ঢাকা ০১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপিত 

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কি একমত হলো

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকের কিছুক্ষণ পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে এবং দুই নেতা নৈশ্যভোজে মিলিত হন। নরেন্দ্র মোদির সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিশ্ব পরিস্থিতি, উপমহাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি সহ দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় এই বৈঠককে অন্তত সফল হিসেবে অভিহিত করেন। বৈঠকের মধ্যে অনেক বেশি আলোচনা হয়েছে যা যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের অর্থনৈতিক এবং দু দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ বা এই অঞ্চলের শান্তি স্থিতিশীলতা নিয়ে কোনো কথাবার্তার কথা বলা হয়নি। তবে বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্র বলছে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং আঞ্চলিক শান্তি অর্থই হলো এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের ক্ষমতার স্থিতিশীলতা, রাজনৈতিক ভারসাম্য ইত্যাদি’।

ভারত গত কয়েকমাস ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে একটি অবস্থানে আনার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে যেন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকে, বাংলাদেশের নির্বাচনের মাধ্যমে যেন কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় না আসে ইত্যাদি হলো ভারতের অবস্থান। এ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওয়াশিংটনে গিয়েও কথা বলেছেন। এবার ভারতে দ্বিতীয় দফা বৈঠক হল।

বিভিন্ন সূর্যগুলো বলছে, ইচ্ছে করেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আগে বৈঠকটি করা হয়েছে এবং তারপর মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী’। দুটো বৈঠকের মধ্যে একটি অভিন্ন বিষয় রয়েছে তা হল আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার মধ্যেই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হতে পারে এমন কোনো কর্মকান্ড দু দেশের কেউই করবে না। অর্থাৎ বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে যেন এই অঞ্চলের বা বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট না হয় সেটির ব্যাপারে দুই দেশ নজর রাখবে। এরকম একটি অবস্থান থেকেই আসলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি এনেছে। এখন দেখার বিষয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন করে কি না?

জো বাইডেনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির এই বৈঠকের আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে কূটনীতিক বলেছিলেন, বাংলাদেশ নিয়ে তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এখন এই অবস্থান পরিবর্তন করা হবে কিনা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রসঙ্গকে কিভাবে দেখবে সে বিষয়টি বোঝা যাবে পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব দেখে। তবে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কিছুদিন আগে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ওয়াশিংটনে জো বাইডেনের বৈঠকের পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ কেন্দ্রিক তৎপরতা অনেকখানি কমেছে।’ বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিনিয়ত বক্তৃতা বিবৃতি সেটিও বন্ধ হয়েছে। তবে এর দুটি কারণ আছে বলে অনেকে মনে করেন। এই সময়ের মধ্যে ড. ইউনূস ইস্যুটি সামনে আসায় এখন মার্কিন প্রশাসন ইউনূসকে নিয়েই বেশি ব্যস্ত।’ অন্য একটি কারণ হতে পারে যে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নিয়ে একটি অভিন্ন রূপ পরিকল্পনা তৈরি করার চেষ্টা করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কি একমত হলো

আপডেট সময় : ০৭:১৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকের কিছুক্ষণ পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে এবং দুই নেতা নৈশ্যভোজে মিলিত হন। নরেন্দ্র মোদির সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিশ্ব পরিস্থিতি, উপমহাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি সহ দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় এই বৈঠককে অন্তত সফল হিসেবে অভিহিত করেন। বৈঠকের মধ্যে অনেক বেশি আলোচনা হয়েছে যা যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের অর্থনৈতিক এবং দু দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ বা এই অঞ্চলের শান্তি স্থিতিশীলতা নিয়ে কোনো কথাবার্তার কথা বলা হয়নি। তবে বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্র বলছে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং আঞ্চলিক শান্তি অর্থই হলো এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের ক্ষমতার স্থিতিশীলতা, রাজনৈতিক ভারসাম্য ইত্যাদি’।

ভারত গত কয়েকমাস ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে একটি অবস্থানে আনার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে যেন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকে, বাংলাদেশের নির্বাচনের মাধ্যমে যেন কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় না আসে ইত্যাদি হলো ভারতের অবস্থান। এ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওয়াশিংটনে গিয়েও কথা বলেছেন। এবার ভারতে দ্বিতীয় দফা বৈঠক হল।

বিভিন্ন সূর্যগুলো বলছে, ইচ্ছে করেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আগে বৈঠকটি করা হয়েছে এবং তারপর মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী’। দুটো বৈঠকের মধ্যে একটি অভিন্ন বিষয় রয়েছে তা হল আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার মধ্যেই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হতে পারে এমন কোনো কর্মকান্ড দু দেশের কেউই করবে না। অর্থাৎ বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে যেন এই অঞ্চলের বা বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট না হয় সেটির ব্যাপারে দুই দেশ নজর রাখবে। এরকম একটি অবস্থান থেকেই আসলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি এনেছে। এখন দেখার বিষয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন করে কি না?

জো বাইডেনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির এই বৈঠকের আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে কূটনীতিক বলেছিলেন, বাংলাদেশ নিয়ে তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এখন এই অবস্থান পরিবর্তন করা হবে কিনা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রসঙ্গকে কিভাবে দেখবে সে বিষয়টি বোঝা যাবে পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব দেখে। তবে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কিছুদিন আগে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ওয়াশিংটনে জো বাইডেনের বৈঠকের পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ কেন্দ্রিক তৎপরতা অনেকখানি কমেছে।’ বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিনিয়ত বক্তৃতা বিবৃতি সেটিও বন্ধ হয়েছে। তবে এর দুটি কারণ আছে বলে অনেকে মনে করেন। এই সময়ের মধ্যে ড. ইউনূস ইস্যুটি সামনে আসায় এখন মার্কিন প্রশাসন ইউনূসকে নিয়েই বেশি ব্যস্ত।’ অন্য একটি কারণ হতে পারে যে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নিয়ে একটি অভিন্ন রূপ পরিকল্পনা তৈরি করার চেষ্টা করছে।