সরকারের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক পাঁচ ব্যক্তি
- আপডেট সময় : ১০:০৪:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২৫ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারকে নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। অনেক সংকট মোকাবিলা করতে হবে। অনেক কঠিন এবং বৈরী পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে একটি সংঘবদ্ধ চক্র একদিকে যেমন অপপ্রচার করছে, তেমনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এমন কিছু মিথ্যাচার করছে যাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন এবং অনিশ্চয়তা বাড়ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ রাষ্ট্র সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের আগে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
কেউ কেউ মনে করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার, অপপ্রচার এবং কুৎসিত আক্রমণাত্মক কন্টেন্টগুলো হয়তো সরকারের ইমেজ নষ্ট করছে। কিন্তু বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে এই সমস্ত বস্তাপচা আবর্জনা এবং মিথ্যাচার সাধারণ মানুষের চিত্তে কিছুটা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলেও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে, বিশেষ করে প্রভাবশালী দেশগুলোর নীতি নির্ধারণী মহলে কোনো ভূমিকা রাখছে না।
প্রভাবশালী দেশগুলোর নীতি নির্ধারণী মহলে ভূমিকা রাখার জন্য কাজ করছেন সুনির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি এবং এরা বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন এবং পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্যই একটি হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।, এরকম সবচেয়ে পাঁচজন বিপজ্জনক ব্যক্তিকে সম্প্রতি আমরা চিহ্নিত করেছি। এদের মধ্যে রয়েছেন:
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন বিদেশে আছেন। তার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে শ্রমিক ঠকানোর একটি মামলা বিচারাধীন আছে। ১৩ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি হয়। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই মামলাকে ঘিরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন উপায়ে সরকারকে কোণঠাসা করা এবং সরকার পরিবর্তনের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন তার প্রকাশ্য কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য ৬০জন নোবেল জয়ী বিবৃতি দিয়েছেন। শুধু তাই নয় ১৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি বিবৃতি দিয়েছেন। যাদের মধ্যে একশো জনের বেশি নোবেল জয়ী। এ ছাড়াও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে টুইটার বার্তা দিয়েছেন মার্কিন রাজনীতিতে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিলারি ক্লিনটন, বারাক ওবামারাও।
আর এই সবকিছু মিলিয়ে আগামীতে ড. ইউনূস ইস্যুটি সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। ইউনূসকে বাঁচাতে গিয়ে সরকার এবং রাষ্ট্রের উপর প্রতিশোধ নিতে পারে পশ্চিমা দেশগুলো। কারণ তাদের কাছে ইউনূস হলো সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ’।
আদিলুর রহমান খান
অধিকারের আদিলুর রহমান খান বিএনপি জামাত জোট সরকারের সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এখন বিষোদাগার ছড়ানোর ক্ষেত্রে এখন গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বিশেষ করে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে এখন তার ইস্যুতে মূলত আলোচনা হচ্ছে এবং সেখানে মানবাধিকারের ইসুটি আনার ক্ষেত্রে আদিলুর রহমান খানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের মানবাধিকার বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টির ক্ষেত্রে আদিলুর রহমান খান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
আলী রিয়াজ
এলিয়ান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রিয়াজ মার্কিন প্রশাসনের মধ্যে বাংলাদেশের সরকার এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে নীতিবাচক তথ্য প্রচার করছেন।’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে মার্কিন প্রশাসনের কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য তিনি নিরন্তরভাবে লেখালেখি এবং কাজ করে যাচ্ছেন।
জিল্লুর রহমান
আলী রিয়াজের শিষ্য জিল্লুর রহমান বাংলাদেশে তৃতীয় মাত্রা অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক। তার একটি নিজস্ব এনজিও আছে এবং সেই এনজিওর মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশ থেকে নানা রকম তথ্য উপাত্ত আলী রিয়াজের কাছে দিচ্ছেন। মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত তার এনজিওর প্রধান লক্ষ্য হলো বর্তমান সরকারের ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসনের কাছে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে দেয়া।
বদিউল আলম মজুমদার
বদিউল আলম মজুমদার সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক। তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশেষ করে বাংলাদেশে অবস্থিত পশ্চিমা দেশগুলোকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য দূতাবাসগুলোতে রীতিমতো লবিং করছেন।’
বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এই পাঁচজন সরকারের জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর বিপদজনক ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন।’