ঢাকা ০২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপিত 

৫ মন্ত্রীর ব্যর্থতা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হতাশা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৪:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমান সরকার টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে’। পনেরো বছরে বাংলাদেশে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। জনগণের জীবন জীবনমান বিকশিত হয়েছে, মানুষের আয় বেড়েছে, সুযোগ সুবিধা বেড়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা, তথ্য প্রযুক্তি, অন্যান্য ক্ষেত্রে রীতিমতো বিপ্লব হয়েছে। কিন্তু তারপরও মানুষের মধ্যে এক ধরনের অসন্তুষ্টি, হতাশা। আওয়ামী লীগের যে সমস্ত নেতাকর্মীরা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা প্রতিনিয়ত মানুষের অস্বস্তি এবং বেদনার কথা শোনেন। এই বেদনা এবং অস্বস্তি নিয়ে তারা আলোচনাও করেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক তৃণমূলের নেতা মনে করেন যে, ৫ জন মন্ত্রীর ব্যর্থতার দায় গোটা সরকারের ওপর আসছে এবং সরকারের সব অর্জনকে এই ৫ মন্ত্রী ব্যর্থতায় পর্যবসিত করে দিচ্ছে। সরকারের অর্জন ম্লান করার জন্য ৫ মন্ত্রীকে দায়ী করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। এদের মধ্যে রয়েছেন;

১. বাণিজ্যমন্ত্রী: ব্যর্থ মন্ত্রীদের তালিকায় শীর্ষ নামটি অবশ্যই বাণিজ্যমন্ত্রী’। তিনি বাজারে ডিম সহ কৃষি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে যে এই নির্ধারিত মূল্যের ধারের কাছেও পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। বাণিজ্যমন্ত্রীর এ ধরনের আশ্বাস এবং পদক্ষেপ এটি প্রথম নয়। তিনি বিভিন্ন সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ গুলো নিয়েছেন তার সবই অবৈজ্ঞানিক এবং বাস্তবতা বিবর্জিত। আর এ কারণেই বাজারের ওপর কোনো ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি। এবারও সেই একই কাণ্ড ঘটলো। বরং এটির ফলে আরেক ধরনের অরাজকতা তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী একের পর এক ব্যর্থ দায়িত্ব জ্ঞানহীন তৎপরতার পরও তিনি কিভাবে দায়িত্বে আছেন এই প্রশ্ন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের।

২. অর্থমন্ত্রী: অর্থমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছেন অর্থনীতির অবস্থা নাকি খুবই ভালো’। অর্থনীতি নিয়ে যারা সমালোচনা করে তারা অর্থনীতির কিছুই বোঝে না। অর্থমন্ত্রী নিজে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যান না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও তাকে পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে তিনি উদয় হন। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন শঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে গেছে। ডলারের সংকট নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে হাহাকার। ব্যাংক গুলোর অবস্থা ভালো নয় বলে প্রতিনিয়ত খবর বেরোচ্ছে। এর মধ্যে তিনি অর্থনীতি ভালো দেখেন কিভাবে। অর্থমন্ত্রী যদি কার্যকর এবং জোরালো হতেন তাহলে এই পরিস্থিতি হতো না বলেই অনেকে মনে করেন।

৩. পররাষ্ট্রমন্ত্রী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা এবং সাফল্য তুলে ধরার কাজে ব্যস্ত তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাগামহীন কথাবার্তা জনবিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে’। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও তার বক্তব্য নিয়ে বিব্রত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে জো বাইডেনের সাথে কথা বলেছেন, জো বাইডেনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন। কিন্তু এই ঘটনাটিকে এমন ভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থাপনা করেছেন যে বিরোধী পক্ষ এটি নিয়ে এখন বিতর্ক করার সুযোগ পাচ্ছে। একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একজন কূটনীতিবিদ। তিনি অকূটনৈতিক দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলেন কেন? এ প্রশ্ন আওয়ামী লীগের।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রী, ভারতকে বলেছি বাংলাদেশে আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে ইত্যাদি নানা রকম বিতর্কিত অকূটনৈতিক বক্তব্য দিয়ে হাসির পাত্র হয়েছেন। এই অবস্থায় স্পর্শকাতর একটি কূটনৈতিক পথ অতিক্রম করছে বাংলাদেশ বলেই মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা।

