শেখ হাসিনার প্রশ্নে অনড় ভারত
- আপডেট সময় : ০৯:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৯১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। ভারতের এই সফর নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে। এছাড়াও জাপান, কানাডার রাষ্ট্র এবং সরকারপ্রধানদের সাথেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ হবে। এই ভারত সফরেই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের ভাগ্য এবং রূপকল্প চূড়ান্ত হবে বলে অনেকেই মনে করছেন’।
যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন এবং বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ বাংলাদেশেই নির্ধারিত হবে। তবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে দুটি দেশের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর একটি হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যটি হলো ভারত। আর এবার দুটি দেশ পরস্পর বিরোধী অবস্থান নিয়ে আছে বাংলাদেশের প্রশ্নে। তবে ভারত এখন সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে,তারা শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প দেখছেন না। এমনকি এই বার্তাটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে ইতিমধ্যে দিয়ে এসেছিলেন। আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকেও দুই সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলবেন বলে জানা গেছে’।
ভারত বাংলাদেশের ব্যাপারে তার অবস্থানে অনড় রয়েছে এবং এই অবস্থান থেকে ভারতের অবস্থান পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। ভারত মনে করে, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের পাঁচটি সুস্পষ্ট অবস্থান ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে’।
এক. কোনো অবস্থাতেই উগ্র, ধর্মান্ধ, মৌলবাদী কোনো রাজনৈতিক দল যেন ক্ষমতায় না আসে, সে ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে’।
দুই. বাংলাদেশে এমন কোনো সরকারের ক্ষমতায় আসা ঠিক না, যাতে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি আশ্রয়-প্রশ্রয় পায়।’
তিন. বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক গত একযুগে যে নতুন উচ্চতায় উঠেছে, সেই ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে।
চার. বাংলাদেশের নির্বাচন তার অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এই নির্বাচন নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের চাপ সৃষ্টি করা যাবে না। এবং সর্বশেষ…
পাঁচ. বাংলাদেশকে অবশ্যই চীনের বলয়মুক্ত রাখতে হবে। বাংলাদেশ যেন চীনের বলয়ে প্রবেশ না করে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। আর বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অব্যাহত চাপ প্রয়োগ করা হলে, সেখানে চীনই সুযোগ পাবে।’
মূলত, এই পাঁচটি বিষয় নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে ভারত কথা বলবে। ভারত মনে করে, গত পনেরো বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে এবং দুই দেশ তাদের দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলো সমাধানের ক্ষেত্রে একটি অভাবনীয় উন্নয়ন সাধন করেছে।
ভারত এটাও মনে করে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক উদ্যোগ এবং দিক নির্দেশনার কারণেই বিচ্ছিন্নতাবাদের উপদ্রব থেকে ভারত অনেকটাই মুক্ত হয়েছে এবং এই ধারাবাহিকতা ভারত কোনো অবস্থাতেই নষ্ট করতে দিতে চায় না। আর এই বার্তাগুলো বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে দেওয়া হবে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। এবারের জি-২০ সম্মেলনে ভারতের পক্ষ থেকে এই বার্তাগুলো জোরালোভাবেই দেওয়া হবে বলেই জানা গেছে।’