ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এনায়েতপুরে শহীদদের স্মরণে ২নং স্থল ইউনিয়নে দোয়া ও আলোচনা সভা  সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন সাজাপ্রাপ্ত সেই প্রধান শিক্ষক আফছার আলী দূর্গা পূজাকে ঘিরে ব্যস্ত রাউজানের প্রতিমা শিল্পীরা  নারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার গোপন কক্ষটি গোপন ছিল না দায়িত্ব গ্রহণের আড়াই ঘন্টা পর রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ প্রেমিকার টাকা স্বর্ণলংকার হাতিয়ে নিয়ে ফ্লাইওভার থেকে ফেলে হত্যা  এনায়েতপুরে আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর বিএনপির স্মরণ সভাকে সফল করতে প্রস্তুতিমূলক সভা  সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য হলেন ২৫ গণমাধ্যম কর্মী রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান

বিএনপি: কর্মীরা চায় কঠোর কর্মসূচি, নেতারা চান অপেক্ষা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজও বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচী পালন করলো। এ নিয়ে গত ছয় মাসে ঢাকা শহরে ছয়টি পদযাত্রার কর্মসূচি পালন করলো দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলটি। এই সমস্ত পদযাত্রা কর্মসূচিতে এখন বিএনপির কর্মীরাই বিক্ষুব্ধ এবং অসন্তুষ্ট। বিএনপির আজকের পদযাত্রা কর্মসূচির সময় কর্মীরা ক্ষুব্ধ আচরণ করেছে। তারা বলেছে, এই সমস্ত নিরামিষ কর্মসূচি দিয়ে লাভ হবে না। বিএনপির দরকার কঠোর কর্মসূচি। আর এই কঠোর কর্মসূচির দাবিতেই বিএনপির কর্মীরা এখন সোচ্চার হচ্ছেন। নেতাদেরকে দালাল হিসেবে অভিহিত করতেও তারা কার্পণ্য করছে না।’

আজকের পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বিএনপির তৃণমূলের নেতারা বলছেন, এই ধরনের কর্মসূচি করার চেয়ে না করাই ভালো। এ ধরনের কর্মসূচির ফলে বিএনপির কোন লাভ হচ্ছে না। বরং ক্ষতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ মনে করছে বিএনপি বড় ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার মতো যোগ্যতা হারিয়েছে। কিন্তু বিএনপির শীর্ষ নেতারা তৃণমূলের এই অসন্তোষ ঠেকানোর জন্য তাদেরকে নানাভাবে বোঝাতে চাইছে। বিএনপির নেতারা কর্মীদেরকে বলছেন, আরও অপেক্ষা করতে হবে। আমরা দেখতে চাই সরকার কি পদক্ষেপ নেয়? আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কি হয়। কিন্তু কর্মীরা বলছেন, দেখতে দেখতে সময় চলে যাচ্ছে। নির্বাচনের বাকি এখন মাত্র তিন মাস। এর মধ্যে বড় ধরনের আন্দোলন কি হবে-সেটি নিয়ে কর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট সংশয় এবং সন্দেহ রয়েছে। তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা একটি ঝটিকা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে। যেটা এক থেকে দেড় মাস ব্যাপ্তি হবে এবং এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা সরকারের পতন ঘটাতে পারবে বলে মনে করছে। কিন্তু বিএনপির নেতাদের প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না কর্মীরা। বরং কর্মীরা মনে করছেন, নেতারা বিভ্রান্ত, আপোষকামী এবং সরকারের সাথে নেতাদের গোপন আঁতাত রয়েছে বলেও অনেকে মনে করছেন।

বিএনপির কর্মীদের মতে, একই কর্মসূচির ভিত্তিতে ঘুরপাক খাওয়ার ফলে কর্মসূচিগুলো গুরুত্ব হারাচ্ছে। আর আওয়ামী লীগও এই ধরনের কর্মসূচি গুলোকে এখন আর পাত্তা দিতে পারছে না। এর ফলে আন্দোলনের আবেদন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে’। তবে নেতারা মনে করছেন আন্দোলনের আবেদন নষ্ট হওয়া বড় কথা নয়, বড় কথা হলো সমন্বিতভাবে আন্দোলন করা। যেহেতু আন্তর্জাতিক বিশ্ব বর্তমান সরকারের ওপর নানাভাবে ক্ষুব্ধ, সরকার ক্রমশ এক ঘরে হয়ে পড়ছে ঠিক এরকম একটি বাস্তবতাই আন্দোলন করতে হবে ধীরে সুস্থে বুঝে শুনে। এমন কোনো কর্মসূচি করা যাবে না যে কর্মসূচির ফলে আন্তর্জাতিক মহলও বিএনপির ওপরে ক্ষুব্ধ হয়ে যায়। বরং কর্মসূচি করার ক্ষেত্রে সকলের সাথে পরামর্শ করেই কর্মসূচি করতে হবে। কিন্তু বিএনপি তৃণমূলের ধারণা এরকম অবস্থা চলতে থাকলে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আবার একটি নির্বাচন করে ফেলবে এবং সেই নির্বাচন তাকিয়ে দেখা ছাড়া তাদের কিছু করণীয় থাকবে না। বিএনপির পক্ষ থেকে কর্মীরা মনে করছেন, যা কিছু করার এখনই করতে হবে।’ কিন্তু সেরকম কিছু করার মতো শক্তি বা ক্ষমতা বিএনপির আছে কিনা তা নিয়েও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে সংশয় অবিশ্বাস রয়েছে। এই অবস্থার সামনের দিনগুলোতে বিএনপির কর্মসূচিতে কর্মীরা থাকবেন কিনা তা নিয়েও অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করছেন।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিএনপি: কর্মীরা চায় কঠোর কর্মসূচি, নেতারা চান অপেক্ষা

