ঢাকা ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তপূর্বক অপসারণের দাবী রাজশাহীতে বৈষম্যমুক্ত নগরের দাবিতে আলোচনা সভা  বেলকুচিতে হত্যাকান্ডের বিচার ও পি আর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গণ সমাবেশ রামেকে একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলার অভিযোগ  খাজা মেডিকেল প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আমজাদ হোসেনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প  কাউন্দিয়া ইউনিয়নের মূর্তিমান আতঙ্কের অপর নাম’কুখ্যাত ভূমিদস্যু সাইফুল আলম খান চেয়ারম্যান সাংবাদিকের গলায় জুতোর মালা; বিএমএসএফ’র তদন্ত কমিটি গঠন; তিনদিনের মধ্যে বিচার দাবি  পরকিয়ায় আত্মহত্যার দায়ভার স্বামী-শ্বাশুড়ীর উপর চাপানোর অভিযোগ বেলকুচিতে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের জন্য দোয়া ও আহতের আরগ্য কামনায় ছাত্র সমাবেশ

৩ হাজার বর্গমিটারের ‘রহস্যময়’ গোপন সুড়ঙ্গের অস্তিত্ব মিললো দক্ষিণ কোরিয়ায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৩০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল: কোরিয়ান বেশকিছু সিনেমায় ভয়াবহ ম্যানহোল সুড়ঙ্গ নিয়ে গল্প ফাঁদতে দেখা গেছে। তবে বাস্তবে এমন কিছুর অস্তিত্ব থাকাটা আসলেই অনেক রোমাঞ্চকর। এমনই এক সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল শহরে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় সিউল শহরে ৩ হাজার বর্গমিটারের ‘রহস্যময়’ এক সুড়ঙ্গের সন্ধান মিলেছে। দেশটির রাজধানী সিউলের সবচেয়ে বড় আইকনিক প্লাজার নিচে এ সুড়ঙ্গের খোঁজ পেয়েছে সিউল কর্তৃপক্ষ’।

মাটির নিচের এই সুড়ঙ্গ কয়েক দশক ধরে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অথচ কোরিয়ার সুপরিচিত স্থানগুলোর মধ্যে এই স্থানটি অন্যতম। বড় বড় বিক্ষোভ থেকে শুরু করে অনেক কনসার্টের জন্য এই স্থানটি বিখ্যাত। রহস্যময় এ সুড়ঙ্গ নিয়ে মানুষের মনে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছে ব্রিটেনের গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান’।

তবে এ সুড়ঙ্গ কবে, কেন বানানো হয়েছিল, সেই বিষয়ে নগর কর্তৃপক্ষ এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানায় দ্য গার্ডিয়ান।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুড়ঙ্গটি ৩ হাজার বর্গমিটার জুড়ে রয়েছে। এটি ৩৩৫ মিটার পর্যন্ত প্রসারিত। বছরের পর বছর এ সুড়ঙ্গটি অযত্ন, অবহেলায় পড়ে রয়েছে।’

গণমাধ্যমটি আরও জানায়, সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রবেশ করলে এর অন্ধকার ছাদ থেকে ভয়ংকর কিছু ঝুলে থাকতে দেখা যায়। দেখে মনে হয়, যেন এটা কোনো ভূগর্ভস্থ খনি।

কোরিয়া কর্তৃপক্ষ সুড়ঙ্গটিতে এক ঘণ্টার জন্য সকলের প্রবেশ উন্মুক্ত করলে এতে উৎসুক মানুষের ভীড় দেখা যায়’।

সুড়ঙ্গটি দেখতে আসা লি দ্য গার্ডিয়ানকে জানায়, “এই অভিজ্ঞতাটি একটু ভীতিকর ছিল। যে উদ্দেশ্যে বানানো হোক না কেন, এখান থেকে দর্শনার্থীরা শহরের ইতিহাস উপলব্ধি করতে পারবে।“

সুড়ঙ্গটি সিউল প্লাজার ঠিক ১৩ মিটার নীচে এবং এই প্লাজা ও সিউল সাবওয়ের ইউলজিরো ওয়ান–গা স্টেশনটির মাঝামাঝি অবস্থিত। ফলে প্রতি কয়েক মিনিট পর পর এখান থেকে ট্রেন যাতায়াতের শব্দ শোনা যায়।

ধারণা করা হচ্ছে, বিমান হামলা থেকে নাগরিকদের রক্ষা করতে এই সুড়ঙ্গ বানানো হয়েছিল। তবে সিউল কর্তৃপক্ষ বলছে, দুটি পাতাল রেল স্টেশনকে সংযুক্ত করার জন্য এটি নির্মিত হতে পারে, কিন্তু পরে কখনো ব্যবহার করা হয়নি।’

গার্ডিয়ান জানায়, রহস্যময় এই সুড়ঙ্গটির এক ঘণ্টার সফর ১৯৭০ এর দশকের শুরুর দিকে সিউল সাবওয়ে সিস্টেমের নির্মাণসহ শহরের পরিকল্পনার ইতিহাসের একটি ধারণা পাওয়া যায়’।

