ব্যবসায়ীর গুদামে মিলল ২০ মেট্রিক টন সরকারি চাল তথ্য ও ছবি নিতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীকে লাঞ্ছিত
- আপডেট সময় : ০৬:২৮:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৪ বার পড়া হয়েছে
পঞ্চগড় প্রতিবেদক: পঞ্চগড়ে এক ব্যবসায়ীর গুদামে মিলেছে ২০ মেট্রিক টন সরকারি চাল। বুধবার ( ০৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের আব্দুস সাত্তার নামের এক চাল ব্যবসায়ীর গুদামে ৫০ কেজির ৬৬৭টি চালের বস্তা পাওয়া যায়। পরে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যবসায়ীর গুদাম ও দোকানটি ঘিরে রাখে। এর মধ্যেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাট্রিজের সভাপতি আব্দুল হান্নান শেখ, ট্রেজারার আব্দুল সামাদ পুলক, পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা ও পঞ্চগড় সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আরেফিন ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে তারা ওই চাল ব্যবসায়ীর দেয়া কিছু কাগজপত্র দেখে কোন ব্যবস্থা না নিয়েই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এদিকে ওই ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও ছবি তোলার সময় আব্দুর রউফ নামে স্থানীয় এক গণমাধ্যেম কর্মীর উপর চড়াও হন চাল ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তারের চাচা শাহীন সহ কয়েকজন চাল ব্যবসায়ী। এ সময় তারা ওই গণমাধ্যম কর্মীকে লাঞ্ছিত করলেও নিরব ছিলো পুলিশ সদস্যরা।
ওই ব্যবসায়ী জানান, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার গৌতম ট্রেডার্স থেকে ২০ মেট্রিক টন চাল কিনেছেন তিনি। চালগুলো টিআর কাবিখার চাল এবং তার গুদামে খাদ্য বিভাগের লোগো ও লেখা সম্বলিত প্রতিটি বস্তায় ৫০ কেজি করে ৬৬৭ টি বস্তা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে খাদ্য বিভাগের লোগো ও লেখা সম্বলিত বস্তায় চাল বিক্রি অবৈধ হলেও খাদ্য বিভাগ কোন ব্যবস্থা না নিয়েই ওই ব্যবসায়ীকে চাল বিক্রির অনুমতি দিয়ে চলে যান।
চাল ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার বলেন, আমি নাটোর থেকে চালগুলো কিনেছি। বুধবার সকালে চালগুলো আড়তে আসে। এভাবে আমি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসা করছি। অনেকেই এভাবে কেনে এবং ব্যবসা করে। আমার সব কাগজপত্র ঠিক আছে। তাই খাদ্য বিভাগ ও পুলিশের কর্মকর্তারা কাগজপত্র যাচাই করে আমাকে বিক্রির অনুমতি দিয়ে চলে গেছে। আর আমরা কাউকে লাঞ্চিত করিনি।
নাটোরের গুরুদাসপুরের গৌতম ট্রেডার্সের মালিক গৌতম কুমার শীল বলেন, আমরা বিভিন্ন এলাকা থেকে সরকারি চাল কিনে বিক্রি করি। আমাদের কাছ থেকে সাত্তার ট্রেডার্স ৬৬৭ বস্তা চাল ক্রয় করেছে। তাদের কাছে চাল বিক্রির কাগজপত্র দেয়া হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আরেফিন বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি চালগুলো সরকারি। টিআর, জিআরও কাবিখার চাল। পরে ওই ব্যবসায়ীর চাল কেনারা কাগজপত্র যাচাই করে দেখা হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, আমরা কাগজপত্র যাচাই করে দেখেছি কাগজ ঠিক আছে। আপনারা আপনাদের মতো যাচাই করে দেখেন।
পঞ্চগড় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল হক খন্দকার বলেন, আমাদের গুদাম থেকে কোন চাল বেড়িয়ে গেলে আমাদের আর কোন দায় দায়িত্ব থাকেনা। কোন গুদামে সরকারি বস্তায় চাল পাওয়া গেলেও আমাদের দেখার কোন বিষয় নেই। চাইলেই যে কেউ সরকারী চাল কিনে বিক্রি করতে পারেন। অনেক মেম্বার চেয়ারম্যানও তা করেন।