সিরাজগঞ্জ কাজীপুর অনলাইন জুয়ার এজেন্টসহ ০৬ জন গ্রেফতার
- আপডেট সময় : ০১:৫১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৬৯ বার পড়া হয়েছে
সেলিম রেজা স্টাফ রিপোর্ট: র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২) দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
০৬/০৯/২০২৩ খ্রিঃ ১২.০০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২’র সদর কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল সিরাজগঞ্জ কাজিপুর থানাধীন গোদাগাড়ী গাড়াবেড় গ্রামস্থ মৃত আশাদুল ইসলামের বসতবাড়ির পশ্চিম দুয়ারী টিনের ঘরের ভিতরে, অভিযান চালিয়ে অনুমোদনবিহীন/অবৈধ বিভিন্ন প্রকার ভার্চুয়াল বেটিং/ জুয়ার সাইট ক্যাসিনো পরিচালনাকারী একটি সংঘবদ্ধ দেশী অনলাইন জুয়ারীচক্রের এজেন্টসহ ০৬ জনকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও অনলাইন জুয়ার কাজে ব্যবহৃত ১৭ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীঃ ১। মোঃ রবিউল হাসান (২১), পিতা-মৃত আশাদুল ইসলাম, মাতা-মোছাম্মৎ রুপালী খাতুন ২। মোঃ ফেরদৌস আলী (২৭), ৩। মোঃ রাসেল রানা (২৩), উভয় পিতা-মোঃ সোলায়মান হোসেন, সর্বসাং-গোদাগাড়ী গাড়াবেড়, পোঃ শিমুলদাইড়, ৪। মোঃ রায়হান কবির (২৮), পিতা-মৃত মতিউর রহমান, মাতা-মোছাম্মৎ রেহেনা খাতুন, সাং-বিলচতল, পোঃ ঢেকিরিয়া বাজার, ইউনিয়ন-মাইজবাড়ী, ৫। মোঃ সুইট রেজা (২৬), পিতা-মোঃ হাছেন আলী, মাতা-মোছাঃ শিরিনা খাতুন, ৬। মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন (৩৬), পিতা-মৃত ইব্রাহিম হোসেন, মাতা-মোছাঃ হাজেরা খাতুন,ঊভয় সাং-মাইজবাড়ী, পোঃ মাইজবাড়ি, সর্বথানা-কাজিপুর জেলা-সিরাজগঞ্জ
প্রাথমিক সূত্রে জানা যায় যে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র অনলাইনে অনুমোদনবিহীন/অবৈধ ঘোষণাকৃত বিভিন্ন প্রকার ভার্চুয়াল বেটিং/ জুয়ার সাইট ক্যাসিনো, যেমন 1xbet, melbet, bet365,betWinner, linebet Ges movcash (1xbet) পরিচালনা করে আসছিল। উক্ত সাইটগুলো পরিচালনার লক্ষ্যে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে অবৈধ লেনদেন করাসহ অনলাইনে বিভিন্নভাবে দীর্ঘদিন ধরে অনুনোমোদিত e-transaction ব্যবসা করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে এই অনলাইনে ডলারের মাধ্যমে জুয়া খেলার জন্য উৎসাহিত করত। অনলাইনে বিভিন্ন বেটিং/জুয়ার সাইটের মাধ্যমে অনলাইন জুয়াড়ীদের ভার্চুয়াল কারেন্সী সরবরাহ করতো বিনিময়ে তারা বিভিন্ন স্বনামধন্য মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে অবৈধ টাকা লেনদেন করে আসছিল। ধারণা করা হচ্ছে প্রতি মাসে এই চক্র কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে আসছে।