মন্ত্রীর এলাকায় নদী ভাঙ্গন রুধে ফেলা হচ্ছে ঝার-ফোকের বস্তা
- আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল: রংপুর ২১-০৯-২৩ রংপুরের কাউনিয়া উপজেলামর ৪ টি ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রবাহিত খরস্রতা তিস্তা নদী স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও খনন না হওয়ায় প্রতি বছর নদীর পেটে চলে যাচ্ছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলী জমি সহ শত-শত ঘর-বাড়ি। ইতোমধ্যে কাউনিয়ার মানচিত্র থেকে বাদ পরেছে একটি গ্রাম । বর্তমানে গদাই গ্রামে শুরু হয়েছে ভয়াবহ তিস্তা নদীর ভাঙ্গন। গদাই গ্রামের অনেক ফসলী জমি ও বেশ কিছু ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীভাঙ্গন এলাকার ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ শাহালমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,প্রতি বছর বন্যা, নদী ভাঙ্গন দেখা দিলে সাধারন মানুষ গুলোকে নদী ভাঙ্গন রোধে আশ্বাসের বানী শোনায় মন্ত্রী, এমপি, চেয়ারম্যান ও প্রশাসন। কাজের কাজ কিছুই নেই। নদী ভাঙ্গনে ফসলী জমি আর বাড়ি ভিটা হারিয়ে পথে বসেছে শত-শত মানুষ। তাদের দুঃখ দেখার যেন কেউ নেই। তিস্তা নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। পানি কমার সাথে সাথে নতুন নতুন এলাকা গ্রাস করছে এ পাগলা নদী।কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। এরই মধ্যে অনেকের বসতভিটা ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। কিছু দিন আগে বালাপাড়া ও টেপামধুপুর ইউনিয়নের ৩-শতাধিক ঘর-বাড়ি সহ প্রায় ৫০০ হেক্টর ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। গদাই গ্রামে ভাঙ্গন রোধে নামে মাত্র এখন কিছু টা চলছে ঝাড়ফোকের বস্তা ফেলার কাজ। ফলে আতংকে দিন কাটাচ্ছে নদীর তীরবর্তি মানুষেরা। ভিটে মাটি হারা মানুষ গুলো উপায় না পেয়ে তাঁরা অন্য স্থানে চলে যাচ্ছে। গদাই গ্রামের কৃষক ফজল মিয়া (৮০) ৩ দিন আগেও তার সব ছিল, এখন তার মাথা গুজার ঠাঁই নেই। ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আনারুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি বললেন, ভাঙ্গন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটছে গদাই গ্রামের বাসিন্দাদের। বর্তমান বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি নদী ভাঙ্গন রোধে গার্ড ব্যাংক নির্মাণ ও নদী খননের আশ্বাস প্রদান করেছিলেন। সেই আশ্বাসের বাণী আজ নিরবে কাঁদে।
সবাই শুধু আসে দেখে আশ্বাস দেয়, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেনা। বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, তার এলাকায় প্রায় শতাধিক বাড়ি ও ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রংপুর এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব গদাই গ্রামের নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।











