আপন ঠিকানায় স্বাবলম্বী আশ্রয়ণের বাসিন্দা নিভা
- আপডেট সময় : ১০:২৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩ ২৫০ বার পড়া হয়েছে

রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা: বিশ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন উপজেলার ঘুড়কা ইউনিয়নের ঘুড়কা গ্রামের বিধবা নিভা। ভূমিহীন এই বিধবা মুজিববর্ষ উপলক্ষে উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের প্রতাবদীঘিতে জমি সহ পাঁকাবাড়ী পেয়েছেন।
বয়সের ভারে আগের মতো কাজ করতে না পারায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরেই করেন হস্ত শিল্পের কাজ। প্রতিদিন যা আয় হয় তা দিয়েই চলে দুই সদস্যের সংসার ।
বিধবা নিভা বলেন, সহায়সম্বল হারিয়ে ঘুড়কা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিই। অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা আয় করতাম তা দিয়ে কোনোরকম সংসার চলত। টাকা জমাতে না পেরে অন্য জায়গায় বাড়ি করতে পারিনি। সরকারি ঘর পেয়ে আমি খুব খুশি। এই ঘরেই বাঁশ দিয়ে কুলা, ঝাড়ু, চাটাই ও ডালা তৈরি করি। এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে মোটামুটি চলতে পারি।
শুধু নিভা নয়, তার মতো আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনেকেই মনোহারি দোকান, দর্জির কাজ, গবাদিপশু পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের দর্জির প্রশিক্ষণ দিয়ে সেলাই মেশিন বিতরণ, ভ্যানগাড়ি ও গবাদিপশু বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয়ণের শিশু-কিশোররা যাতে অপরাধ এবং মাদকে না জড়ায় সে জন্য উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিশুদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু আশ্রয়ণ সাংস্কৃতিক জোট গঠন করা হবে। অন্যদিকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ফলজ, বনজ গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাশাসনের তথ্যমতে, মুজিববর্ষে তিন ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ৪৯৫ টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাসিন্দাদের সুবিধার্থে আশ্রয়ণ প্রকল্পে শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের কাজ চলামান রয়েছে। নলকূপ, নতুন রাস্তা, দোকান, পারিবারিক পর্যায়ে হাঁস-মুরগি পালন ও ফুলের বাগান করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশার (ভূমি’) তানজিল পারভেজ বলেন, আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সকল প্রকার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।











