ঢাকা ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এনায়েতপুরে শহীদদের স্মরণে ২নং স্থল ইউনিয়নে দোয়া ও আলোচনা সভা  সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন সাজাপ্রাপ্ত সেই প্রধান শিক্ষক আফছার আলী দূর্গা পূজাকে ঘিরে ব্যস্ত রাউজানের প্রতিমা শিল্পীরা  নারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার গোপন কক্ষটি গোপন ছিল না দায়িত্ব গ্রহণের আড়াই ঘন্টা পর রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ প্রেমিকার টাকা স্বর্ণলংকার হাতিয়ে নিয়ে ফ্লাইওভার থেকে ফেলে হত্যা  এনায়েতপুরে আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর বিএনপির স্মরণ সভাকে সফল করতে প্রস্তুতিমূলক সভা  সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য হলেন ২৫ গণমাধ্যম কর্মী রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান

শেখ হাসিনাকেই মোদির সবুজ সংকেত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের রাজধানী দিল্লীতে গতকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আনুষ্ঠানিক বৈঠকটি হয়েছে। ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে সরাসরি নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তবে কূটনৈতিক পরিভাষা যদি কেউ বিশ্লেষণ করতে চান তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন যে এই বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি নিরঙ্কুশ সমর্থন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর ফলে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান পরিষ্কার হলো বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।’

মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কয়েকটি মৌলিক বিষয় কথা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম বিষয় যেটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন বলেছেন, বৈঠকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অর্থাৎ বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি ভারতের আস্থা পুনর্ব্যাক্ত করা হয়েছে’।

এই বৈঠকে দ্বিতীয় যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উঠে এসেছে তা হলো উত্তর-পূর্ব ভারতের শান্তি পরিস্থিতির জন্য শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা জানানো। মূলত এটি ভারতের আগ্রহের সবচেয়ে বড় জায়গা। এই কারণেই ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়। সরকারের পরিবর্তন চায় না। কারণ এই উত্তর-পূর্ব ভারত একসময় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল এবং বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘোষণা করেছিলেন যে, বাংলাদেশের জমি কোনোভাবেই কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদের ঘাঁটিতে পরিণত হতে দেওয়া হবে না। আর এই বাস্তবতাতেই ভারত মনে করে যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি।’

এই বৈঠকের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিকটি ছিল দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা সহযোগিতার পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি স্থিতিশীলতার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছেন। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বলতে সম্পর্কের ধারাবাহিকতা এবং পারস্পরিক বিষয় আশয় এবং আস্থার সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় বুঝায়। কূটনৈতিক ভাষায় স্থিতিশীলতা অর্থই হলো ধারাবাহিকতা। অর্থাৎ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যেভাবে এগিয়ে গেছে সেই ধারাকে অব্যাহত রাখতে চায় ভারত। এর মধ্যে কোন ছেদ পড়ুক এটি চায় না’।

বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট বার্তায় লিখেছেন, গত নয় বছরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষ জনক। আমাদের আলোচনা সংযুক্তি, বাণিজ্যিক চুক্তি ও আরো অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত ছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত কোনো নিরীক্ষা করতে চায় না। ফলে এই বৈঠকের মাধ্যমে স্পষ্ট হলো যে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা চায়, বাংলাদেশে ভারত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়। আর এই কারণেই শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই ভারতের কাছে’। এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের রূপরেখা কি হবে সে সম্পর্কে একটি স্পষ্ট বার্তা পাওয়া গেল বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শেখ হাসিনাকেই মোদির সবুজ সংকেত

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের রাজধানী দিল্লীতে গতকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আনুষ্ঠানিক বৈঠকটি হয়েছে। ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে সরাসরি নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তবে কূটনৈতিক পরিভাষা যদি কেউ বিশ্লেষণ করতে চান তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন যে এই বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি নিরঙ্কুশ সমর্থন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর ফলে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান পরিষ্কার হলো বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।’

মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কয়েকটি মৌলিক বিষয় কথা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম বিষয় যেটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন বলেছেন, বৈঠকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অর্থাৎ বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি ভারতের আস্থা পুনর্ব্যাক্ত করা হয়েছে’।

এই বৈঠকে দ্বিতীয় যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উঠে এসেছে তা হলো উত্তর-পূর্ব ভারতের শান্তি পরিস্থিতির জন্য শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা জানানো। মূলত এটি ভারতের আগ্রহের সবচেয়ে বড় জায়গা। এই কারণেই ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়। সরকারের পরিবর্তন চায় না। কারণ এই উত্তর-পূর্ব ভারত একসময় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল এবং বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘোষণা করেছিলেন যে, বাংলাদেশের জমি কোনোভাবেই কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদের ঘাঁটিতে পরিণত হতে দেওয়া হবে না। আর এই বাস্তবতাতেই ভারত মনে করে যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি।’

এই বৈঠকের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিকটি ছিল দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা সহযোগিতার পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি স্থিতিশীলতার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছেন। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বলতে সম্পর্কের ধারাবাহিকতা এবং পারস্পরিক বিষয় আশয় এবং আস্থার সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় বুঝায়। কূটনৈতিক ভাষায় স্থিতিশীলতা অর্থই হলো ধারাবাহিকতা। অর্থাৎ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যেভাবে এগিয়ে গেছে সেই ধারাকে অব্যাহত রাখতে চায় ভারত। এর মধ্যে কোন ছেদ পড়ুক এটি চায় না’।

বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট বার্তায় লিখেছেন, গত নয় বছরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষ জনক। আমাদের আলোচনা সংযুক্তি, বাণিজ্যিক চুক্তি ও আরো অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত ছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত কোনো নিরীক্ষা করতে চায় না। ফলে এই বৈঠকের মাধ্যমে স্পষ্ট হলো যে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা চায়, বাংলাদেশে ভারত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়। আর এই কারণেই শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই ভারতের কাছে’। এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের রূপরেখা কি হবে সে সম্পর্কে একটি স্পষ্ট বার্তা পাওয়া গেল বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।’