সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা বেলকুচিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ  শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা

‘কন্যা দিবস আর কন্যাশিশু দিবসের বিভ্রান্তি’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৭৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল: ফেসবুকে কন্যা সন্তানের ছবি দিয়ে কমেন্টে ‘আজ কন্যাশিশু দিবস না’ লেখা পেয়ে কেউ মুছে ফেলছেন। আবার কেউ তর্ক করছেন, সেপ্টেম্বরের শেষ রবিবারই কন্যাশিশু দিবস। কেউবা বলছেন, ৩০ সেপ্টেম্বর কন্যাশিশু দিবস।

তবে বিভ্রান্তি অন্য জায়গায়। একটি কন্যা দিবস (ডটার্স ডে’) সেপ্টেম্বরের শেষ রবিবার আরেকটি জাতীয় কন্যাশিশু দিবস (গার্ল চাইল্ড ডে’), যার জন্য নির্ধারিত দিন ৩০ সেপ্টেম্বর। আর আন্তর্জাতিক কন্যাসন্তান দিবস ১১ অক্টোবর যেটি জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলো পালন করে।

জেনে রাখা ভালো, কন্যা দিবস বাংলাদেশ পালন করে না। এটি ভারত তাদের জন্য তৈরি করেছে। দ্বিতীয়টি জাতীয়ভাবে বাংলাদেশে পালন করা হয়।

কন্যা দিবস

ডটার্স ডে বা কন্যা দিবস সেপ্টেম্বর মাসে পালন করা হয়। সেই হিসেবে এবছর ২৬ সেপ্টেম্বর ছিল কন্যা দিবস। ভারতে এদিন পালনের চল শুরু হয়। কন্যা সন্তানদের গুরুত্ব ও তাদের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য দিবসের উৎপত্তি। মেয়ে সন্তান ছেলে সন্তানের চেয়ে অগুরুত্বপূর্ণ নয় এবং তাদের জন্ম উদযাপনের বিষয়-এটি অভিভাবকদের বুঝানোই দিনটির উদ্দেশ্য।

আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস

বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘ রাষ্ট্রসমূহ প্রতিবছর ১১ অক্টোবর তারিখে পালন করে। এই দিবসকে মেয়েদের দিনও বলা হয়। ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর তারিখে প্রথম এই দিবস পালন করা হয়। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ‘কারণ আমি একজন মেয়ে’ (Because I Am a Girl’) নামক আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে এই দিবসের সূচনা ঘটে। ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর তারিখে এই প্রস্তাব রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় গৃহীত হয় ও ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর তারিখে প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালন করা হয়।

জাতীয় কন্যাশিশু দিবস

প্রতিবছর ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক শিশু সপ্তাহ পালন করা হয়। শিশু সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন ৩০ সেপ্টেম্বরকে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি বলেন, আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস ১১ অক্টোবর, সেটি সার্বজনীন’। এর বাইরে প্রতিটি দেশ নিজেদের সুবিধা মতো জাতীয়ভাবে আরেকটি দিন কন্যাশিশু দিবস পালন করে। ডটার্স ডে’টা হঠাৎ-ই কয়েক বছর ধরে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। এই ডটার্স ডে জাতিসংঘের নির্ধারিত দিবস না। বাংলাদেশেও এটা পালনের চল কোনোদিনই ছিল না।

‘আমরা যারা শিশুদের নিয়ে কাজ করি তাদের ৫৪টি সংগঠন একসঙ্গে হয়ে একটি দিবসের পরিকল্পনা ছিল। ১৯৯০ সালে কন্যাশিশু দশক নির্ধারিত হয়। ২০০০ পর্যন্ত সেই দশক শেষ হলে সে বছর থেকেই বেসরকারিভাবে দিবস আকারে পালন শুরু হয়। যেহেতু শিশু অধিকার সপ্তাহ শুরু হয় ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর। সেহেতু মনে রাখার সুবিধার্থে শিশু সপ্তাহ শুরুর দ্বিতীয় দিনে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস নির্ধারণ করা হয়। ২০০৩ সালে মন্ত্রণালয় সার্কুলার দিয়ে এই দিনটিকে সরকারিভাবে পালনের কথা ঘোষণা করে’। এরপর থেকে সরকারিভাবে পালন করা হচ্ছে। তবে কয়েক বছর ধরে এসময়টায় প্রধানমন্ত্রী দেশে না থাকার কারণে পরবর্তীতে অক্টোবরের শুরুতে সুবিধাজনক দিনে উদযাপন করা হয়।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