৪. স্বাস্থ্যমন্ত্রী: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এর আগের মেয়াদে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এবার তিনি পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি পান। কিন্তু পদোন্নতি পাওয়ার পরপরই তিনি একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। স্বাস্থ্য খাতে নানা ব্যর্থতা, দুর্নীতি এবং অনিয়মের পরও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নির্বিকার’। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রথমবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছিল। সে সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাউকে না জানিয়ে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। এরপর বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে একের পর এক বড় বড় ঘটনাগুলোতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভূমিকা বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। যদিও তিনি নিজেকে সফল মন্ত্রী হিসেবে দাবি করেন।

করোনা মোকাবিলার সময়ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নানা অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে আলোচিত হয়’। এ রকম পরিস্থিতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সহ একাধিক ব্যক্তিকে সরে যেতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করে। তারপরও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেকে করোনা মোকাবিলায় সফল বলে দাবি করার চেষ্টা করেন। এখন ডেঙ্গুর যে অবস্থা তাতে হাসপাতালগুলোতে নূন্যতম সুযোগ-সুবিধা না থাকার অভিযোগ উঠলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে মশা নিয়ন্ত্রণ না করলে ডেঙ্গু মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। ডেঙ্গু মোকাবিলা করার কথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কেউ বলেনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে সকলে চায় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা। কিন্তু তিনি সেটা দিতে পেরেছেন বলে মনে করেন না সাধারণ মানুষ।

৫. বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী: বিদ্যুৎ ছিল সরকারের একটি বড় অর্জন। কিন্তু বর্তমান সময়ে দেশের অর্থনৈতিক সংকটের একটি বড় কারণ হল বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি এবং নানা রকম অনিয়ম বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন।’ এছাড়াও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে দুর্নীতি, অনিয়ম এবং সুদূর প্রসারী জ্বালানি নীতির অভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত আবার সংকটে মুখে পড়েছে।

এই ৫ মন্ত্রীর কারণেই আওয়ামী লীগ সরকারের সব অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৫ মন্ত্রীর ব্যর্থতা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হতাশা

আপডেট সময় : ১০:৪৪:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমান সরকার টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে’। পনেরো বছরে বাংলাদেশে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। জনগণের জীবন জীবনমান বিকশিত হয়েছে, মানুষের আয় বেড়েছে, সুযোগ সুবিধা বেড়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা, তথ্য প্রযুক্তি, অন্যান্য ক্ষেত্রে রীতিমতো বিপ্লব হয়েছে। কিন্তু তারপরও মানুষের মধ্যে এক ধরনের অসন্তুষ্টি, হতাশা। আওয়ামী লীগের যে সমস্ত নেতাকর্মীরা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা প্রতিনিয়ত মানুষের অস্বস্তি এবং বেদনার কথা শোনেন। এই বেদনা এবং অস্বস্তি নিয়ে তারা আলোচনাও করেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক তৃণমূলের নেতা মনে করেন যে, ৫ জন মন্ত্রীর ব্যর্থতার দায় গোটা সরকারের ওপর আসছে এবং সরকারের সব অর্জনকে এই ৫ মন্ত্রী ব্যর্থতায় পর্যবসিত করে দিচ্ছে। সরকারের অর্জন ম্লান করার জন্য ৫ মন্ত্রীকে দায়ী করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। এদের মধ্যে রয়েছেন;

১. বাণিজ্যমন্ত্রী: ব্যর্থ মন্ত্রীদের তালিকায় শীর্ষ নামটি অবশ্যই বাণিজ্যমন্ত্রী’। তিনি বাজারে ডিম সহ কৃষি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে যে এই নির্ধারিত মূল্যের ধারের কাছেও পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। বাণিজ্যমন্ত্রীর এ ধরনের আশ্বাস এবং পদক্ষেপ এটি প্রথম নয়। তিনি বিভিন্ন সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ গুলো নিয়েছেন তার সবই অবৈজ্ঞানিক এবং বাস্তবতা বিবর্জিত। আর এ কারণেই বাজারের ওপর কোনো ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি। এবারও সেই একই কাণ্ড ঘটলো। বরং এটির ফলে আরেক ধরনের অরাজকতা তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী একের পর এক ব্যর্থ দায়িত্ব জ্ঞানহীন তৎপরতার পরও তিনি কিভাবে দায়িত্বে আছেন এই প্রশ্ন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের।