সিউলের ফিউচার আরবান স্পেসেস প্ল্যানিং ব্যুরোর প্রধান হং সান-কি দ্য গার্ডিয়ানকে জানায়, এই সফরটি শহরের লুকিয়ে থাকা ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা দেয়। এটি এমন একটি স্থান যেটা সম্পর্কে কেউ কখনো কল্পনাই করেনি।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৩ হাজার বর্গমিটারের ‘রহস্যময়’ গোপন সুড়ঙ্গের অস্তিত্ব মিললো দক্ষিণ কোরিয়ায়

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলা পোর্টাল: কোরিয়ান বেশকিছু সিনেমায় ভয়াবহ ম্যানহোল সুড়ঙ্গ নিয়ে গল্প ফাঁদতে দেখা গেছে। তবে বাস্তবে এমন কিছুর অস্তিত্ব থাকাটা আসলেই অনেক রোমাঞ্চকর। এমনই এক সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল শহরে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় সিউল শহরে ৩ হাজার বর্গমিটারের ‘রহস্যময়’ এক সুড়ঙ্গের সন্ধান মিলেছে। দেশটির রাজধানী সিউলের সবচেয়ে বড় আইকনিক প্লাজার নিচে এ সুড়ঙ্গের খোঁজ পেয়েছে সিউল কর্তৃপক্ষ’।

মাটির নিচের এই সুড়ঙ্গ কয়েক দশক ধরে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অথচ কোরিয়ার সুপরিচিত স্থানগুলোর মধ্যে এই স্থানটি অন্যতম। বড় বড় বিক্ষোভ থেকে শুরু করে অনেক কনসার্টের জন্য এই স্থানটি বিখ্যাত। রহস্যময় এ সুড়ঙ্গ নিয়ে মানুষের মনে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছে ব্রিটেনের গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান’।

তবে এ সুড়ঙ্গ কবে, কেন বানানো হয়েছিল, সেই বিষয়ে নগর কর্তৃপক্ষ এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানায় দ্য গার্ডিয়ান।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুড়ঙ্গটি ৩ হাজার বর্গমিটার জুড়ে রয়েছে। এটি ৩৩৫ মিটার পর্যন্ত প্রসারিত। বছরের পর বছর এ সুড়ঙ্গটি অযত্ন, অবহেলায় পড়ে রয়েছে।’

গণমাধ্যমটি আরও জানায়, সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রবেশ করলে এর অন্ধকার ছাদ থেকে ভয়ংকর কিছু ঝুলে থাকতে দেখা যায়। দেখে মনে হয়, যেন এটা কোনো ভূগর্ভস্থ খনি।

কোরিয়া কর্তৃপক্ষ সুড়ঙ্গটিতে এক ঘণ্টার জন্য সকলের প্রবেশ উন্মুক্ত করলে এতে উৎসুক মানুষের ভীড় দেখা যায়’।

সুড়ঙ্গটি দেখতে আসা লি দ্য গার্ডিয়ানকে জানায়, “এই অভিজ্ঞতাটি একটু ভীতিকর ছিল। যে উদ্দেশ্যে বানানো হোক না কেন, এখান থেকে দর্শনার্থীরা শহরের ইতিহাস উপলব্ধি করতে পারবে।“

সুড়ঙ্গটি সিউল প্লাজার ঠিক ১৩ মিটার নীচে এবং এই প্লাজা ও সিউল সাবওয়ের ইউলজিরো ওয়ান–গা স্টেশনটির মাঝামাঝি অবস্থিত। ফলে প্রতি কয়েক মিনিট পর পর এখান থেকে ট্রেন যাতায়াতের শব্দ শোনা যায়।

ধারণা করা হচ্ছে, বিমান হামলা থেকে নাগরিকদের রক্ষা করতে এই সুড়ঙ্গ বানানো হয়েছিল। তবে সিউল কর্তৃপক্ষ বলছে, দুটি পাতাল রেল স্টেশনকে সংযুক্ত করার জন্য এটি নির্মিত হতে পারে, কিন্তু পরে কখনো ব্যবহার করা হয়নি।’

গার্ডিয়ান জানায়, রহস্যময় এই সুড়ঙ্গটির এক ঘণ্টার সফর ১৯৭০ এর দশকের শুরুর দিকে সিউল সাবওয়ে সিস্টেমের নির্মাণসহ শহরের পরিকল্পনার ইতিহাসের একটি ধারণা পাওয়া যায়’।

সিউলের ফিউচার আরবান স্পেসেস প্ল্যানিং ব্যুরোর প্রধান হং সান-কি দ্য গার্ডিয়ানকে জানায়, এই সফরটি শহরের লুকিয়ে থাকা ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা দেয়। এটি এমন একটি স্থান যেটা সম্পর্কে কেউ কখনো কল্পনাই করেনি।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান