সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা বেলকুচিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ  শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা

কতজনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৪১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর ভিসানীতি কার্যকরের ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণা দেওয়া সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনীতিবিদ এবং বিরোধী দলের কয়েকজনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাদের যদি ভিসা থেকে থাকে তাহলে সেই ভিসা বাতিল হবে। আর যদি ভিসা না থাকে তাহলে তারা ভিসার আবেদন করলে তার প্রত্যাখ্যাত হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে এটাও জানানো হয়েছে যে, এটি একান্ত গোপনীয় এবং ব্যক্তিগত বিষয়। কারা কারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়লেন তাদের নাম প্রকাশ্যে ঘোষণা করা হবে না। যুক্তরাষ্ট্র যদিও প্রকাশ্যে তাদের নাম ঘোষণা করেনি। কিন্তু ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর কারা কারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে তাদের নাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা চলছে। এই সংখ্যা কত তা নিয়েও বিভিন্ন ধরনের আলাপ-আলোচনা চলছে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সংখ্যাটি বেশি নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ বলেছেন যে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা যাদের ওপর আরোপ করা হয়েছে তাদের একটি তালিকা সরকারের কাছে থাকা উচিত। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে তালিকার আনুষ্ঠানিক কোন স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। সরকার এখন পর্যন্ত বলেনি ভিসানীতি কাদের জন্য প্রযোজ্য হচ্ছে। ফলে এ নিয়ে নানা রকম গুজব এবং অপপ্রচার চলছে। রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষদের ঘায়েল করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির নাম দিয়ে তারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যারা এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাননি তারা ভিসানীতির আওতায় এমন কথাও বলা হচ্ছে’। এসমস্ত বক্তব্যের সত্যতা কতটুকু তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় কতজন আছে সেই তথ্যটি জানার উপায় হলো যারা ই-মেইল বার্তা বা মার্কিন দূতাবাসের মাধ্যমে অবহিত হয়েছেন যে তাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে অথবা যদি কারো ভিসা না থাকে কিন্তু তিনি যদি ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েন তাহলে সেক্ষেত্রে তাকেও জানিয়ে দেয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হল এরকম চিঠি প্রাপ্তি বা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পরা কেউই জনসমক্ষে এ ব্যাপারে কোনো স্বীকারোক্তি দিচ্ছেন না।

