ঢাকা ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তপূর্বক অপসারণের দাবী রাজশাহীতে বৈষম্যমুক্ত নগরের দাবিতে আলোচনা সভা  বেলকুচিতে হত্যাকান্ডের বিচার ও পি আর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গণ সমাবেশ রামেকে একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলার অভিযোগ  খাজা মেডিকেল প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আমজাদ হোসেনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প  কাউন্দিয়া ইউনিয়নের মূর্তিমান আতঙ্কের অপর নাম’কুখ্যাত ভূমিদস্যু সাইফুল আলম খান চেয়ারম্যান সাংবাদিকের গলায় জুতোর মালা; বিএমএসএফ’র তদন্ত কমিটি গঠন; তিনদিনের মধ্যে বিচার দাবি  পরকিয়ায় আত্মহত্যার দায়ভার স্বামী-শ্বাশুড়ীর উপর চাপানোর অভিযোগ বেলকুচিতে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের জন্য দোয়া ও আহতের আরগ্য কামনায় ছাত্র সমাবেশ

যেসব বিষয়ে পশ্চিমারা সরকারকে চাপে ফেলতে পারে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচনের আগে বিভিন্ন বিষয়ে পশ্চিমারা বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে পারে। আর এই সমস্ত চাপের বিষয়গুলো ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে। এই চাপগুলো দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করা বা নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্যতার সংকটে ফেলার চেষ্টা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা’। নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলো বেশ কিছু ঘটনা ঘটাতে পারে বা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে, যা আগামী নির্বাচনের জন্য এক ধরনের হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বা অনিশ্চয়তা তৈরী করতে পারে।

যেসব বিষয়ে পশ্চিমারা বাংলাদেশকে সরাসরি চাপ দিতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে-

১. বাণিজ্য সংকোচন: ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ইতিমধ্যে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে একটি নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এই নিন্দা প্রস্তাবের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করতে যেয়ে অনেকে মনে করছেন, ইইউ’র সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের উপর এর প্রভাব পড়তে পারে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের পণ্যের বড় বাজার। বাংলাদেশের মোট পণ্য রপ্তানির ৪৮ শতাংশের গন্তব্য ইইউভুক্ত ২৭টি দেশ। দেশে বছরে রপ্তানির পরিমান আড়াই হাজার কোটি ডলার। তার বিপরীতে ইউরোপ থেকে আমদানি হয় চারশো কোটি ডলারেরও কম। ফলে ইউরোপের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে আমাদের যে সমস্ত পণ্য রপ্তানি হয়, তার মধ্যে ৯৩ শতাংশই পোশাক। অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা বা জিএসপির কল্যাণে গত দুই দশকে এই বাজারে পোশাক শিল্প শক্ত জায়গায় পৌঁছেছে। এবার ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, সেই প্রস্তাবের ফলে এই বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের ইস্যুতে যদি ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এই বাজার নিয়ে প্রশ্ন তুলে বা বাজার সংকোচনের নীতি গ্রহণ করে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ বড় একটি ধাক্কা খাবে। আর এই কারণেই অনেকে মনে করছেন, মানবাধিকার নিয়ে ইউরোপের পার্লামেন্টের এই প্রস্তাবটিকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই।

২. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে নানা রকম সহায়তা দেয়, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের সামরিক সহায়তা বন্ধের হুমকি আসতে পারে বলেও বিভিন্ন মহল মনে করছে। বিশেষ করে মানবাধিকার ইস্যুতে এ ধরনের হুমকি দেওয়া হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন’।

৩. জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন: নির্বাচনের আগে সবচেয়ে বড় যে আঘাতটি আসার শঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা হলো জাতিসংঘের শান্তি মিশন। বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তি মিশনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী বাংলাদেশেরই রয়েছে। আর যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছর ধরে টানা অপপ্রচার করছে, বিভিন্ন পশ্চিমা দেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, তাদের এখন প্রধান টার্গেট হলো শান্তি মিশন বন্ধ করে দেওয়া এবং এটিই তাদের হাতে শেষ অস্ত্র। যারা এই ধরনের অপপ্রচার করছে তারা জানে যে, ২০০৭ সালে এক/এগারো আনার ক্ষেত্রে এই শান্তি মিশনকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।’

