সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা বেলকুচিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ  শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা

বিয়ের ১৪ বছর পর স্বামী জানলেন স্ত্রী “বাংলাদেশি” করলেন মামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুই পরিবারের সম্মিতেই তাদের বিয়ে হয়েছে। দুটি সন্তানও রয়েছে তাদের। কিন্তু নিজের স্ত্রী যে একজন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সেটা তিনি জানলেন বিয়ের ১৪ বছর পর। এরপরই স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন ঐ স্বামী। এমনকি স্ত্রী তাকে ব্যবহার করে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন বলেও দাবি করেছেন ওই স্বামী।’

আদালতের কাছে তার আরজি দুই সন্তানকে উদ্ধার করে তাদের বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক, সেই সাথে ভারতীয় আইন অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হোক ও অবিলম্বে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক। স্বামীর অভিযোগ তাকে ব্যবহার করেই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার লোভেই ওই বাংলাদেশি নারী নিজের আসল পরিচয় গোপন করে তাকে বিয়ে করেছিলেন।

জানা গেছে, পেশায় লেদার ব্যবসায়ী পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী তাবিশ এহসানের সাথে এক বিয়ে বাড়িতে পরিচয় হয় নাজিয়া আমব্রীন কুরেশি নামে এক নারীর। নাজিয়া সেসময় নিজেকে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন। এরপর দুই পরিবারের মতে ২০০৯ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০২২ সাল পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। যদিও ওই বছরের নভেম্বর মাসেই জানতে পারেন স্ত্রী বাংলাদেশি নাগরিক।

তাবিশ জানান, ‘একটি বিয়ে বাড়িতে আমাদের দুইজনের পরিচয় হয়েছিল। পরে দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর আমরা বিয়ে করি। বিয়ের সময় নাজিয়া আমাকে জানিয়েছিল সে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা, উত্তরপ্রদেশেই বড় হয়েছেন। সেখানকার দেউড়িয়া নামক জায়গায় থেকে দশম শ্রেণি এবং দ্বাদশ শ্রেণির স্কুলের সনদ দেখায়। ওটা দেখেই আমি বিয়ে করি। স্বাভাবিকভাবেই তার কথাবার্তায় এবং তার নাগরিকত্ব নিয়ে আমার কোনদিন সন্দেহ হয়নি।’

কিন্তু তাদের দ্বিতীয় সন্তান জন্মের সময়ই স্নেহের অস্বাভাবিক ব্যবহার দেখেই সন্দেহ হয় তাবিশের। সে জানায়, ‘আমাদের দ্বিতীয় সন্তান জন্মের আগে হঠাৎ করে সে উত্তরপ্রদেশে বাপের বাড়িতে চলে যায়। সেখান থেকে ফোনে জানায় সে আর আমার সাথে আর সংসার করবে না। এমনকি আমাকে হুমকিও দেয়। পরে আমার বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনের ৪৯৮এ ধারায় বধূ নির্যাতনের মামলাও করে। পরে সেই মামলায় কলকাতার আলিপুর আদালত থেকে জামিন পাই।

এর মধ্যেই-২০২২ সালের নভেম্বর মাসে আমি জানতে পারি নাজিয়া ভারতীয় নাগরিক নন, তিনি একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। তাবিশ জানায়, ‘আমি যখন আমার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে নাজিয়ার নাগরিকত্বের বিষয়টি জানতে পারলাম তখন খুব অবাক হয়েছিলাম।’

এর আগে ২০০২-০৩ সালে বাংলাদেশে মমিনুল নামে এক শিক্ষককে বিয়ে করেছিলেন নাজিয়া। সেখানেও আগের স্বামীর বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা করে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাকে বিবাহ বিচ্ছেদ দিতে একপ্রকার বাধ্য করেন নাজিয়া। এরপরই গোটা পরিবারকে সাথে নিয়ে কোনরকম বৈধ পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ভিসা না নিয়েই নাজিয়ার পরিবার ভারতে চলে আসে। আর ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে আমাকে ব্যবহার করেছি তার পরিবার। আমার বিয়েটা ছিল কেবলমাত্র একটা ষড়যন্ত্রের শিকার।’

গোটা বিষয়টি সামনে আসার পরই কলকাতার তিলজোলা থানায় নাজিয়া কুরেশি এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তাবিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৭১, ৩৬৩ এবং বিদেশি নাগরিক আইনের ১৪এ (বি’) ধারা, পাসপোর্ট আইনের ১৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে। মামলাটি এখন বিচারাধীন।’

