫. সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির লি কুয়ান ইয়ু স্কুল অফ পাবলিক পলিসির সহযোগী অধ্যাপক আলফ্রেড উ বলেন, শি বর্তমানে দেশীয় ইস্যুতে মনোযোগ বাড়াতে বিদেশ সফরে দ্বিধা করছেন। তার মূল খেয়াল এখন জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে। এজন্য তাকে দেশে থাকতে হচ্ছে। তার বদলে বিদেশি নেতারা তার সাথে দেখা করতে আসবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পাঁচ কারণে জি-২০ সম্মেলন আসছেন না শি জিনপিং

আপডেট সময় : ০৭:৪১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী সপ্তাহের শুরুতে ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় ১৮তম জি-২০ সম্মেলনে আসছেন না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিবৃতিতে সোমবার বিকেলে এই তথ্য জানিয়েছে। তবে তার এ সফরে না আসার পেছনে কোনো কারণ উল্লেখ করেনি চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শি’র এ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, আমি হতাশ…তবে আমি তার সাথে দেখা করব। যদিও ওই সময়ে তিনি শি’র সাথে দেখা হওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট করে করে কিছু জানাননি।

শি’র না আসার সম্ভাব্য পাঁচ কারণ

১. সম্প্রতি অরুণাচল, আকসাই চীন, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে নতুন করে ‘স্ট্যান্ডার্ড মানচিত্র’ প্রকাশ করেছে চীন। তবে চীনের এ মানচিত্রকে প্রত্যাখ্যান করে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। জি-২০ সম্মেলনের আগে এমন কর্মকাণ্ড উভয়ের মধ্যকার সম্পর্কের তিক্ততা আরও বাড়িয়েছে। এ ছাড়া সদ্য সমাপ্ত ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন’।

২. ভারত ও চীনে সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে সম্পর্ক ক্রমেই তিক্ততার দিকে যাচ্ছে। গত তিন বছর আগে লাদাখে ভারতের ২০ সেনাকে হত্যা করে চীন। এরপর থেকে সীমান্তে হাজার হাজার সৈন্য, গোলাবারুদ, ট্যাঙ্ক ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে দুই দেশ। এ নিয়ে উভয়ের মাঝে উত্তেজনা রয়েছে।’

৩. চীনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের বাণিজ্য ও কৌশলগত সম্পর্ক ক্রমেই বাড়ছে। যা নিয়ে চীনের উদ্বেগ রয়েছে। এ ছাড়া উভয় দেশ থেকে বিপরীত দেশের সাংবাদিকদের বহিষ্কারও করা হয়েছে।

৪. অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক গবেষক ওয়েন টি সাং বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, শি’র পশ্চিমা বিশ্বের শক্তিশালী জোট জি-২০ সম্মেলন এড়িয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ব্রিকস সম্মেলনে তিনি বলেছেন, পূর্বরা জেগে উঠেছে আর পশ্চিমাদের পতন হচ্ছে’। এ ছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার তার সাথে সম্পর্কের অংশ হিসেবে তিনিও যোগ দিচ্ছেন না।

৫. সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির লি কুয়ান ইয়ু স্কুল অফ পাবলিক পলিসির সহযোগী অধ্যাপক আলফ্রেড উ বলেন, শি বর্তমানে দেশীয় ইস্যুতে মনোযোগ বাড়াতে বিদেশ সফরে দ্বিধা করছেন। তার মূল খেয়াল এখন জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে। এজন্য তাকে দেশে থাকতে হচ্ছে। তার বদলে বিদেশি নেতারা তার সাথে দেখা করতে আসবেন।