ঢাকা ০৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আজ মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা: রাজশাহীতে দেবীর চরণে ভক্তের শ্রদ্ধা রাউজানে মন্ডপে মন্ডপে চলছে দূর্গাপূজা রায়গঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৫ জনকে কারাদন্ড টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট! 

গণতন্ত্র মঞ্চকে কি নির্বাচনের বার্তা দিলেন বেগম জিয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে মঙ্গলবার (গতকাল) রাতে দেখা করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। ৭ মিনিট তাদের মধ্যে কথা হয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে যারা সাক্ষাৎ করেছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম সহ নেতৃবৃন্দ। এভারকেয়ার হাসপাতালে তারা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তাদের কি কথাবার্তা হয়েছে তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। প্রত্যেক নেতাই তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই বৈঠকের ব্যাপারে বক্তব্য দিয়েছেন’। কিন্তু বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের যারা উপস্থিত ছিলেন তারা ভিন্ন কথা বলেছেন।

মূলত এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি আন্দোলন অথবা নির্বাচন যেকোনো একটি পথ খুঁজে বের করে ভোটাধিকারের সংগ্রামকে জোরালো করার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাওয়া যায় কিনা সেই ব্যাপারে সকলের সঙ্গে কথা বলার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বেগম জিয়া। বেগম জিয়ার এই নির্দেশ নিয়েই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে কথা বলেন এবং গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা সরাসরি ভাবে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেই অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়। সাক্ষাতে বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের কথা যেমন বলেছেন তেমনি ভোটাধিকার রক্ষার কথাও বলেছেন’।

মাহমুদ রহমান মান্না এবং আ স ম আবদুর রব এর মতো যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিরোধী তারা বেগম খালেদা জিয়াকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে কি কি ধরনের সমস্যা হতে পারে এবং বিএনপি কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়া বার বার ভোটাধিকারকে আন্দোলনের একটি অংশ হিসাবে ব্যবহার করার কথা বলেছেন। বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার কথাও বলেছেন। মাহমুদুর রহমান মান্না নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাওয়া হবে না এই নিয়ে ব্যাখ্যা দেন। একই ব্যাখ্যা দেন জেএসডির সভাপতির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তবে বেগম খালেদা জিয়া এসব বক্তব্য শুনেছেন, তিনি শুধু বলেছেন যে, আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাওয়া যায় কিনা তা ভেবে দেখতে হবে’।

এই বৈঠকের মাধ্যমে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেল তা হল বিএনপির মধ্যে বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়া এখন নির্বাচনের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন। কারণ নির্বাচনের সময় আছে মাত্র তিন মাসের কিছু বেশি। এই সময়ের মধ্যে বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো মিলে সরকার পতনে কোন বড় ধরনের আন্দোলন করতে পারবে এমনটি কেউই বিশ্বাস করে না। এরকম বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত এমন মনোভাব বিএনপিতে বাড়ছে।

বেগম খালেদা জিয়াও এরকম একটি মনোভাব ব্যক্ত করেছেন বলেই বৈঠকের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানান’। আর এটি যদি শেষ পর্যন্ত হয় তাহলে বিএনপির আন্দোলনকে আস্তে আস্তে নির্বাচন মুখী করা হবে। আর সেই রকম একটি বার্তাই কি বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র মঞ্চকে দিলেন কিনা তা নিয়ে এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর গুঞ্জন চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গণতন্ত্র মঞ্চকে কি নির্বাচনের বার্তা দিলেন বেগম জিয়া

আপডেট সময় : ০৭:১১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে মঙ্গলবার (গতকাল) রাতে দেখা করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। ৭ মিনিট তাদের মধ্যে কথা হয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে যারা সাক্ষাৎ করেছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম সহ নেতৃবৃন্দ। এভারকেয়ার হাসপাতালে তারা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তাদের কি কথাবার্তা হয়েছে তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। প্রত্যেক নেতাই তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই বৈঠকের ব্যাপারে বক্তব্য দিয়েছেন’। কিন্তু বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের যারা উপস্থিত ছিলেন তারা ভিন্ন কথা বলেছেন।

মূলত এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি আন্দোলন অথবা নির্বাচন যেকোনো একটি পথ খুঁজে বের করে ভোটাধিকারের সংগ্রামকে জোরালো করার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাওয়া যায় কিনা সেই ব্যাপারে সকলের সঙ্গে কথা বলার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বেগম জিয়া। বেগম জিয়ার এই নির্দেশ নিয়েই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে কথা বলেন এবং গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা সরাসরি ভাবে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেই অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়। সাক্ষাতে বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের কথা যেমন বলেছেন তেমনি ভোটাধিকার রক্ষার কথাও বলেছেন’।

মাহমুদ রহমান মান্না এবং আ স ম আবদুর রব এর মতো যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিরোধী তারা বেগম খালেদা জিয়াকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে কি কি ধরনের সমস্যা হতে পারে এবং বিএনপি কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়া বার বার ভোটাধিকারকে আন্দোলনের একটি অংশ হিসাবে ব্যবহার করার কথা বলেছেন। বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার কথাও বলেছেন। মাহমুদুর রহমান মান্না নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাওয়া হবে না এই নিয়ে ব্যাখ্যা দেন। একই ব্যাখ্যা দেন জেএসডির সভাপতির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তবে বেগম খালেদা জিয়া এসব বক্তব্য শুনেছেন, তিনি শুধু বলেছেন যে, আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাওয়া যায় কিনা তা ভেবে দেখতে হবে’।

এই বৈঠকের মাধ্যমে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেল তা হল বিএনপির মধ্যে বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়া এখন নির্বাচনের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন। কারণ নির্বাচনের সময় আছে মাত্র তিন মাসের কিছু বেশি। এই সময়ের মধ্যে বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো মিলে সরকার পতনে কোন বড় ধরনের আন্দোলন করতে পারবে এমনটি কেউই বিশ্বাস করে না। এরকম বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত এমন মনোভাব বিএনপিতে বাড়ছে।

বেগম খালেদা জিয়াও এরকম একটি মনোভাব ব্যক্ত করেছেন বলেই বৈঠকের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানান’। আর এটি যদি শেষ পর্যন্ত হয় তাহলে বিএনপির আন্দোলনকে আস্তে আস্তে নির্বাচন মুখী করা হবে। আর সেই রকম একটি বার্তাই কি বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র মঞ্চকে দিলেন কিনা তা নিয়ে এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর গুঞ্জন চলছে।