ঢাকা ০৬:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আজ মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা: রাজশাহীতে দেবীর চরণে ভক্তের শ্রদ্ধা রাউজানে মন্ডপে মন্ডপে চলছে দূর্গাপূজা রায়গঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৫ জনকে কারাদন্ড টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট! 

৬ মাসে ইইউ এর কাছে অ্যাসাইলামের আবেদন জমা প্রায় ২১,০০০ বাংলাদেশীর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৫৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল: সাম্প্রতিক সময়ে ছয় মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) আশ্রয় চেয়েছে প্রায় ২১ হাজার বাংলাদেশি। আশ্রয় আবেদনকারীদের মধ্যে ছয় নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশিরা। চলতি ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের শেষ পর্যন্ত জোটের ২৭ সদস্য দেশ এবং সহযোগী সুইজারল্যান্ড ও নরওয়েতে আশ্রয়ের জন্য কতো আবেদন জমা পড়েছে তা প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইইউএএ)

ইইউএএ জানিয়েছে, এ বছরের প্রথম ছয় মাসে মোট আবেদন এসেছে ৫ লাখ ১৯ হাজার। এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। মোট আবেদনকারীদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ২০ হাজার ৯২৬ জন।

মঙ্গলবার নিজেদের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি।’

এই হারে আবেদন পড়তে থাকলে এ বছরের শেষ নাগাদ মোট আবেদনের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।। সিরিয়া যুদ্ধের কারণে ২০১৫-১৬ সালে সর্বশেষ এত বেশি আশ্রয় আবেদন পেয়েছিল ইইউ’।

২০১৫ সালের দিকে ইউরোপীয় দেশগুলো সাড়ে ১৩ লাখ আশ্রয় আবেদন পেয়েছিল। ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা ছিল সাড়ে ১২ লাখ। কিন্তু ২০১৭ সালে ইইউ তুরস্কের সঙ্গে অবৈধ সীমান্ত পারাপার রোধে চুক্তি করার পর আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা কমে আসে’।

২০২০-২১ সালে করোনাভাইরাস মহামারীর সময় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণেও আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম। তবে সেই সংখ্যা আবারও বাড়ছে।

ইইউএএ বলেছে, ২০২২ সালে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা একলাফে ৫৩ শতাংশ বেড়ে যায়। এ কারণে ইউরোপীয় দেশগুলো ‘চাপে পড়েছে’ বলে মনে করছে সংস্থাটি’।

বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনীয়দের বিশেষ সুরক্ষা সুবিধা দিচ্ছে ইইউ। এর মাধ্যমে অন্তত ৪০ লাখ ইউক্রেনীয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় পেয়েছেন। তাদের বসবাসের বন্দোবস্ত করতে গিয়েই চাপে পড়তে হচ্ছে দেশগুলোকে।

তবে এছাড়াও আবেদনকারীদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশই সিরীয় এবং আফগান নাগরিক রয়েছেন। এরপর রয়েছেন ভেনেজুয়েলা, তুরস্ক, কলম্বিয়া, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকরা।

সূত্র: ইইউএএ

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৬ মাসে ইইউ এর কাছে অ্যাসাইলামের আবেদন জমা প্রায় ২১,০০০ বাংলাদেশীর

আপডেট সময় : ০১:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলা পোর্টাল: সাম্প্রতিক সময়ে ছয় মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) আশ্রয় চেয়েছে প্রায় ২১ হাজার বাংলাদেশি। আশ্রয় আবেদনকারীদের মধ্যে ছয় নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশিরা। চলতি ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের শেষ পর্যন্ত জোটের ২৭ সদস্য দেশ এবং সহযোগী সুইজারল্যান্ড ও নরওয়েতে আশ্রয়ের জন্য কতো আবেদন জমা পড়েছে তা প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইইউএএ)

ইইউএএ জানিয়েছে, এ বছরের প্রথম ছয় মাসে মোট আবেদন এসেছে ৫ লাখ ১৯ হাজার। এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। মোট আবেদনকারীদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ২০ হাজার ৯২৬ জন।

মঙ্গলবার নিজেদের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি।’

এই হারে আবেদন পড়তে থাকলে এ বছরের শেষ নাগাদ মোট আবেদনের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।। সিরিয়া যুদ্ধের কারণে ২০১৫-১৬ সালে সর্বশেষ এত বেশি আশ্রয় আবেদন পেয়েছিল ইইউ’।

২০১৫ সালের দিকে ইউরোপীয় দেশগুলো সাড়ে ১৩ লাখ আশ্রয় আবেদন পেয়েছিল। ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা ছিল সাড়ে ১২ লাখ। কিন্তু ২০১৭ সালে ইইউ তুরস্কের সঙ্গে অবৈধ সীমান্ত পারাপার রোধে চুক্তি করার পর আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা কমে আসে’।

২০২০-২১ সালে করোনাভাইরাস মহামারীর সময় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণেও আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম। তবে সেই সংখ্যা আবারও বাড়ছে।

ইইউএএ বলেছে, ২০২২ সালে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা একলাফে ৫৩ শতাংশ বেড়ে যায়। এ কারণে ইউরোপীয় দেশগুলো ‘চাপে পড়েছে’ বলে মনে করছে সংস্থাটি’।

বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনীয়দের বিশেষ সুরক্ষা সুবিধা দিচ্ছে ইইউ। এর মাধ্যমে অন্তত ৪০ লাখ ইউক্রেনীয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় পেয়েছেন। তাদের বসবাসের বন্দোবস্ত করতে গিয়েই চাপে পড়তে হচ্ছে দেশগুলোকে।

তবে এছাড়াও আবেদনকারীদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশই সিরীয় এবং আফগান নাগরিক রয়েছেন। এরপর রয়েছেন ভেনেজুয়েলা, তুরস্ক, কলম্বিয়া, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকরা।

সূত্র: ইইউএএ