হারুন-সানজিদার বিয়ের বিষয়ে মুখ খুললেন সানজিদার বোন
- আপডেট সময় : ০৭:৩৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা পোর্টাল: ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলছে নানা রকম আলোচনা সমালোচনা। এ ঘটনায় পুলিশের বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদের সঙ্গে ডিএমপির অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন নিপার বিয়ে হয়েছে কিনা তা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য।
হারুন-সানজিদার বিয়ে হয়েছে কিনা সে বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর’) দুপুরে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন সানজিদার বড় হোসনে আরা কামনা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই অপপ্রচারে তারা বিব্রতবোধ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে বিয়ে হয়নি। যেহেতু বিয়ে হয়নি, তাই ছাড়াছাড়িরও প্রশ্ন নেই।
সানজিদার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২০১৭ সালের ১০ মার্চ গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা আজিজুল হক মামুনের সঙ্গে সানজিদা আফরিন নিপার বিয়ে হয়। পারিবারিকভাবে এই বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। তবে এই বিয়েতে সানজিদার তেমন সম্মতি ছিল না। এ কারণে বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। সানজিদা দীর্ঘদিন তার স্বামীর বাড়ি গাজীপুরে এএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।’
চলতি বছরের শুরুর দিকে সানজিদা ঢাকায় বদলি হন। সাম্প্রতিক ঘটনায় এডিসি হারুনের সঙ্গে আগে বিয়ে হয়েছিল, তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে-এমন গুঞ্জন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সানজিদার বোন হোসনে আরা কামনা।
তিনি বলেন, সানজিদার বিয়ে হয়েছে আজিজুল হক মামুনের সঙ্গে। রাষ্ট্রপতির এপিএস মামুনই সানজিদার স্বামী। এডিসি হারুন তার কলিগ। তার সঙ্গে সানজিদার বিয়ে হয়নি। বিয়ে না হলে তো ছাড়াছাড়িরও প্রশ্ন নেই।
সানজিদাসহ তার অন্য বোনদের শিক্ষক ও পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,‘সানজিদার বিয়ের অনুষ্ঠানে আমিও গিয়েছিলাম। বরেণ্য অতিথিরাও ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। পরে সময়ে তার আর কোনো বিয়ের খবর আমার জানা নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন খবরে আমরাও হতবাক।’
আজিজুল হক মামুনের সঙ্গে সানজিদার বিয়ের বিষয়ে জানিয়েছেন গোপালপুরের নগদা শিমলা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (বিয়ের কাজী’) শামছুল হক। তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ১০ মার্চ পারিবারিকভাবে ঘটা করে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়।
উল্লেখ্য, ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
আহতরা হলেন-ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ’।
এই দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ- পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে বেদম পিটিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পেটান।’
পুলিশ সূত্র জানায়, এডিসি হারুনের সঙ্গে শাহবাগের একটি হাসপাতালে পুলিশের এক নারী কর্মকর্তা আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী হাজির হন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন সেখান থেকে চলে যান। পরে পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শাহবাগ থানায় ডেকে নিয়ে মারধর করে।