ভারতীয় একজন সাংবাদিক ৪১৭ জনের কথা বলেছেন যে, তারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন। কিন্তু এই ৪১৭ জনের নাম তিনি প্রকাশ করেননি। তাছাড়া এই ৪১৭ জন পরিবারের সদস্যসহ নাকি পরিবারের সদস্য বাদ দিয়ে শুধু ৪১৭ জন এই বিষয়টিও এখন পর্যন্ত অস্পষ্ট রয়েছে।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারের প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে গতকাল ডিএমপির মুখপাত্র স্বীকার করেছেন যে, পুলিশের কয়েকজনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে তারা কারা এই সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্র থেকে জানা গেছে যে, এ পর্যন্ত যাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের সংখ্যা ১০০ এর বেশি নয়। তবে তাদের পারিবারিক সদস্যদের যদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাহলে এই সংখ্যা সাড়ে তিনশো থেকে চারশো পর্যন্ত হতে পারে। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সরকারি দলের রাজনীতিবিদদের নাম রয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে এই নামগুলো সঠিক না ভুল তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে বিএনপির কোনো নেতা যে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসেনি এটা মোটামুটি নিশ্চিত। বরং জাতীয় পার্টির অন্তত তিনজন নেতার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের গুঞ্জন রয়েছে’। এদের মধ্যে অন্তত একজন ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন বলে তিনি নিজেই অনানুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সদস্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন। এদের মধ্যে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যেমন রয়েছেন তেমনি ওসি পর্যায়ের কর্মকর্তাও রয়েছেন’। তবে তার সংখ্যা কত এটি জানা যায়নি’।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, প্রথম পর্যায়ে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় যারা এসেছেন তাদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কতজনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ০৫:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর ভিসানীতি কার্যকরের ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণা দেওয়া সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনীতিবিদ এবং বিরোধী দলের কয়েকজনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাদের যদি ভিসা থেকে থাকে তাহলে সেই ভিসা বাতিল হবে। আর যদি ভিসা না থাকে তাহলে তারা ভিসার আবেদন করলে তার প্রত্যাখ্যাত হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে এটাও জানানো হয়েছে যে, এটি একান্ত গোপনীয় এবং ব্যক্তিগত বিষয়। কারা কারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়লেন তাদের নাম প্রকাশ্যে ঘোষণা করা হবে না। যুক্তরাষ্ট্র যদিও প্রকাশ্যে তাদের নাম ঘোষণা করেনি। কিন্তু ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর কারা কারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে তাদের নাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা চলছে। এই সংখ্যা কত তা নিয়েও বিভিন্ন ধরনের আলাপ-আলোচনা চলছে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সংখ্যাটি বেশি নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ বলেছেন যে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা যাদের ওপর আরোপ করা হয়েছে তাদের একটি তালিকা সরকারের কাছে থাকা উচিত। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে তালিকার আনুষ্ঠানিক কোন স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। সরকার এখন পর্যন্ত বলেনি ভিসানীতি কাদের জন্য প্রযোজ্য হচ্ছে। ফলে এ নিয়ে নানা রকম গুজব এবং অপপ্রচার চলছে। রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষদের ঘায়েল করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির নাম দিয়ে তারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যারা এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাননি তারা ভিসানীতির আওতায় এমন কথাও বলা হচ্ছে’। এসমস্ত বক্তব্যের সত্যতা কতটুকু তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় কতজন আছে সেই তথ্যটি জানার উপায় হলো যারা ই-মেইল বার্তা বা মার্কিন দূতাবাসের মাধ্যমে অবহিত হয়েছেন যে তাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে অথবা যদি কারো ভিসা না থাকে কিন্তু তিনি যদি ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েন তাহলে সেক্ষেত্রে তাকেও জানিয়ে দেয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হল এরকম চিঠি প্রাপ্তি বা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পরা কেউই জনসমক্ষে এ ব্যাপারে কোনো স্বীকারোক্তি দিচ্ছেন না।

ভারতীয় একজন সাংবাদিক ৪১৭ জনের কথা বলেছেন যে, তারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন। কিন্তু এই ৪১৭ জনের নাম তিনি প্রকাশ করেননি। তাছাড়া এই ৪১৭ জন পরিবারের সদস্যসহ নাকি পরিবারের সদস্য বাদ দিয়ে শুধু ৪১৭ জন এই বিষয়টিও এখন পর্যন্ত অস্পষ্ট রয়েছে।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারের প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে গতকাল ডিএমপির মুখপাত্র স্বীকার করেছেন যে, পুলিশের কয়েকজনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে তারা কারা এই সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্র থেকে জানা গেছে যে, এ পর্যন্ত যাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের সংখ্যা ১০০ এর বেশি নয়। তবে তাদের পারিবারিক সদস্যদের যদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাহলে এই সংখ্যা সাড়ে তিনশো থেকে চারশো পর্যন্ত হতে পারে। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সরকারি দলের রাজনীতিবিদদের নাম রয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে এই নামগুলো সঠিক না ভুল তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে বিএনপির কোনো নেতা যে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসেনি এটা মোটামুটি নিশ্চিত। বরং জাতীয় পার্টির অন্তত তিনজন নেতার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের গুঞ্জন রয়েছে’। এদের মধ্যে অন্তত একজন ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন বলে তিনি নিজেই অনানুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সদস্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন। এদের মধ্যে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যেমন রয়েছেন তেমনি ওসি পর্যায়ের কর্মকর্তাও রয়েছেন’। তবে তার সংখ্যা কত এটি জানা যায়নি’।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, প্রথম পর্যায়ে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় যারা এসেছেন তাদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।