তাড়াশে স্বাক্ষর জাল করে দুটি পদে নিয়োগের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- আপডেট সময় : ০১:১৬:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩ ২০৭ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: ডিজির প্রতিনিধির স্বাক্ষর জালসহ ভুঁয়া কাগজপত্র তৈরি করে সিরাজগঞ্জের তাড়াশের ধামাইচ বিলচলন উচ্চ বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী ও অফিস সরহকারী পদে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যে নিয়োগ কার্যক্রমে স্বাক্ষর জালিয়াতি আর নানা অনিয়ম করে এমপিও ভুক্তি করনের (পিভিএস)জন্য আবেদনও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চাকুরী প্রত্যাশী কুদরত আলী ও ফরিদ আলী।
কুদরত আলী ও ফরিদ আলী ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ধামাইচ বিলচলন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মকুল হোসেন মোল্লা গত বছরের ১০-১১-২০২২ সালে বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মি ও অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য তারিখ নিধার্রন করেন। পরে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসের ১৬ তারিখে পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য করেন কিন্ত সেদিন ডিজি প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ বিএল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফকির জাকির হোসেন না আসায় পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়।
ইতিমধ্যে গত ৭-০২-২৩ তারিখে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে ধামাইচ বিলচলন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মুকুল হোসেন মোল্লা ডিজি প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ বিএল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: নুরুল আলম শেখের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে গত ৮-০৬-২৩ তারিখে গোপনে বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে তার পছন্দের প্রার্থীদের যোগদান দেখিয়ে সোনালী ব্যাংক তাড়াশ শাখায় একটি সঞ্চয়ি হিসাব খুলেছেন। (সঞ্চয়ী হিসাব নং ৪২১৭৬০১০১৬৫৭৫)। এছাড়া এমপিও ভুক্তিকরনের (পিভিএস) করেছেন। যার নং মো: মিলন রানা, পিভিএস আইডি নং ১০১৭২৮৯৫৯ ও মো: আব্দুল জব্বার পিভিএস আইডি নং ১০১৭২৮৯৪৭।
ওই বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষক মো: মকুল হোসেন মোল্লা ডিজির প্রতিনিধির স্বাক্ষর জালসহ ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ইতিমধ্যে ২জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগ দেয়ার নামে তাদের কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন নিয়োগের অনিয়ম, নিয়োগ বানিজ্য, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানান অভিযোগএনে কয়েকজন বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ডিজি প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ বিএল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: নুরুল আলম শেখ জানান, আমি কখনো ওই প্রতিষ্ঠানে যাইনি। কিন্ত ধামাইচ বিলচলন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মকুল হোসেন মোল্লা আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিয়োগ দিয়েছেন। স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে ধামাইচ বিলচলন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মকুল হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আব্দুস সালাম জানান, আমার যোগদানের পুর্বে এঘটনা ঘটনা। অবশ্যই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ধামাইচ বিলচলন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মকুল হোসেন মোল্লা বলেন, কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এগুলো মিথ্যা কথা।
ধামাইচ বিলচলন উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি আব্দুল হালিম মন্ডল বলেন, নিয়োগ দিতে এমপি নিষেধ করার পরেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সেখানে ডিজি প্রতিনিধি যা পারে করুক।











