ঢাকা ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

ব্রিজের স্লাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারী গাছের চেরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৫৪৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল, কাউখালী: পিরোজপুরের কাউখালীতে ব্রিজ মেরামত কাজের স্লাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারী গাছের চেরা ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার  সদর ইউনিয়নের  কাঠালিয়া গোসনতারা এলাকার নূরুল ইসলামের বাড়ীর সামনে ব্রিজ মেরামতের কাজে  ওই  স্লাব ব্যবহার করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ব্রিজের তিনটি স্লাব ভেঙে গেছে প্রতিটি স্লাবে রডের পরিবর্তে ৫ টি করে সুপারী গাছের চেরা (স্থানীয় লোকজন যাকে সুপারীর ডাব বলেন) দিয়ে স্লাব ঢালাই করা হয়েছে। ব্রিজের প্রায় সবগুলো স্লাবই ফেটে গেছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধিন এডিপির আওতায় কাউখালী ইউনিয়নে ৬ টি উন্নয়ন কাজের একটি ওই ব্রিজ মেরামত কাজ।

মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক লাভলু খান ওই ব্রিজ মেরামত কাজ বাস্তবায়ন করেন। কার্যাদেশ মোতাবেক ২০২২ সালের ২০ জুন কাজ শেষ করা হয়।

সরেজমিনে গেলে এলাকার বাসিন্দা আব্দূল লতিফ সহ  উপস্থিত এলাকাবাসী জানান, কাজ করে যাওয়ার পর থেকেই স্লাবগুলোতে ফাঁটল দেখা দেয়। তিন দিন পূর্বে তিনটি স্লাব ভেঙে পড়লে এ দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী অবাক।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

এ বিষয়ে মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক লাভলু খানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন এক দেড় বছর আগের ঘটনা তা এখন কি বলব। তিনি নিজে কাজ করেননি। ওই কাজ অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন স্লাব যখন ঢালাই দেয় তখন উপজেলা প্রকৌশলী বা তার প্রতিনিধিরা দেখেননি কেন? এখন সমস্যার কথা বললে হবে কিভাবে!

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে বার বার ফোন দিয়েও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বজল মোল্লা বলেন, খবর পেয়েই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা দেখেছি এবং অবাক হয়েছি। উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে উপজেলা চেযারম্যান আবু সাইদ মনু মিয়া বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনওকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষ করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ব্রিজের স্লাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারী গাছের চেরা

আপডেট সময় : ১১:১৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলা পোর্টাল, কাউখালী: পিরোজপুরের কাউখালীতে ব্রিজ মেরামত কাজের স্লাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারী গাছের চেরা ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার  সদর ইউনিয়নের  কাঠালিয়া গোসনতারা এলাকার নূরুল ইসলামের বাড়ীর সামনে ব্রিজ মেরামতের কাজে  ওই  স্লাব ব্যবহার করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ব্রিজের তিনটি স্লাব ভেঙে গেছে প্রতিটি স্লাবে রডের পরিবর্তে ৫ টি করে সুপারী গাছের চেরা (স্থানীয় লোকজন যাকে সুপারীর ডাব বলেন) দিয়ে স্লাব ঢালাই করা হয়েছে। ব্রিজের প্রায় সবগুলো স্লাবই ফেটে গেছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধিন এডিপির আওতায় কাউখালী ইউনিয়নে ৬ টি উন্নয়ন কাজের একটি ওই ব্রিজ মেরামত কাজ।

মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক লাভলু খান ওই ব্রিজ মেরামত কাজ বাস্তবায়ন করেন। কার্যাদেশ মোতাবেক ২০২২ সালের ২০ জুন কাজ শেষ করা হয়।

সরেজমিনে গেলে এলাকার বাসিন্দা আব্দূল লতিফ সহ  উপস্থিত এলাকাবাসী জানান, কাজ করে যাওয়ার পর থেকেই স্লাবগুলোতে ফাঁটল দেখা দেয়। তিন দিন পূর্বে তিনটি স্লাব ভেঙে পড়লে এ দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী অবাক।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

এ বিষয়ে মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক লাভলু খানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন এক দেড় বছর আগের ঘটনা তা এখন কি বলব। তিনি নিজে কাজ করেননি। ওই কাজ অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন স্লাব যখন ঢালাই দেয় তখন উপজেলা প্রকৌশলী বা তার প্রতিনিধিরা দেখেননি কেন? এখন সমস্যার কথা বললে হবে কিভাবে!

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে বার বার ফোন দিয়েও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বজল মোল্লা বলেন, খবর পেয়েই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা দেখেছি এবং অবাক হয়েছি। উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে উপজেলা চেযারম্যান আবু সাইদ মনু মিয়া বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনওকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষ করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।