মানিকগঞ্জে মহিলা মেম্বারের বিরুদ্ধে মাতৃত্ব ভাতায় অনিয়িম ও দূর্নীতির অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৪:১২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৯৪ বার পড়া হয়েছে
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা: ১২ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জে সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহটি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা আসনের মেম্বার মোসাঃ রাশেদা বেগমের বিরুদ্ধে গর্ভকালিণ মাতৃত্ব ভাতার অনিয়ম ও দূণীতির বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩০ আগষ্ট উক্ত মহিলা মেম্বারের এলাকায় ও আইড়মারা চামারখাই গ্রামে ভাতায় সুবিদা ভোগির বাড়ীতে অনুসন্ধানে গিয়ে এ অনিয়ম, দূর্নীতি এবং ঘুষ গ্রহণের শতভাগ সত্যতার প্রমাণ খোঁজে পাওয়া যায়।
আইড়মারা চামারখাই গ্রামের গরীব ও হতদরিদ্র মোঃ শরিফুল ইসলামের (স্ত্রী) গৃহবধু রাশেদা আকতার (২৭) বলেন, আমার শশুড়ের নিকট থেকে মহিলা মেম্বার ৬ হাজার টাকা নিয়ে কাউকে না বলার শর্তে আমাকে ভাতার কার্ড দেয়। আমি ভাতা কার্ডের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছি।
ভাতায় ঘুষ বাবদ টাকা নেওয়ার বিষয়ে তার শ্বশুড় হযরত আলীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, মহিলা মেম্বার মোসাঃ রাশেদা বেগম আমার বাড়িতে এসে আমার কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা নিয়ে ছেলের বউ রাশেদাকে গর্ভকালিণ ভাতাটি দিয়েছে । টাকা না দিলে মেম্বার রাশেদা ভাতার কার্ড দিবেনা বলে সাফ জানায়। ফলে বাধ্য হয়ে মেম্বারকে টাকা দিয়ে ভাতা গ্রহণ করেছি।
ভাতাভোগি রাশেদার শ্বশুড় হযরত আলী আরো জানায়, ছেলের বউ এবং ওই মহিলা মেম্বারের নাম একই নাম। আমার ছেলের বউয়ের নামের নাম হলেও ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে ওই মহিলা মেম্বার একচুলও ছাড়েনি। ভাতা দিবে সরকার অথচ তাকে কেন ঘুষ দিতে হবে ? এই মহিলা মেম্বার আরো অনেক মানুষের নিকট হতে এভাবে ঘুষ গ্রহন করে বলে জানান তিনি। অন্যান্য আরো কয়েকজন এ ভাতায় টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানেন বলে তারা স্বীকার করেন।
মেম্বার রাশেদা বেগমের মুঠো ফোনে কল করলে এ বিষয়ে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি ।
ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা মহিলা বিষক কর্মকর্তা জনাবা জেসমিন আকতারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাতৃত্ব ভাতা পেতে মাত্র ৪০ টাকা খরচ লাগে। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই। যদি কেউ অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে থাকে প্রমাণ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।