আপডেট সময় : ০৭:২৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজও বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচী পালন করলো। এ নিয়ে গত ছয় মাসে ঢাকা শহরে ছয়টি পদযাত্রার কর্মসূচি পালন করলো দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলটি। এই সমস্ত পদযাত্রা কর্মসূচিতে এখন বিএনপির কর্মীরাই বিক্ষুব্ধ এবং অসন্তুষ্ট। বিএনপির আজকের পদযাত্রা কর্মসূচির সময় কর্মীরা ক্ষুব্ধ আচরণ করেছে। তারা বলেছে, এই সমস্ত নিরামিষ কর্মসূচি দিয়ে লাভ হবে না। বিএনপির দরকার কঠোর কর্মসূচি। আর এই কঠোর কর্মসূচির দাবিতেই বিএনপির কর্মীরা এখন সোচ্চার হচ্ছেন। নেতাদেরকে দালাল হিসেবে অভিহিত করতেও তারা কার্পণ্য করছে না।’

আজকের পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বিএনপির তৃণমূলের নেতারা বলছেন, এই ধরনের কর্মসূচি করার চেয়ে না করাই ভালো। এ ধরনের কর্মসূচির ফলে বিএনপির কোন লাভ হচ্ছে না। বরং ক্ষতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ মনে করছে বিএনপি বড় ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার মতো যোগ্যতা হারিয়েছে। কিন্তু বিএনপির শীর্ষ নেতারা তৃণমূলের এই অসন্তোষ ঠেকানোর জন্য তাদেরকে নানাভাবে বোঝাতে চাইছে। বিএনপির নেতারা কর্মীদেরকে বলছেন, আরও অপেক্ষা করতে হবে। আমরা দেখতে চাই সরকার কি পদক্ষেপ নেয়? আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কি হয়। কিন্তু কর্মীরা বলছেন, দেখতে দেখতে সময় চলে যাচ্ছে। নির্বাচনের বাকি এখন মাত্র তিন মাস। এর মধ্যে বড় ধরনের আন্দোলন কি হবে-সেটি নিয়ে কর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট সংশয় এবং সন্দেহ রয়েছে। তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা একটি ঝটিকা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে। যেটা এক থেকে দেড় মাস ব্যাপ্তি হবে এবং এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা সরকারের পতন ঘটাতে পারবে বলে মনে করছে। কিন্তু বিএনপির নেতাদের প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না কর্মীরা। বরং কর্মীরা মনে করছেন, নেতারা বিভ্রান্ত, আপোষকামী এবং সরকারের সাথে নেতাদের গোপন আঁতাত রয়েছে বলেও অনেকে মনে করছেন।

বিএনপির কর্মীদের মতে, একই কর্মসূচির ভিত্তিতে ঘুরপাক খাওয়ার ফলে কর্মসূচিগুলো গুরুত্ব হারাচ্ছে। আর আওয়ামী লীগও এই ধরনের কর্মসূচি গুলোকে এখন আর পাত্তা দিতে পারছে না। এর ফলে আন্দোলনের আবেদন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে’। তবে নেতারা মনে করছেন আন্দোলনের আবেদন নষ্ট হওয়া বড় কথা নয়, বড় কথা হলো সমন্বিতভাবে আন্দোলন করা। যেহেতু আন্তর্জাতিক বিশ্ব বর্তমান সরকারের ওপর নানাভাবে ক্ষুব্ধ, সরকার ক্রমশ এক ঘরে হয়ে পড়ছে ঠিক এরকম একটি বাস্তবতাই আন্দোলন করতে হবে ধীরে সুস্থে বুঝে শুনে। এমন কোনো কর্মসূচি করা যাবে না যে কর্মসূচির ফলে আন্তর্জাতিক মহলও বিএনপির ওপরে ক্ষুব্ধ হয়ে যায়। বরং কর্মসূচি করার ক্ষেত্রে সকলের সাথে পরামর্শ করেই কর্মসূচি করতে হবে। কিন্তু বিএনপি তৃণমূলের ধারণা এরকম অবস্থা চলতে থাকলে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আবার একটি নির্বাচন করে ফেলবে এবং সেই নির্বাচন তাকিয়ে দেখা ছাড়া তাদের কিছু করণীয় থাকবে না। বিএনপির পক্ষ থেকে কর্মীরা মনে করছেন, যা কিছু করার এখনই করতে হবে।’ কিন্তু সেরকম কিছু করার মতো শক্তি বা ক্ষমতা বিএনপির আছে কিনা তা নিয়েও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে সংশয় অবিশ্বাস রয়েছে। এই অবস্থার সামনের দিনগুলোতে বিএনপির কর্মসূচিতে কর্মীরা থাকবেন কিনা তা নিয়েও অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করছেন।”