কিন্তু অভিযুক্তর বিরুদ্ধে সমস্ত নথি আলামত জমা দেওয়ার পরেও পুলিশের ভূমিকায় এক প্রকার হতাশ অভিযোগকারী তাবিশ। তার অভিযোগ পুলিশ সবকিছু জেনেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

এদিকে ঐ স্বামী জানান, ‘আমি ওদের পরিবারের লোকের কাছ থেকে জানতে পারি নাজিয়া পড়াশোনার জন্য ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কানাডায় ছিলেন। কিন্তু ২০২০ সালে তাকে প্রথম ভারতীয় পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। সেক্ষেত্রে কিভাবে পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া কানাডা গেলেন? কিভাবে কানাডা সরকার তার ভিসা মঞ্জুর করল? প্রশ্ন তার।’

স্ত্রী বাংলাদেশি নাগরিক, এই বিষয়টি জানার পরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনার, কলকাতা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাস কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জানান তাবিশ’।

তাবিশের দাবি তিনি যাতে ন্যায় বিচার পান। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় আইন অনুযায়ী নাজিয়ার সাজা হোক এবং তাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক। সেই সাথে আমার সন্তানদের আমার কাছে ফেরত দেয়া হোক ‘

তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই আমি যাতে ন্যায়বিচার পাই। আমার দুই সন্তান রয়েছে তাদেরকে ঠিক ঠাক করে দেখতে পাই।’

তার আশঙ্কা ‘আমার স্ত্রী বাংলাদেশে চলে গেছে কিনা, আমার সন্তানদের বিক্রি করে দিয়েছে কিনা আমি কিছু জানি না। কারণ আমার স্ত্রী লুকোচুরি খেলছে, তারা ঠিকানা বদল করছে। ফলে পুলিশের পক্ষেও তাদের সন্ধান করা অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া ওই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রবণতাও রয়েছে।’

তাবিশের আইনজীবী সায়ন সচীন বসু জানান,‘তথ্য জানার অধিকার (RTI) আইনে আমরা জানতে পেরেছি যে অভিযুক্ত নাজিয়া আমব্রীন কুরেশি ভুয়া নথি ও স্কুলের সনদ দেখিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেছে। এই সমস্ত তথ্য সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’

এর ভিত্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাজিয়ার পাসপোর্ট বাতিল করেছে। তারা যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছে সে কথাও আদালতের কাছে জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিয়ের ১৪ বছর পর স্বামী জানলেন স্ত্রী “বাংলাদেশি” করলেন মামলা

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুই পরিবারের সম্মিতেই তাদের বিয়ে হয়েছে। দুটি সন্তানও রয়েছে তাদের। কিন্তু নিজের স্ত্রী যে একজন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সেটা তিনি জানলেন বিয়ের ১৪ বছর পর। এরপরই স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন ঐ স্বামী। এমনকি স্ত্রী তাকে ব্যবহার করে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন বলেও দাবি করেছেন ওই স্বামী।’

আদালতের কাছে তার আরজি দুই সন্তানকে উদ্ধার করে তাদের বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক, সেই সাথে ভারতীয় আইন অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হোক ও অবিলম্বে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক। স্বামীর অভিযোগ তাকে ব্যবহার করেই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার লোভেই ওই বাংলাদেশি নারী নিজের আসল পরিচয় গোপন করে তাকে বিয়ে করেছিলেন।

জানা গেছে, পেশায় লেদার ব্যবসায়ী পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী তাবিশ এহসানের সাথে এক বিয়ে বাড়িতে পরিচয় হয় নাজিয়া আমব্রীন কুরেশি নামে এক নারীর। নাজিয়া সেসময় নিজেকে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন। এরপর দুই পরিবারের মতে ২০০৯ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০২২ সাল পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। যদিও ওই বছরের নভেম্বর মাসেই জানতে পারেন স্ত্রী বাংলাদেশি নাগরিক।

তাবিশ জানান, ‘একটি বিয়ে বাড়িতে আমাদের দুইজনের পরিচয় হয়েছিল। পরে দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর আমরা বিয়ে করি। বিয়ের সময় নাজিয়া আমাকে জানিয়েছিল সে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা, উত্তরপ্রদেশেই বড় হয়েছেন। সেখানকার দেউড়িয়া নামক জায়গায় থেকে দশম শ্রেণি এবং দ্বাদশ শ্রেণির স্কুলের সনদ দেখায়। ওটা দেখেই আমি বিয়ে করি। স্বাভাবিকভাবেই তার কথাবার্তায় এবং তার নাগরিকত্ব নিয়ে আমার কোনদিন সন্দেহ হয়নি।’

