ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ: অপসরন চেয়ে সারা দেশে চলছে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ  আজ মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা: রাজশাহীতে দেবীর চরণে ভক্তের শ্রদ্ধা রাউজানে মন্ডপে মন্ডপে চলছে দূর্গাপূজা রায়গঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৫ জনকে কারাদন্ড টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা

লাগাতার রাজপথে অবস্থান নিতে চায় বিএনপি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রংপুর এবং রাজশাহী দুই অঞ্চলে দুই দিনের তারুণ্যের রোডমার্চ শেষে ১৮ সেপ্টেম্বর বিএনপি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে। আজ শনিবার রংপুর থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত এবং আগামীকাল রোববার বগুড়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত এই রোডমার্চ হবে। এরপর থেকে এক দফা দাবিতে আগামী সোমবার যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি এবং তার সমমনা জোটগুলো।”

বিএনপির নেতারা বলছেন যে, ১৮ তারিখ থেকে লাগাতার কর্মসূচিতে যেতে চায় বিএনপি এবং এই কর্মসূচিগুলো রাজপথে অবস্থানের মতো হতে পারে বলে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছে। বিএনপি মনে করছে, রাজপথে অবস্থানের মধ্যে দিয়ে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়াই তাদের কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য। তবে এই কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ এবং কোনো সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

বিএনপির দুইজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন যে, ১৮ সেপ্টেম্বর বিএনপি যে কর্মসূচি ঘোষণা করবে সেই কর্মসূচি হলো লাগাতার কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না, সহিংস করা হবে না’।

বিএনপি কি ধরনের লাগাতার কর্মসূচি দিতে পারে-এরকম বক্তব্যে তারা বলেন যে, সবগুলো বিভাগ থেকে ঢাকা অভিমুখে রোডমার্চ হতে পারে কিংবা সারাদেশে একযোগে গণমিছিলের মাধ্যমে রাজপথে অবস্থানের কর্মসূচি হতে পারে। আজ এবং আগামীকালের কর্মসূচির পরপরই বিএনপি নেতারা লন্ডনে পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন এবং তারেক জিয়ার সাথে কথা বলে চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমাদের কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য হলো জনগণকে রাজপথে নিয়ে আসা এবং জনগণকে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা।

লাগাতার রাজপথে অবস্থানের ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে কিনা এবং জনগণের স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্ন হতে পারে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন যে, আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং একদফা অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ থেকে সরে যাব না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান কাজ হলো জনগণের জানমালের হেফাজত করা এবং যেকোন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা। কেউ যদি জনগণকে জিম্মি করতে চায় বা রোডমার্চের নামে ঢাকা অবরোধ করতে চায়, সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বসে থাকবে না’।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন যে, সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মসূচি পালন করে এক মাসের মধ্যে চূড়ান্তভাবে সরকারকে কোণঠাসা করতে হবে। না হলে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন ঠেকানো যাবে না। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন যে, বিএনপির অনেকেই এ ধরনের কর্মসূচিকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। এই ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে আদৌ সরকারকে চাপে ফেলা সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ রোডমার্চ বা পদযাত্রাতে যখন রাজপথ বন্ধ করে দেওয়া হবে তখন সাধারণ নাগরিকদের জন্য ভোগান্তি হবে, পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপ করবে এবং তার দায় পড়বে বিএনপির ওপর। এই ধরনের কর্মসূচির মধ্যে পালন করার মতো সাংগঠনিক শক্তি বিএনপির আছে কিনা তা নিয়েও কারো কারো মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে’।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

লাগাতার রাজপথে অবস্থান নিতে চায় বিএনপি

আপডেট সময় : ০৬:১৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: রংপুর এবং রাজশাহী দুই অঞ্চলে দুই দিনের তারুণ্যের রোডমার্চ শেষে ১৮ সেপ্টেম্বর বিএনপি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে। আজ শনিবার রংপুর থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত এবং আগামীকাল রোববার বগুড়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত এই রোডমার্চ হবে। এরপর থেকে এক দফা দাবিতে আগামী সোমবার যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি এবং তার সমমনা জোটগুলো।”

বিএনপির নেতারা বলছেন যে, ১৮ তারিখ থেকে লাগাতার কর্মসূচিতে যেতে চায় বিএনপি এবং এই কর্মসূচিগুলো রাজপথে অবস্থানের মতো হতে পারে বলে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছে। বিএনপি মনে করছে, রাজপথে অবস্থানের মধ্যে দিয়ে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়াই তাদের কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য। তবে এই কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ এবং কোনো সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

বিএনপির দুইজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন যে, ১৮ সেপ্টেম্বর বিএনপি যে কর্মসূচি ঘোষণা করবে সেই কর্মসূচি হলো লাগাতার কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না, সহিংস করা হবে না’।

বিএনপি কি ধরনের লাগাতার কর্মসূচি দিতে পারে-এরকম বক্তব্যে তারা বলেন যে, সবগুলো বিভাগ থেকে ঢাকা অভিমুখে রোডমার্চ হতে পারে কিংবা সারাদেশে একযোগে গণমিছিলের মাধ্যমে রাজপথে অবস্থানের কর্মসূচি হতে পারে। আজ এবং আগামীকালের কর্মসূচির পরপরই বিএনপি নেতারা লন্ডনে পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন এবং তারেক জিয়ার সাথে কথা বলে চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমাদের কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য হলো জনগণকে রাজপথে নিয়ে আসা এবং জনগণকে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা।

লাগাতার রাজপথে অবস্থানের ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে কিনা এবং জনগণের স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্ন হতে পারে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন যে, আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং একদফা অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ থেকে সরে যাব না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান কাজ হলো জনগণের জানমালের হেফাজত করা এবং যেকোন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা। কেউ যদি জনগণকে জিম্মি করতে চায় বা রোডমার্চের নামে ঢাকা অবরোধ করতে চায়, সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বসে থাকবে না’।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন যে, সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মসূচি পালন করে এক মাসের মধ্যে চূড়ান্তভাবে সরকারকে কোণঠাসা করতে হবে। না হলে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন ঠেকানো যাবে না। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন যে, বিএনপির অনেকেই এ ধরনের কর্মসূচিকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। এই ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে আদৌ সরকারকে চাপে ফেলা সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ রোডমার্চ বা পদযাত্রাতে যখন রাজপথ বন্ধ করে দেওয়া হবে তখন সাধারণ নাগরিকদের জন্য ভোগান্তি হবে, পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপ করবে এবং তার দায় পড়বে বিএনপির ওপর। এই ধরনের কর্মসূচির মধ্যে পালন করার মতো সাংগঠনিক শক্তি বিএনপির আছে কিনা তা নিয়েও কারো কারো মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে’।