সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা বেলকুচিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ  শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা

শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট কেনো সরকারি এবং বেসরকারি-এই দুই ক্যাটাগরির হবে না

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩ ২১০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে দুই শ্রেণির শিক্ষক আছেন। সরকারি শিক্ষক। যারা উচ্চবর্গের। অন্যদিকে বেসরকারি শিক্ষক। যারা নিম্নবর্গের। সরকারি আমলারাও সরকারি শিক্ষকদের সাথে একমত পোষণ করেন এবং বেসরকারি শিক্ষকদের নিম্নবর্গের শিক্ষক মনে করেন। ক্ষেত্রবিশেষে শিক্ষকের জাতের মধ্যেই পড়ে না! এমনও মনে করা হয়।

মজার বিষয় হলো,সেদেশে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। বেসরকারি শিক্ষকদের যেমন বাঁকা চোখে দেখেন কর্তাব্যক্তিরা। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা কম আত্মবিশ্বাসে ভোগে। দেশে হাজারো বৈষম্যের মাঝে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৈষম্য আর শিক্ষক বৈষম্য যেনো সহজাত ব্যাপার। আমরা সেটা মেনেই নিয়েছি।

কলেজ পর্যায়ে বাংলাদেশের সেরা দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্তু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নটরডেম কলেজ। ভিকারুননিসা কালে। সুতরাং,শিক্ষকের জাতপ্রথার কারণে,সরকারি শিক্ষকের কাছে পড়া শিক্ষার্থী এবং বেসরকারি শিক্ষকের কাছে শিক্ষা নেয়া শিক্ষার্থী….

এই উভয় শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট কিন্তু একই ক্যাটাগরির। এটা বাস্তবসম্মত হতে পারে না।

বরং এটা তো স্ববিরোধী হয়ে গেলো! শিক্ষক যদি সরকারি এবং বেসরকারি দুইজাতের হয়,তাহলে এসএসসি/এইচএসসি/পাসকোর্স/অনার্স/মাস্টার্সের সনদও দুই ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হোক। সরকারি শিক্ষার্থীর সনদ হোক সরকারি সনদ এবং বেসরকারি শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেটে উল্লেখ করা হোক বেসরকারি সনদ। শিক্ষক দিবসে এই দাবী জোরালোভাবে তুললাম।

লেখক: মঈনুল হাসান পলাশ, সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, কক্সবাজার সিটি কলেজ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট কেনো সরকারি এবং বেসরকারি-এই দুই ক্যাটাগরির হবে না

আপডেট সময় : ০১:২২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

বাংলাদেশে দুই শ্রেণির শিক্ষক আছেন। সরকারি শিক্ষক। যারা উচ্চবর্গের। অন্যদিকে বেসরকারি শিক্ষক। যারা নিম্নবর্গের। সরকারি আমলারাও সরকারি শিক্ষকদের সাথে একমত পোষণ করেন এবং বেসরকারি শিক্ষকদের নিম্নবর্গের শিক্ষক মনে করেন। ক্ষেত্রবিশেষে শিক্ষকের জাতের মধ্যেই পড়ে না! এমনও মনে করা হয়।

মজার বিষয় হলো,সেদেশে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। বেসরকারি শিক্ষকদের যেমন বাঁকা চোখে দেখেন কর্তাব্যক্তিরা। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা কম আত্মবিশ্বাসে ভোগে। দেশে হাজারো বৈষম্যের মাঝে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৈষম্য আর শিক্ষক বৈষম্য যেনো সহজাত ব্যাপার। আমরা সেটা মেনেই নিয়েছি।

কলেজ পর্যায়ে বাংলাদেশের সেরা দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্তু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নটরডেম কলেজ। ভিকারুননিসা কালে। সুতরাং,শিক্ষকের জাতপ্রথার কারণে,সরকারি শিক্ষকের কাছে পড়া শিক্ষার্থী এবং বেসরকারি শিক্ষকের কাছে শিক্ষা নেয়া শিক্ষার্থী….

এই উভয় শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট কিন্তু একই ক্যাটাগরির। এটা বাস্তবসম্মত হতে পারে না।

বরং এটা তো স্ববিরোধী হয়ে গেলো! শিক্ষক যদি সরকারি এবং বেসরকারি দুইজাতের হয়,তাহলে এসএসসি/এইচএসসি/পাসকোর্স/অনার্স/মাস্টার্সের সনদও দুই ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হোক। সরকারি শিক্ষার্থীর সনদ হোক সরকারি সনদ এবং বেসরকারি শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেটে উল্লেখ করা হোক বেসরকারি সনদ। শিক্ষক দিবসে এই দাবী জোরালোভাবে তুললাম।

লেখক: মঈনুল হাসান পলাশ, সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, কক্সবাজার সিটি কলেজ।