এখন তারা বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলোতে এ নিয়ে দেন-দরবার করছেন, লবিং করছেন। সেখানে সরকারের আসু পাল্টা কূটনীতি জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তা না হলে এই তিনটি বিষয় নিয়েই সরকারের ওপর যে চাপ, তা নির্বাচনেও প্রভাব ফেলতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

যেসব বিষয়ে পশ্চিমারা সরকারকে চাপে ফেলতে পারে

আপডেট সময় : ০৯:৫১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচনের আগে বিভিন্ন বিষয়ে পশ্চিমারা বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে পারে। আর এই সমস্ত চাপের বিষয়গুলো ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে। এই চাপগুলো দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করা বা নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্যতার সংকটে ফেলার চেষ্টা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা’। নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলো বেশ কিছু ঘটনা ঘটাতে পারে বা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে, যা আগামী নির্বাচনের জন্য এক ধরনের হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বা অনিশ্চয়তা তৈরী করতে পারে।

যেসব বিষয়ে পশ্চিমারা বাংলাদেশকে সরাসরি চাপ দিতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে-

১. বাণিজ্য সংকোচন: ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ইতিমধ্যে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে একটি নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এই নিন্দা প্রস্তাবের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করতে যেয়ে অনেকে মনে করছেন, ইইউ’র সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের উপর এর প্রভাব পড়তে পারে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের পণ্যের বড় বাজার। বাংলাদেশের মোট পণ্য রপ্তানির ৪৮ শতাংশের গন্তব্য ইইউভুক্ত ২৭টি দেশ। দেশে বছরে রপ্তানির পরিমান আড়াই হাজার কোটি ডলার। তার বিপরীতে ইউরোপ থেকে আমদানি হয় চারশো কোটি ডলারেরও কম। ফলে ইউরোপের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে আমাদের যে সমস্ত পণ্য রপ্তানি হয়, তার মধ্যে ৯৩ শতাংশই পোশাক। অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা বা জিএসপির কল্যাণে গত দুই দশকে এই বাজারে পোশাক শিল্প শক্ত জায়গায় পৌঁছেছে। এবার ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, সেই প্রস্তাবের ফলে এই বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের ইস্যুতে যদি ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এই বাজার নিয়ে প্রশ্ন তুলে বা বাজার সংকোচনের নীতি গ্রহণ করে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ বড় একটি ধাক্কা খাবে। আর এই কারণেই অনেকে মনে করছেন, মানবাধিকার নিয়ে ইউরোপের পার্লামেন্টের এই প্রস্তাবটিকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই।

২. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে নানা রকম সহায়তা দেয়, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের সামরিক সহায়তা বন্ধের হুমকি আসতে পারে বলেও বিভিন্ন মহল মনে করছে। বিশেষ করে মানবাধিকার ইস্যুতে এ ধরনের হুমকি দেওয়া হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন’।

৩. জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন: নির্বাচনের আগে সবচেয়ে বড় যে আঘাতটি আসার শঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা হলো জাতিসংঘের শান্তি মিশন। বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তি মিশনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী বাংলাদেশেরই রয়েছে। আর যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছর ধরে টানা অপপ্রচার করছে, বিভিন্ন পশ্চিমা দেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, তাদের এখন প্রধান টার্গেট হলো শান্তি মিশন বন্ধ করে দেওয়া এবং এটিই তাদের হাতে শেষ অস্ত্র। যারা এই ধরনের অপপ্রচার করছে তারা জানে যে, ২০০৭ সালে এক/এগারো আনার ক্ষেত্রে এই শান্তি মিশনকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।’

এখন তারা বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলোতে এ নিয়ে দেন-দরবার করছেন, লবিং করছেন। সেখানে সরকারের আসু পাল্টা কূটনীতি জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তা না হলে এই তিনটি বিষয় নিয়েই সরকারের ওপর যে চাপ, তা নির্বাচনেও প্রভাব ফেলতে পারে।