ঢাকা ০৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা গাজীপুরে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভিজিট  পালিত ছেলেকে হারানো ছেলের আসনে বসিয়েছি, সে রোহিঙ্গা নয়: আব্দু সালাম

বিএনপিতে কর্মীদের অসন্তোষ, আক্রান্ত হতে পারেন নেতারা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৬৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি আবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই কর্মসূচি হলো ঢাকা শহরে পদযাত্রা কর্মসূচি। এ নিয়ে পঞ্চম বারের মতো ঢাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি করলো বিএনপি। আর বারবার একই কর্মসূচি বিএনপির কর্মীরা মেনে নিতে পারছে না। যেদিন বিএনপির পক্ষ থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করেন, সেদিন বিএনপির কার্যালয়ে উপস্থিত কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বার বার এ ধরনের কর্মসূচি কেন দেওয়া হচ্ছে-এ নিয়ে প্রশ্ন করেন। কিন্তু বিএনপিতে কর্মীদের মধ্যে রুহুল কবির রিজভীর আলাদা একটা জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই কারণেই তারা এই বিষয়টি নিয়ে কোনো রকম উচ্চবাচ্য করেনি, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায় নি।’

বিএনপির একজন কর্মী বলছেন, এই কর্মসূচি যদি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষণা করতেন, তাহলে সাথে সাথে একটা বড় ধরনের অঘটন ঘটতো। আর এরকম বাস্তবতাতেই বিএনপির কর্মীদের মধ্যে শোনা যাচ্ছে ক্ষোভ বিক্ষোভ এবং অসন্তোষের কথাবার্তা। বিএনপির কর্মীরা যে কোনো সময় বিএনপির নেতাদেরকে আক্রমণ করতে পারেন, ঘেরাও করতে পারেন এমন গুঞ্জনও এখন বিএনপির কার্যালয়ে কান পাতলেই শোনা যায়।

বিএনপির একজন কর্মী, নয়াপল্টনের কার্যালয়ে বলছিলেন যে, তার বিরুদ্ধে নয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত তিন মাসে এই সমস্ত মামলা থেকে বাঁচার জন্য তিনি বাড়িতে থাকতে পারছেন না। তার বাড়িতে প্রায় পুলিশ হানা দিচ্ছে। এরকম অবস্থায় তিনি চান বিএনপি একটি বড় ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করুক। চূড়ান্ত কর্মসূচি করে বিষয়টি ফয়সালা করুক। যে কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে কোণঠাসা করা হবে তাহলে এই সমস্ত মামলা থেকে আপাত তাদের মুক্তি ঘটবে।

বিএনপির আরেকজন কর্মী বলছেন, বিএনপির নেতারা সবাই ‘পারচেজড’ হয়েছেন। তারা এই ধরনের ‘নিরামিষ কর্মসূচি’ ঘোষণা করছেন।’ এই সমস্ত কর্মসূচির ফলে আর যাই হোক না কেন সরকারের পতন হবে না বলেও তাদের মতামত। বিএনপির নেতারা বলছেন যে, তারা কর্মসূচি দিচ্ছেন ভেবে চিনতে। এখন বাংলাদেশে বিভিন্ন বিদেশি কূটনীতিকরা অবস্থান করছেন। আগামী ১০ তারিখ আসবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। আর এই সমস্ত কারণেই তারা বাধ্য হয়ে পদযাত্রার মতো কর্মসূচি দিচ্ছেন। তবে সামনের দিনগুলোতে তারা বড়ো ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছে। তবে কর্মীরা এ ধরনের বক্তব্য মানতে রাজি না। কর্মীরা মনে করছেন যে, আন্দোলন দিকভ্রান্ত, আন্দোলনের ব্যাপারে কোনো রকম নির্দেশনা নেই এবং এই রকম কর্মসূচি যদি দেওয়া হয় তাহলে পরে বিএনপিকে ছাড়াই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে। বিএনপির আম ছালা দুটোই যাবে’।

বিএনপির তৃণমূলের কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, গত বছর ডিসেম্বরে তাদের মধ্যে যে উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল সেটাতে এখন ভাটার টান। তারা এখন হতাশ হয়ে পড়ছেন’। বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন যে, এই সমস্ত কর্মসূচি করতে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে একাধিক মামলা হয়েছে। এই সমস্ত মামলার কারণে পুলিশ তাদেরকে হয়রানি করছে। আবার কর্মসূচি না থাকার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাপও তাদের ওপর বাড়ছে। তারা একদিকে ঘর থেকে বের হতে পারছে না, তার পরিবারের সদস্যরা নানা রকম সমস্যায় পড়ছে। অন্যদিকে এই ধরনের গদবাধা কর্মসূচির কারণে তারাও কোনো আলোর ঠিকানা পাচ্ছেন না। আর তাই বিএনপির কর্মীরা এখন নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ। এখন বিএনপির নেতারা নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে যান না। গেলেই তাদেরকে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে’। আর এই প্রশ্ন এড়ানোর জন্যই বিএনপির নেতারা এখন দলীয় কার্যালয় এড়িয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেশ কয়েকদিন দলীয় কার্যালয়ে যান না আর অন্য নেতারা তো দলীয় কার্যালয়ে এড়িয়ে যান। শুধুমাত্র রুহুল কবির রিজজী দলীয় কার্যালয়ে নিয়মিত বসছেন এবং তাকে দিয়েই কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিএনপিতে কর্মীদের অসন্তোষ, আক্রান্ত হতে পারেন নেতারা

