আলু বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন মজুতদাররা
- আপডেট সময় : ০৯:৪০:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর থেকে পাঁচ দিন ধরে মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অধিকাংশ হিমাগারে আলু বিক্রি বন্ধ রয়েছে।’
রোববার থেকে পাকা রসিদের মাধ্যমে ২৬ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে পাইকারি এবং খুচরা বাজারে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেওয়ার পরও বাস্তবায়ন দেখা যায়নি।
দাম বাড়ানো না হলে আলু বিক্রি করবেন না বলে জানিয়েছেন হিমাগারের মজুতদাররা। ফলে খুচরা বাজারে সংকট দেখা দেওয়ায় বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে জানা গেছে, এভাবে চলতে থাকলে প্রশাসনও কঠোর অবস্থানে যাবে। ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি না করলে, প্রশাসন সে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হবে’।
এদিকে সবজি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামে হিমাগারের মজুতদাররা আলু বিক্রি না করায় তাঁরা আলু কিনতে পারছেন না। বেশি দামে আলু কিনে আনলে খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের আবার জরিমানার মুখে পড়ার আশঙ্কা আছে। তাই তাঁরা আলু কেনাবেচা বন্ধ রেখেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাইকারি ব্যবসায়ী গণমাধ্যমকে জানান, সব ব্যবসায়ীকে নিয়ে এক গোপন সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সরকার আলুর দাম না বাড়ালে আগামী সাতদিন হিমাগারে কোনো আলু বিক্রি হবে না। আরেক ব্যবসায়ী বলেন, সরকারের বাড়াবাড়ির কারণে এখন আলু বিক্রি বন্ধ আছে। আমরা আলু বিক্রি করতে চাই। তবে সরকারের নির্ধারিত দামে নয়। আরেক ব্যবসায়ী জানান, বৃহস্পতিবারের পর থেকে কোনো হিমাগারে আলু বিক্রি হচ্ছে না। হিমাগার থেকে কিছু আলু বের হচ্ছে। সেগুলো দাম নির্ধারণ ছাড়াই চট্টগ্রাম, বরিশালের আড়তে পাঠানো হচ্ছে। সেখানেই দাম নির্ধারণ করে বিক্রি হচ্ছে’।
গত বৃহস্পতিবার সরকার আলুর দাম খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং হিমাগার পর্যায়ে ২৬ থেকে ২৭ টাকা বেঁধে দেয়। তবে এই দাম মানেননি ব্যবসায়ীরা। হিমাগার পর্যায়ে ৩৯ থেকে ৪০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করতে থাকেন ব্যবসায়ীরা।