‘কন্যা দিবস আর কন্যাশিশু দিবসের বিভ্রান্তি’

আপডেট সময় : ০৩:১৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলা পোর্টাল: ফেসবুকে কন্যা সন্তানের ছবি দিয়ে কমেন্টে ‘আজ কন্যাশিশু দিবস না’ লেখা পেয়ে কেউ মুছে ফেলছেন। আবার কেউ তর্ক করছেন, সেপ্টেম্বরের শেষ রবিবারই কন্যাশিশু দিবস। কেউবা বলছেন, ৩০ সেপ্টেম্বর কন্যাশিশু দিবস।

তবে বিভ্রান্তি অন্য জায়গায়। একটি কন্যা দিবস (ডটার্স ডে’) সেপ্টেম্বরের শেষ রবিবার আরেকটি জাতীয় কন্যাশিশু দিবস (গার্ল চাইল্ড ডে’), যার জন্য নির্ধারিত দিন ৩০ সেপ্টেম্বর। আর আন্তর্জাতিক কন্যাসন্তান দিবস ১১ অক্টোবর যেটি জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলো পালন করে।

জেনে রাখা ভালো, কন্যা দিবস বাংলাদেশ পালন করে না। এটি ভারত তাদের জন্য তৈরি করেছে। দ্বিতীয়টি জাতীয়ভাবে বাংলাদেশে পালন করা হয়।

কন্যা দিবস

ডটার্স ডে বা কন্যা দিবস সেপ্টেম্বর মাসে পালন করা হয়। সেই হিসেবে এবছর ২৬ সেপ্টেম্বর ছিল কন্যা দিবস। ভারতে এদিন পালনের চল শুরু হয়। কন্যা সন্তানদের গুরুত্ব ও তাদের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য দিবসের উৎপত্তি। মেয়ে সন্তান ছেলে সন্তানের চেয়ে অগুরুত্বপূর্ণ নয় এবং তাদের জন্ম উদযাপনের বিষয়-এটি অভিভাবকদের বুঝানোই দিনটির উদ্দেশ্য।

আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস

বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘ রাষ্ট্রসমূহ প্রতিবছর ১১ অক্টোবর তারিখে পালন করে। এই দিবসকে মেয়েদের দিনও বলা হয়। ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর তারিখে প্রথম এই দিবস পালন করা হয়। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ‘কারণ আমি একজন মেয়ে’ (Because I Am a Girl’) নামক আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে এই দিবসের সূচনা ঘটে। ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর তারিখে এই প্রস্তাব রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় গৃহীত হয় ও ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর তারিখে প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালন করা হয়।

জাতীয় কন্যাশিশু দিবস

প্রতিবছর ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক শিশু সপ্তাহ পালন করা হয়। শিশু সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন ৩০ সেপ্টেম্বরকে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি বলেন, আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস ১১ অক্টোবর, সেটি সার্বজনীন’। এর বাইরে প্রতিটি দেশ নিজেদের সুবিধা মতো জাতীয়ভাবে আরেকটি দিন কন্যাশিশু দিবস পালন করে। ডটার্স ডে’টা হঠাৎ-ই কয়েক বছর ধরে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। এই ডটার্স ডে জাতিসংঘের নির্ধারিত দিবস না। বাংলাদেশেও এটা পালনের চল কোনোদিনই ছিল না।

‘আমরা যারা শিশুদের নিয়ে কাজ করি তাদের ৫৪টি সংগঠন একসঙ্গে হয়ে একটি দিবসের পরিকল্পনা ছিল। ১৯৯০ সালে কন্যাশিশু দশক নির্ধারিত হয়। ২০০০ পর্যন্ত সেই দশক শেষ হলে সে বছর থেকেই বেসরকারিভাবে দিবস আকারে পালন শুরু হয়। যেহেতু শিশু অধিকার সপ্তাহ শুরু হয় ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর। সেহেতু মনে রাখার সুবিধার্থে শিশু সপ্তাহ শুরুর দ্বিতীয় দিনে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস নির্ধারণ করা হয়। ২০০৩ সালে মন্ত্রণালয় সার্কুলার দিয়ে এই দিনটিকে সরকারিভাবে পালনের কথা ঘোষণা করে’। এরপর থেকে সরকারিভাবে পালন করা হচ্ছে। তবে কয়েক বছর ধরে এসময়টায় প্রধানমন্ত্রী দেশে না থাকার কারণে পরবর্তীতে অক্টোবরের শুরুতে সুবিধাজনক দিনে উদযাপন করা হয়।’