বাঁশখালীর ৯০টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দূর্গাপূজা, ব্যস্ত সময় যাচ্ছে প্রতিমা শিল্পীদের
- আপডেট সময় : ০৯:৫৩:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩ ১১১ বার পড়া হয়েছে

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো শারদীয় দুর্গাপূজা। আর মাত্র কয়েকদিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই বড় উৎসব। এজন্য মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাঁশখালী উপজেলার প্রতিমা কারিগররা। ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে পূজা শেষ হবে ২৪ অক্টোবর। সনাতনী পঞ্জিকা অনুযায়ী আগামী ২০ অক্টোবর পালিত হবে মহাষষ্ঠী, ২২ অক্টোবর মহাঅষ্টমী , মহানবমী পালিত হবে ২৩ অক্টোবর। বিজয়া দশমী পালিত হবে ২৪ অক্টোবর।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতির অংশ হিসাবে বাঁশখালীতে পুজারী ও প্রতিমা নির্মাতাদের দিনরাত কাজ করে বর্তমানে নানা ভাবে সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে কাদা-মাটি, বাঁশ, খড়, সুতলি দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় তিলতিল করে গড়ে তোলা হচ্ছে দেবীদুর্গার প্রতিমা। কারিগররা প্রতিমা তৈরিতে পুরোদমে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এবার ঘটপুজা ছাড়া বাঁশখালীতে ৯০টি সার্বজনীন মন্ডপে দূর্গাপূজা এবং শতাধিক ঘটপুজা অনুষ্টিত হবে। প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা মাটির কাজ শেষ করেছে প্রায়ই। মাটি শুকিয়ে গেলেই রং ও অলংকরণের কাজ শুরু করবেন। পাশাপাশি চলছে সাজসজ্জা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজও। সম্প্রতি পূজার প্রস্তুতি নিয়ে বাঁশখালী থানায় সকল পুজামন্ডপের প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভাও অনুষ্টিত হয়।
বাঁশখালী পূজা উদযান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ঝন্টু কুমার দাশ বলেন, বাঁশখালী উপজেলায় ৮৭টি সার্বজনীন পূজা মন্ডপ রয়েছে। এ বছর আরো ৩টি পূজা মন্ডপ যুক্ত হচ্ছে। বাঁশখালীর প্রায় প্রতিটি মন্ডপে স্থানীয় কারিগর দ্বারা ও ঢাকার কারিগর নিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ করছে। উপজেলার প্রত্যেক মন্ডপে তারা স্থানীয় কারিগর দ্বারা প্রতিমা তৈরি করে। ১০ থেকে ১২টি মন্ডপ চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রতিমা ক্রয় করে নিয়ে আসেন। এখানের বেশকয়েকজন কারিগর দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে নিপুনভাবে প্রতিমা তৈরি করে যাচ্ছেন। বেশীরভাগ প্রতিমা স্থানীয় শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে।
মাটি দিয়ে সুনিপুণ হাতে তৈরি করছেন কারুকাজময় অলঙ্কার। আর সেই অলঙ্কার প্রতিমার শরীরে জড়িয়ে দিয়ে সাজিয়ে তুলছেন অনন্যা রূপে। এমনই এক প্রতিমা শিল্পী বাঁশখালীর চেচুরিয়ার মিহির আচার্য্য। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ এক যুগ ধরে প্রতিমা তৈরি করে আসছি। দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও সকল ধরনের প্রতিমা আমরা তৈরি করি। প্রতি বছর অন্তত ১৫ থেকে ২০ টির মতো প্রতিমা আমার নিজের হাতে তৈরি করি। এবারও অনেক অর্ডার পেয়েছি। তবে যে হারে পরিশ্রম সেই হারে পরিশ্রমের তুলনায় দাম অনেক কম।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজ কে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বাঁশখালী থানার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। আমরা আশা করছি বাঁশখালীতে আনন্দঘন পরিবেশে দুর্গোৎসব হবে। সবাই যাতে দুর্গাপূজা স্বতস্ফুর্তভাবে উদযাপন করে সেই জন্য সবাইকে উৎসাহ প্রদান করছি। দুর্গোৎসব নির্ভিঘ্ন করতে বাঁশখালী উপজেলা পর্যায়ে ব্যাপক পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে এবং সকল পূজা মন্ডব আমাদের নজরদারিতে থাকবে। শারদীয় দুর্গোৎসব সফল করতে থানায় মতবিনিময় সভা সম্পন্ন হয়েছে।











