সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা বেলকুচিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ  শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা

কুড়িগ্রামে দরিদ্র কলেজ ছাএী মুন্নি’র পাশে দাঁড়ালেন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল: (কুড়িগ্রাম) অতি দরিদ্র পরিবারের জন্ম নেয়া মোনালিসা আক্তার মুন্নি। অর্থাভাবে এইচএসসি’র বই কিনে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া ছিল অসম্ভব। শুরুতেই দারিদ্রতার কাছে পরাজিত হয়ে প্রায় বন্ধ হতে চলছিল মুন্নির শিক্ষা জীবন। এমনি এক দুর্দশাগ্রস্ত অন্ধকার জীবনে আলোর হাতছানি হয়ে মুন্নি’র পাশে দাঁড়ালেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মুন্নির বাড়ীতে গিয়ে নতুন বই,খাতা,ছাতা কলম কলেজ ব্যাগ সহ যাবতীয় শিক্ষাসামগ্রী নগদ অর্থ গ্রদান করলেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এর পক্ষে অপারেশন ইনচার্জ হাসিব মিয়া।

মোনালিসা আক্তার মুন্নী কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের ভোগরাম গ্রামের আব্দুল মোমিনের মেয়ে। সে গত বছর এসএসসি পাশ করে বর্তমানে উলিপুর উপজেলার পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

মুন্নি’র বাবা আব্দুল মোমিন পেশায় একজন দিনমজুর। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঠিকমত কাজ করতে পারেন না। মা অন্যের বাড়ীতে কাজ করে কোনোরকম সংসার চালান। নূন আনতে পান্তা ফুড়ায়’ এমন কষ্টের সংসারে মুন্নির লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। কলেজে ভর্তি হওয়ার এক বছর হতে চললেও সে বই কিনতে পারছিল না। অথচ আগামী ৫ অক্টোবর তার প্রথম বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা। মুন্নি’র এহেন অবস্হা জানতে পেরে পাঁশে দাঁড়ালেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের শিক্ষা উপবৃত্তি পেয়ে মোনালিসা আক্তার বলে, আমরা গরিব এক সংগে এতোগুলো খাতা কলম বই কেনা কোন ভাবেই সম্ভব ছিলনা। ‘মা অন্যের বাসায় কাজ করেন এতো টাকা আমাদের ছিলনা। খুব খুশি হয়েছি। অভিনন্দন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনে’কে শিক্ষা বৃত্তি’র মত মহতি উদ্যোগ আজ আমাকে ঘুরে দাঁড়াবার সাহস যুগিয়েছে। কৃতজ্ঞ আমি তাদের কাছে।

এ বিষয়ে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের অপারেশন ইনচার্জ হাসিব মিয়া বলেন, শিক্ষার প্রসারে প্রতিবছর বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন শিক্ষাবৃত্তি প্রোগ্রাম করে। এরই ধারাবাহিকতায় কুড়িগ্রামে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়েছে।

মুন্নির বিষয়টি দেরিতে হলেও জানতে পেরে তাকে এককালীন শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কুড়িগ্রামে দরিদ্র কলেজ ছাএী মুন্নি’র পাশে দাঁড়ালেন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন 

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলা পোর্টাল: (কুড়িগ্রাম) অতি দরিদ্র পরিবারের জন্ম নেয়া মোনালিসা আক্তার মুন্নি। অর্থাভাবে এইচএসসি’র বই কিনে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া ছিল অসম্ভব। শুরুতেই দারিদ্রতার কাছে পরাজিত হয়ে প্রায় বন্ধ হতে চলছিল মুন্নির শিক্ষা জীবন। এমনি এক দুর্দশাগ্রস্ত অন্ধকার জীবনে আলোর হাতছানি হয়ে মুন্নি’র পাশে দাঁড়ালেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মুন্নির বাড়ীতে গিয়ে নতুন বই,খাতা,ছাতা কলম কলেজ ব্যাগ সহ যাবতীয় শিক্ষাসামগ্রী নগদ অর্থ গ্রদান করলেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এর পক্ষে অপারেশন ইনচার্জ হাসিব মিয়া।

মোনালিসা আক্তার মুন্নী কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের ভোগরাম গ্রামের আব্দুল মোমিনের মেয়ে। সে গত বছর এসএসসি পাশ করে বর্তমানে উলিপুর উপজেলার পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

মুন্নি’র বাবা আব্দুল মোমিন পেশায় একজন দিনমজুর। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঠিকমত কাজ করতে পারেন না। মা অন্যের বাড়ীতে কাজ করে কোনোরকম সংসার চালান। নূন আনতে পান্তা ফুড়ায়’ এমন কষ্টের সংসারে মুন্নির লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। কলেজে ভর্তি হওয়ার এক বছর হতে চললেও সে বই কিনতে পারছিল না। অথচ আগামী ৫ অক্টোবর তার প্রথম বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা। মুন্নি’র এহেন অবস্হা জানতে পেরে পাঁশে দাঁড়ালেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের শিক্ষা উপবৃত্তি পেয়ে মোনালিসা আক্তার বলে, আমরা গরিব এক সংগে এতোগুলো খাতা কলম বই কেনা কোন ভাবেই সম্ভব ছিলনা। ‘মা অন্যের বাসায় কাজ করেন এতো টাকা আমাদের ছিলনা। খুব খুশি হয়েছি। অভিনন্দন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনে’কে শিক্ষা বৃত্তি’র মত মহতি উদ্যোগ আজ আমাকে ঘুরে দাঁড়াবার সাহস যুগিয়েছে। কৃতজ্ঞ আমি তাদের কাছে।

এ বিষয়ে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের অপারেশন ইনচার্জ হাসিব মিয়া বলেন, শিক্ষার প্রসারে প্রতিবছর বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন শিক্ষাবৃত্তি প্রোগ্রাম করে। এরই ধারাবাহিকতায় কুড়িগ্রামে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়েছে।

মুন্নির বিষয়টি দেরিতে হলেও জানতে পেরে তাকে এককালীন শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হলো।