তাড়াশে গরু বিতরণের অনিয়মে তদন্ত কমিটি গঠন
- আপডেট সময় : ০৬:৫৩:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সরকারী অনুদানের কম ওজনের রুগ্ন্ বাছুর বিতরণের চেষ্টার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
জানা গেছে, অনুদানের জন্য কেনা রগ্ন বাছুর ক্রয় এবং তা বিতরনের চেষ্টা করে সুবিধা নেওয়া ব্যাক্তিদের শনাক্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের নির্দেশে গতকাল সোমবার (০২ অক্টোবর) দুই সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। আর তদন্ত কমিটির ওই দুই সদস্য মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তাড়াশ উপজেলায় স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন, প্রাণী সম্পদ বিভাগের পরিচালক ( সম্প্রসারন ) ডা. মো. শাহিনুর আলম ও ঢাকার বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শেখ শাহিনুর ইসলাম।
তাঁরা দ্র নৃ- গোষ্ঠীর সুফলভোগী, তাড়াশ প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা, স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলেন এবং তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন।
উল্লেখ্য গত ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার তাড়াশে সমতল ভ‚মিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীদের আর্থ-সামাজিক ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নৃ-গোষ্ঠীর সুফল ভোগীদের মাঝে বাড়ন্ত ষাড় বাছুর বিতরণ অনুষ্ঠানের দিন ধার্য ছিল। সে মোতাবেক কয়েকটি ট্রাকে করে গরু সরবরাহ কারী প্রতিষ্ঠান ঢাকার তুষার এন্টার প্রাইজ ৫৫ টি বাছুর নিয়ে আসেন। কিন্তু বাছুর গুলো রুগ্ন এবং পরিমাপ অনুযায়ী কম ওজন ছিল। আর হাড্ডিসার ওই বাছুরগুলি উপস্থিত নৃ-গোষ্ঠীর সুফল ভোগীরা নিতে অস্বীকার করেন। পাশাপাশি তাঁরা অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. অলিউর ইসলাম বিরুদ্ধে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে যোগসাজসে রুগ্ন বাছুর বিতরনের জন্য দায়ী করে বিক্ষোভ করেন। আর এরই মধ্যে গরু বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন প্রধান অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ এবং রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম ঝন্টু। সেখানে বিতরণের জন্য বেঁধে রাখা গরু গুলো দেখে উভয়েই দুঃখ প্রকাশ করেন। সরকারী অর্থে কেনা নি¤œ মানের রগ্ন বাছুর দেখে সুফলভোগীদের সাথে একাত্ব প্রকাশ করে ওই অনুষ্ঠান বর্জন করে চলে যান।
এ প্রসঙ্গে তদন্ত কমিটির প্রধান ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের পরিচালক ( সম্প্রসারন ) ডা. মো. শাহিনুর আলম বলেন, রুগ্ন বাছুর বিতরনের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত করছেন। আর এর সাথে জড়িতদের কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া হবেনা।











