নির্বাচনের আগে পাঁচ বিষয়ে মনোযোগ দেবে আওয়ামী লীগ
- আপডেট সময় : ০৭:২৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন নিয়ে যে আন্তর্জাতিক মেরুকরণ তা চূড়ান্ত হলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলছেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিবেন। সেখান থেকে ফিরে এসেই তিনি নির্বাচনের চূড়ান্ত কর্মপরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে এবং আওয়ামী লীগ নির্বাচনের পথে পথে যাত্রা শুরু করবে’।
আওয়ামী লীগের অন্তত দুই জন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করবে। যদিও নির্বাচন কমিশন বলেছে যে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তারা নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করতে চায়। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে ফিরে একাধিক বিষয়ে নজর দিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবং নির্বাচনে যেন জনগণের মধ্যে কোনো নেতিবাচক মনোভাব না থাকে সেই জন্য নির্বাচনের আগে পাঁচটি বিষয় আওয়ামী লীগ মনোযোগ দেবে। এর মধ্যে রয়েছে,
১. দ্রব্যমূল্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখা: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সফরের পর পরই প্রধানমন্ত্রী দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য নজর দিবেন। এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি সেল গঠন করা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নিজে বাজার পরিস্থিতি তদারকি করার নির্দেশনা দিবেন। এছাড়াও বাণিজ্যমন্ত্রীর ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে’।
২. অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করা: দেশে ডলার পরিস্থিতি এখন নাজুক অবস্থায় চলে গেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে গেছে। এছাড়াও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের যে প্রধান উপায় তার মধ্যে একটি প্রবাসী আয় সেই প্রবাসীও গত মাসে কমে গেছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী কিছু সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা দেবেন। আগামী দুই মাস যেন অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকে সেটি সরকারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই বিষয়টি সরকার আমলে নেবেন এবং নজরে রাখবেন’।
৩. আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অভিযান: আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা জামাতপন্থী হাইব্রিড অনুপ্রবেশকারী রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে এবং নির্বাচনের সময় তারা যেন কোনো অপকর্ম করতে না পারে সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা কাজ শুরু করেছেন। যারা এ ধরনের অনুপ্রবেশকারী তাদেরকে নজরদারির মধ্যে রাখা হবে। কারণ যে কোনো সময় তারা ষড়যন্ত্র করতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।’
৪. প্রশাসনে নজরদারি বাড়ানো: প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা সরকার বিরোধী বিএনপি-জামাতপন্থী এবং নানা রকম ষড়যন্ত্রকারীরা রয়েছে। যার প্রমাণ সাম্প্রতিক সময়ে পাওয়া গেছে। একজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এর মন্তব্যে সরকার বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। ড. ইউনূস নিয়ে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সরকারের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। এরকম পরিস্থিতিতে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় যারা রয়েছেন তাদের খোঁজ খবর নেওয়া হবে এবং প্রশাসনকে একটা স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে যেন প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কোনো ষড়যন্ত্রকারীরা কোনোরকম অপকর্ম করতে না পারে।:
৫. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক: এই সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়টিও নজরদারির মধ্যে রাখা হবে। কোনো অবস্থাতেই যেন কূটনৈতিক জটিলতার মধ্যে বাংলাদেশ না পরে এ বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। আর এই কর্মকান্ড গুলোর মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের নির্বাচনের অভিযাত্রা আ মসৃণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।