কিন্তু তাদের দ্বিতীয় সন্তান জন্মের সময়ই স্নেহের অস্বাভাবিক ব্যবহার দেখেই সন্দেহ হয় তাবিশের। সে জানায়, ‘আমাদের দ্বিতীয় সন্তান জন্মের আগে হঠাৎ করে সে উত্তরপ্রদেশে বাপের বাড়িতে চলে যায়। সেখান থেকে ফোনে জানায় সে আর আমার সাথে আর সংসার করবে না। এমনকি আমাকে হুমকিও দেয়। পরে আমার বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনের ৪৯৮এ ধারায় বধূ নির্যাতনের মামলাও করে। পরে সেই মামলায় কলকাতার আলিপুর আদালত থেকে জামিন পাই।

এর মধ্যেই-২০২২ সালের নভেম্বর মাসে আমি জানতে পারি নাজিয়া ভারতীয় নাগরিক নন, তিনি একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। তাবিশ জানায়, ‘আমি যখন আমার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে নাজিয়ার নাগরিকত্বের বিষয়টি জানতে পারলাম তখন খুব অবাক হয়েছিলাম।’

এর আগে ২০০২-০৩ সালে বাংলাদেশে মমিনুল নামে এক শিক্ষককে বিয়ে করেছিলেন নাজিয়া। সেখানেও আগের স্বামীর বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা করে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাকে বিবাহ বিচ্ছেদ দিতে একপ্রকার বাধ্য করেন নাজিয়া। এরপরই গোটা পরিবারকে সাথে নিয়ে কোনরকম বৈধ পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ভিসা না নিয়েই নাজিয়ার পরিবার ভারতে চলে আসে। আর ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে আমাকে ব্যবহার করেছি তার পরিবার। আমার বিয়েটা ছিল কেবলমাত্র একটা ষড়যন্ত্রের শিকার।’

গোটা বিষয়টি সামনে আসার পরই কলকাতার তিলজোলা থানায় নাজিয়া কুরেশি এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তাবিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৭১, ৩৬৩ এবং বিদেশি নাগরিক আইনের ১৪এ (বি’) ধারা, পাসপোর্ট আইনের ১৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে। মামলাটি এখন বিচারাধীন।’

কিন্তু অভিযুক্তর বিরুদ্ধে সমস্ত নথি আলামত জমা দেওয়ার পরেও পুলিশের ভূমিকায় এক প্রকার হতাশ অভিযোগকারী তাবিশ। তার অভিযোগ পুলিশ সবকিছু জেনেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

এদিকে ঐ স্বামী জানান, ‘আমি ওদের পরিবারের লোকের কাছ থেকে জানতে পারি নাজিয়া পড়াশোনার জন্য ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কানাডায় ছিলেন। কিন্তু ২০২০ সালে তাকে প্রথম ভারতীয় পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। সেক্ষেত্রে কিভাবে পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া কানাডা গেলেন? কিভাবে কানাডা সরকার তার ভিসা মঞ্জুর করল? প্রশ্ন তার।’

স্ত্রী বাংলাদেশি নাগরিক, এই বিষয়টি জানার পরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনার, কলকাতা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাস কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জানান তাবিশ’।

তাবিশের দাবি তিনি যাতে ন্যায় বিচার পান। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় আইন অনুযায়ী নাজিয়ার সাজা হোক এবং তাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক। সেই সাথে আমার সন্তানদের আমার কাছে ফেরত দেয়া হোক ‘

তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই আমি যাতে ন্যায়বিচার পাই। আমার দুই সন্তান রয়েছে তাদেরকে ঠিক ঠাক করে দেখতে পাই।’

তার আশঙ্কা ‘আমার স্ত্রী বাংলাদেশে চলে গেছে কিনা, আমার সন্তানদের বিক্রি করে দিয়েছে কিনা আমি কিছু জানি না। কারণ আমার স্ত্রী লুকোচুরি খেলছে, তারা ঠিকানা বদল করছে। ফলে পুলিশের পক্ষেও তাদের সন্ধান করা অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া ওই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রবণতাও রয়েছে।’

তাবিশের আইনজীবী সায়ন সচীন বসু জানান,‘তথ্য জানার অধিকার (RTI) আইনে আমরা জানতে পেরেছি যে অভিযুক্ত নাজিয়া আমব্রীন কুরেশি ভুয়া নথি ও স্কুলের সনদ দেখিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেছে। এই সমস্ত তথ্য সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’

এর ভিত্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাজিয়ার পাসপোর্ট বাতিল করেছে। তারা যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছে সে কথাও আদালতের কাছে জানানো হয়েছে।