আপডেট সময় : ০৬:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি আবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই কর্মসূচি হলো ঢাকা শহরে পদযাত্রা কর্মসূচি। এ নিয়ে পঞ্চম বারের মতো ঢাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি করলো বিএনপি। আর বারবার একই কর্মসূচি বিএনপির কর্মীরা মেনে নিতে পারছে না। যেদিন বিএনপির পক্ষ থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করেন, সেদিন বিএনপির কার্যালয়ে উপস্থিত কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বার বার এ ধরনের কর্মসূচি কেন দেওয়া হচ্ছে-এ নিয়ে প্রশ্ন করেন। কিন্তু বিএনপিতে কর্মীদের মধ্যে রুহুল কবির রিজভীর আলাদা একটা জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই কারণেই তারা এই বিষয়টি নিয়ে কোনো রকম উচ্চবাচ্য করেনি, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায় নি।’

বিএনপির একজন কর্মী বলছেন, এই কর্মসূচি যদি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষণা করতেন, তাহলে সাথে সাথে একটা বড় ধরনের অঘটন ঘটতো। আর এরকম বাস্তবতাতেই বিএনপির কর্মীদের মধ্যে শোনা যাচ্ছে ক্ষোভ বিক্ষোভ এবং অসন্তোষের কথাবার্তা। বিএনপির কর্মীরা যে কোনো সময় বিএনপির নেতাদেরকে আক্রমণ করতে পারেন, ঘেরাও করতে পারেন এমন গুঞ্জনও এখন বিএনপির কার্যালয়ে কান পাতলেই শোনা যায়।

বিএনপির একজন কর্মী, নয়াপল্টনের কার্যালয়ে বলছিলেন যে, তার বিরুদ্ধে নয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত তিন মাসে এই সমস্ত মামলা থেকে বাঁচার জন্য তিনি বাড়িতে থাকতে পারছেন না। তার বাড়িতে প্রায় পুলিশ হানা দিচ্ছে। এরকম অবস্থায় তিনি চান বিএনপি একটি বড় ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করুক। চূড়ান্ত কর্মসূচি করে বিষয়টি ফয়সালা করুক। যে কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে কোণঠাসা করা হবে তাহলে এই সমস্ত মামলা থেকে আপাত তাদের মুক্তি ঘটবে।

বিএনপির আরেকজন কর্মী বলছেন, বিএনপির নেতারা সবাই ‘পারচেজড’ হয়েছেন। তারা এই ধরনের ‘নিরামিষ কর্মসূচি’ ঘোষণা করছেন।’ এই সমস্ত কর্মসূচির ফলে আর যাই হোক না কেন সরকারের পতন হবে না বলেও তাদের মতামত। বিএনপির নেতারা বলছেন যে, তারা কর্মসূচি দিচ্ছেন ভেবে চিনতে। এখন বাংলাদেশে বিভিন্ন বিদেশি কূটনীতিকরা অবস্থান করছেন। আগামী ১০ তারিখ আসবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। আর এই সমস্ত কারণেই তারা বাধ্য হয়ে পদযাত্রার মতো কর্মসূচি দিচ্ছেন। তবে সামনের দিনগুলোতে তারা বড়ো ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছে। তবে কর্মীরা এ ধরনের বক্তব্য মানতে রাজি না। কর্মীরা মনে করছেন যে, আন্দোলন দিকভ্রান্ত, আন্দোলনের ব্যাপারে কোনো রকম নির্দেশনা নেই এবং এই রকম কর্মসূচি যদি দেওয়া হয় তাহলে পরে বিএনপিকে ছাড়াই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে। বিএনপির আম ছালা দুটোই যাবে’।

বিএনপির তৃণমূলের কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, গত বছর ডিসেম্বরে তাদের মধ্যে যে উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল সেটাতে এখন ভাটার টান। তারা এখন হতাশ হয়ে পড়ছেন’। বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন যে, এই সমস্ত কর্মসূচি করতে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে একাধিক মামলা হয়েছে। এই সমস্ত মামলার কারণে পুলিশ তাদেরকে হয়রানি করছে। আবার কর্মসূচি না থাকার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাপও তাদের ওপর বাড়ছে। তারা একদিকে ঘর থেকে বের হতে পারছে না, তার পরিবারের সদস্যরা নানা রকম সমস্যায় পড়ছে। অন্যদিকে এই ধরনের গদবাধা কর্মসূচির কারণে তারাও কোনো আলোর ঠিকানা পাচ্ছেন না। আর তাই বিএনপির কর্মীরা এখন নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ। এখন বিএনপির নেতারা নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে যান না। গেলেই তাদেরকে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে’। আর এই প্রশ্ন এড়ানোর জন্যই বিএনপির নেতারা এখন দলীয় কার্যালয় এড়িয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেশ কয়েকদিন দলীয় কার্যালয়ে যান না আর অন্য নেতারা তো দলীয় কার্যালয়ে এড়িয়ে যান। শুধুমাত্র রুহুল কবির রিজজী দলীয় কার্যালয়ে নিয়মিত বসছেন এবং তাকে দিয়েই কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে।’