ঢাকা ০৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য হলেন ২৫ গণমাধ্যম কর্মী রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান জোড়া কবরে শুয়ে রইলেন তারা, নিভে গেল দুই পরিবারের বেঁচে থাকার স্বপ্ন সলঙ্গা থানা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়কের নামে থানায় অভিযোগ  প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তপূর্বক অপসারণের দাবী রাজশাহীতে বৈষম্যমুক্ত নগরের দাবিতে আলোচনা সভা  বেলকুচিতে হত্যাকান্ডের বিচার ও পি আর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গণ সমাবেশ রামেকে একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলার অভিযোগ  খাজা মেডিকেল প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আমজাদ হোসেনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প 

নির্বাচনের আগে সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল চায় পশ্চিমা কূটনীতিকরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়, সেজন্য বিভিন্ন তৎপরতা চালাচ্ছে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলো, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ এখন রাজনীতিবিদ, নির্বাচন কমিশন, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা, বৈঠক করছেন। আর এ সমস্ত বৈঠকে সংবিধানের আওতায় বর্তমান সরকারকে বহাল রেখে একটি আবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের রূপরেখা নিয়েই কথাবার্তা বেশি হচ্ছে”।

আর এই সমস্ত কথাবার্তায় অবাধ,সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যে বাধাগুলো আছে, সেই বাধাগুলোর দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমা দেশের কূটনৈতিকরা মনে করছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে প্রশাসনে দলীয়করণ এবং রাজনীতিকরণ ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে বলে অনেক পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা মনে করেন। এ রকম পরিস্থিতিতে তারা নির্বাচনের আগে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখা এবং তা নির্বাচন কমিশনের আওতায় কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার তাগিদ দিয়েছেন। এই তাগিদের কারণ হলো, তারা মনে করেন, প্রশাসন যদি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে কোনো উদ্যোগই সফল হবে না। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনও অসম্ভব হবে। সাম্প্রতিক সময়ে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তাদের কথাবার্তাও কূটনৈতিকদের নজরে এসেছে। এই সমস্ত বক্তব্যগুলো অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায় বলেও তারা মনে করছেন। আর এই কারণেই তারা নির্বাচনের আগে সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে চাইছেন। এই নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য তারা কতগুলো সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তৈরি করেছেন এবং এই সুপারিশগুলো নিয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে তারা কথাবার্তা বলছেন।’

এই সুপারিশে প্রথম যে বিষয়টি আছে, তা হলো সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে। নির্বাচনের আগে যারা প্রশাসনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করার সুপারিশ করেছে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা’।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি দেশের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি সরকারের নজরে আনা হয়েছে। সরকারের ওই প্রতিনিধি অবশ্যই এই ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বক্তব্য রাখেননি। উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, রাষ্ট্রপতির সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি অংশের সচিবসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সচিব এবং একাধিক ব্যক্তি চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগে রয়েছেন’। আর এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হলে প্রশাসনে কি প্রভাব পড়বে, সেটিও দেখার বিষয় বলে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা মনে করছেন। এছাড়াও কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে মাঠ প্রশাসনে নিরপেক্ষতার বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। যারা মন্ত্রীদের পিএস বা অন্য ব্যক্তিগত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন বা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ছিলেন, তাদেরকে জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়া, জেলা প্রশাসক পদায়নের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতায়ন করা ইত্যাদি বিষয়গুলোর সম্পর্কে তারা সুপারিশ করেছেন।’

তবে সরকারের দুইজন মন্ত্রী বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছেন, তারা কোনো কূটনৈতিকদের কাছ থেকে এ ধরনের প্রস্তাবনা এখন পর্যন্ত পাননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নির্বাচনের আগে সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল চায় পশ্চিমা কূটনীতিকরা

আপডেট সময় : ০৬:২৭:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়, সেজন্য বিভিন্ন তৎপরতা চালাচ্ছে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলো, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ এখন রাজনীতিবিদ, নির্বাচন কমিশন, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা, বৈঠক করছেন। আর এ সমস্ত বৈঠকে সংবিধানের আওতায় বর্তমান সরকারকে বহাল রেখে একটি আবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের রূপরেখা নিয়েই কথাবার্তা বেশি হচ্ছে”।

আর এই সমস্ত কথাবার্তায় অবাধ,সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যে বাধাগুলো আছে, সেই বাধাগুলোর দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমা দেশের কূটনৈতিকরা মনে করছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে প্রশাসনে দলীয়করণ এবং রাজনীতিকরণ ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে বলে অনেক পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা মনে করেন। এ রকম পরিস্থিতিতে তারা নির্বাচনের আগে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখা এবং তা নির্বাচন কমিশনের আওতায় কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার তাগিদ দিয়েছেন। এই তাগিদের কারণ হলো, তারা মনে করেন, প্রশাসন যদি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে কোনো উদ্যোগই সফল হবে না। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনও অসম্ভব হবে। সাম্প্রতিক সময়ে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তাদের কথাবার্তাও কূটনৈতিকদের নজরে এসেছে। এই সমস্ত বক্তব্যগুলো অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায় বলেও তারা মনে করছেন। আর এই কারণেই তারা নির্বাচনের আগে সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে চাইছেন। এই নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য তারা কতগুলো সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তৈরি করেছেন এবং এই সুপারিশগুলো নিয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে তারা কথাবার্তা বলছেন।’

এই সুপারিশে প্রথম যে বিষয়টি আছে, তা হলো সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে। নির্বাচনের আগে যারা প্রশাসনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করার সুপারিশ করেছে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা’।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি দেশের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি সরকারের নজরে আনা হয়েছে। সরকারের ওই প্রতিনিধি অবশ্যই এই ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বক্তব্য রাখেননি। উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, রাষ্ট্রপতির সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি অংশের সচিবসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সচিব এবং একাধিক ব্যক্তি চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগে রয়েছেন’। আর এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হলে প্রশাসনে কি প্রভাব পড়বে, সেটিও দেখার বিষয় বলে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা মনে করছেন। এছাড়াও কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে মাঠ প্রশাসনে নিরপেক্ষতার বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। যারা মন্ত্রীদের পিএস বা অন্য ব্যক্তিগত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন বা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ছিলেন, তাদেরকে জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়া, জেলা প্রশাসক পদায়নের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতায়ন করা ইত্যাদি বিষয়গুলোর সম্পর্কে তারা সুপারিশ করেছেন।’

তবে সরকারের দুইজন মন্ত্রী বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছেন, তারা কোনো কূটনৈতিকদের কাছ থেকে এ ধরনের প্রস্তাবনা এখন পর্যন্ত পাননি।