২. অর্থমন্ত্রী: অর্থমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছেন অর্থনীতির অবস্থা নাকি খুবই ভালো’। অর্থনীতি নিয়ে যারা সমালোচনা করে তারা অর্থনীতির কিছুই বোঝে না। অর্থমন্ত্রী নিজে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যান না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও তাকে পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে তিনি উদয় হন। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন শঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে গেছে। ডলারের সংকট নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে হাহাকার। ব্যাংক গুলোর অবস্থা ভালো নয় বলে প্রতিনিয়ত খবর বেরোচ্ছে। এর মধ্যে তিনি অর্থনীতি ভালো দেখেন কিভাবে। অর্থমন্ত্রী যদি কার্যকর এবং জোরালো হতেন তাহলে এই পরিস্থিতি হতো না বলেই অনেকে মনে করেন।

৩. পররাষ্ট্রমন্ত্রী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা এবং সাফল্য তুলে ধরার কাজে ব্যস্ত তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাগামহীন কথাবার্তা জনবিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে’। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও তার বক্তব্য নিয়ে বিব্রত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে জো বাইডেনের সাথে কথা বলেছেন, জো বাইডেনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন। কিন্তু এই ঘটনাটিকে এমন ভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থাপনা করেছেন যে বিরোধী পক্ষ এটি নিয়ে এখন বিতর্ক করার সুযোগ পাচ্ছে। একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একজন কূটনীতিবিদ। তিনি অকূটনৈতিক দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলেন কেন? এ প্রশ্ন আওয়ামী লীগের।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রী, ভারতকে বলেছি বাংলাদেশে আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে ইত্যাদি নানা রকম বিতর্কিত অকূটনৈতিক বক্তব্য দিয়ে হাসির পাত্র হয়েছেন। এই অবস্থায় স্পর্শকাতর একটি কূটনৈতিক পথ অতিক্রম করছে বাংলাদেশ বলেই মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা।

৪. স্বাস্থ্যমন্ত্রী: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এর আগের মেয়াদে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এবার তিনি পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি পান। কিন্তু পদোন্নতি পাওয়ার পরপরই তিনি একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। স্বাস্থ্য খাতে নানা ব্যর্থতা, দুর্নীতি এবং অনিয়মের পরও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নির্বিকার’। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রথমবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছিল। সে সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাউকে না জানিয়ে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। এরপর বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে একের পর এক বড় বড় ঘটনাগুলোতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভূমিকা বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। যদিও তিনি নিজেকে সফল মন্ত্রী হিসেবে দাবি করেন।

করোনা মোকাবিলার সময়ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নানা অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে আলোচিত হয়’। এ রকম পরিস্থিতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সহ একাধিক ব্যক্তিকে সরে যেতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করে। তারপরও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেকে করোনা মোকাবিলায় সফল বলে দাবি করার চেষ্টা করেন। এখন ডেঙ্গুর যে অবস্থা তাতে হাসপাতালগুলোতে নূন্যতম সুযোগ-সুবিধা না থাকার অভিযোগ উঠলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে মশা নিয়ন্ত্রণ না করলে ডেঙ্গু মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। ডেঙ্গু মোকাবিলা করার কথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কেউ বলেনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে সকলে চায় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা। কিন্তু তিনি সেটা দিতে পেরেছেন বলে মনে করেন না সাধারণ মানুষ।

৫. বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী: বিদ্যুৎ ছিল সরকারের একটি বড় অর্জন। কিন্তু বর্তমান সময়ে দেশের অর্থনৈতিক সংকটের একটি বড় কারণ হল বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি এবং নানা রকম অনিয়ম বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন।’ এছাড়াও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে দুর্নীতি, অনিয়ম এবং সুদূর প্রসারী জ্বালানি নীতির অভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত আবার সংকটে মুখে পড়েছে।

এই ৫ মন্ত্রীর কারণেই আওয়ামী লীগ সরকারের সব অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই।