যমুনার ভাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সহায়তা প্রদান বিষয়ে শাহজাদপুরে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩ ১১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি, জালালপুর ও কৈজুরি ইউনিয়নের ৮০জন
যমুনা নদীর ভাঙ্গণে নিঃস্ব ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারকে বসতবাড়ি স্থানান্তর ও
পূণঃস্থাপনের জন্য আরবিইএএপি প্রকল্পের আওতায় মানবমুক্তি সংস্থা স্টার্ট
ফান্ড বাংলাদেশ এর আর্থিক সহযোগিতায় প্রতি পরিবারকে দুই দফায় ২০ হাজার
টাকা করে প্রদান করে। এ উপলক্ষে সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি
ছিলেন, শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আজাদ
রহমান। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন,শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ
কামরুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক মো: মুমীদুজ্জামান জাহান, কৈজুরি
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খোকন, জালালপুর
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ, শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন
কর্মকর্তা রাশিদুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোকবুল হোসেন,
মানবমুক্তি সংস্থার এমএমএস প্রকল্পের কর্মকর্তা শামীমা আক্তার,সুবিধাভোগী
নার্গিস,জমিদাতা আব্দুল মতিন প্রমুখ।এ বিষয়ে সুবিধাভোগী নার্গিস বলেন, যমুনা নদীতে বাড়িঘর বিলিন হয়ে যাওয়ায়
আমরা নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলাম। মাথার উপর ছাদ ছিলনা। কোথাও যাওয়ার জায়গা না
পেয়ে পলিথিন টানিয়ে ভাঙ্গণ এরাকায় খেয়ে না থেয়ে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে পড়ে
ছিলমাম। কোথায় যাব, কোথায় মাথা গোজার ঠাই পাবো তা নিয়ে খুবই দূশ্চিন্তায়
ছিলাম। মানবমুক্তিসংস্থার কর্মীরা আমাদের এ অসহায় অবস্থা দেখে আমাদের
পাশে দাড়ায়। তারা থাকার জন্য জমির ব্যবস্থা করে দেয় ঘর সরানো ও নতুন
স্থানে ঘর তোলার জন্য দুই দফায় ১০ হাজার করে মোট ২০ হাজার টাকা দিয়ে
আমাদের সাহায্য করেছে। এতে আমাদের খুবই উপকার হয়েছে। আমরা আবার সতুন করে বসতি স্থাপন করে স্বামী সন্তান নিয়ে সুখে বাস করছি।
এ বিষয়ে কৈজুরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন
খোকন বলেন, ভাঙ্গণের সময়কাল দুই মাস। কিন্ত ১১ দিনের মধ্যে ভাঙ্গণ
কবলিতদেরকেই এই সহায়তা দেয়া সম্ভব হয়েছে। এই সময়কাল ২ মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি
করা হলে এ ৩ ইউনিয়নের প্রায় ৫ শতাধিক যমুনার ভাঙ্গষে নিঃস্ব ব্যক্তিরা
উপকৃত হোতো।এ বিষয়ে প্রধান অতিথি শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা
প্রফেসর আজাদ রহমান বলেন, ভাঙ্গণের সময়কাল বাড়ানো যায় কিনা সে বিষয়নিয়ে
আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন,
আমরা নদী ভাঙ্গণে নিঃস্বদের সর্বদা সহযোগিতা করে আসছি। পাশাপাশি বেসরকানি
সংস্থা গুলোও ভালো কাজ করছে। মানবমুক্তি সংস্থার এ উদ্যেগে বেশ কিছু
ক্ষতিগ্রস্থরা উপকার পেয়েছে। আশাকরি আগামীতে এর পরিধি আরও বেড়ে এই এলাকার সকল ক্ষতিগ্রস্থদের পূণঃর্বাসনের সহযোগিতা করবেন।











