সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা বেলকুচিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ  শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা

‘যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে কোন কথা নয়’-আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩ ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে কোন কথা বলা হবে না। পক্ষেও নয়, বিপক্ষেও নয়। যুক্তরাষ্ট্র ইস্যুতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে নীরব ভূমিকা পালন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায় থেকে এই নির্দেশনা কেন্দ্রীয় নেতাদের দেওয়া হয়েছে। বরং আওয়ামী লীগের নেতারা যেন বিএনপি-জামায়াতের অপকর্ম, দুঃশাসন তাদের জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ সন্ত্রাস এবং দুর্নীতি, লুটপাটের বক্তব্যটি প্রচার করে।

সংশ্লিষ্ট সূচকগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কোনো বক্তব্য না রাখারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দলের অন্তত এক ডজন সিনিয়র নেতাকে এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বলেছেন, এগুলো কূটনৈতিক বিষয়, কূটনীতিকরাই এবং পররাষ্ট্র দপ্তর এটি দেখভাল করবে। এটি রাজনৈতিক বিষয় নয়। আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য নির্বাচন করা এবং নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেই জন্য জনগণকে আশ্বস্ত করা। ভোট কেন্দ্রে যেন জনগণ আসে সেজন্য উদ্বুদ্ধ করা। আর এই তিন মাস সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্য রাখার ক্ষেত্রে সংযম এবং সতর্কতা অবলম্বন করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে যে বিষয়গুলো নিয়ে বক্তব্য রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে-

১. আওয়ামী লীগের উন্নয়ন: গত পনেরো বছর আওয়ামী লীগ সরকার যে বিস্ময়কর উন্নয়ন করেছে সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে এবং ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ যদি আবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় তাহলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে আর কি কি কর্মকান্ড করবে তার একটি চিত্র রূপ উপস্থাপন করতে হবে।

২. বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন: ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দেশের অবস্থা কি রকম ছিল, হাওয়া ভবনের লুন্ঠন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জালিয়াতি এই বিষয়গুলোকে সামনে আনতে হবে এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর তখনকার বর্বরতার বিবরণও তুলে ধরতে হবে। এই ব্যাপারে নেতাকর্মীদেরকে আরও ব্যাপক তথ্য-উপাত্ত গুলো সংগ্রহ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’।

এছাড়াও বিএনপি বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় যে জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করেছে সে সম্পর্কেও মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে মানুষ যেন তাদের সেই নারকীয় তৎপরতা সম্পর্কেও অবহিত হয়। আর এর পাশাপাশি এর পাশাপাশি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিএনপি এবং তার সঙ্গীরা যে ষড়যন্ত্র করছে সে ব্যাপারেও বার্তা দিতে হবে জনগণের কাছে। তবে কোনোভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে, বিপক্ষে কোনোরকম কথাবার্তা না বলতে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখছে। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিনিধি এবং ব্যক্তির সঙ্গে সরকার এবং আওয়ামী লীগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতারা কথা বলছেন। কিন্তু এ প্রকাশ্যে এসব নিয়ে বিবৃতি বক্তৃতা দেওয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে ভারতের বিষয় নিয়েও নেতারা যেন প্রকাশ্যে কোনো ধরনের কথাবার্তা না বলে সে ব্যাপারেও বার্তা দেওয়া হয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

‘যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে কোন কথা নয়’-আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ১০:১৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে কোন কথা বলা হবে না। পক্ষেও নয়, বিপক্ষেও নয়। যুক্তরাষ্ট্র ইস্যুতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে নীরব ভূমিকা পালন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায় থেকে এই নির্দেশনা কেন্দ্রীয় নেতাদের দেওয়া হয়েছে। বরং আওয়ামী লীগের নেতারা যেন বিএনপি-জামায়াতের অপকর্ম, দুঃশাসন তাদের জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ সন্ত্রাস এবং দুর্নীতি, লুটপাটের বক্তব্যটি প্রচার করে।

সংশ্লিষ্ট সূচকগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কোনো বক্তব্য না রাখারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দলের অন্তত এক ডজন সিনিয়র নেতাকে এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বলেছেন, এগুলো কূটনৈতিক বিষয়, কূটনীতিকরাই এবং পররাষ্ট্র দপ্তর এটি দেখভাল করবে। এটি রাজনৈতিক বিষয় নয়। আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য নির্বাচন করা এবং নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেই জন্য জনগণকে আশ্বস্ত করা। ভোট কেন্দ্রে যেন জনগণ আসে সেজন্য উদ্বুদ্ধ করা। আর এই তিন মাস সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্য রাখার ক্ষেত্রে সংযম এবং সতর্কতা অবলম্বন করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে যে বিষয়গুলো নিয়ে বক্তব্য রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে-

১. আওয়ামী লীগের উন্নয়ন: গত পনেরো বছর আওয়ামী লীগ সরকার যে বিস্ময়কর উন্নয়ন করেছে সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে এবং ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ যদি আবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় তাহলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে আর কি কি কর্মকান্ড করবে তার একটি চিত্র রূপ উপস্থাপন করতে হবে।

২. বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন: ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দেশের অবস্থা কি রকম ছিল, হাওয়া ভবনের লুন্ঠন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জালিয়াতি এই বিষয়গুলোকে সামনে আনতে হবে এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর তখনকার বর্বরতার বিবরণও তুলে ধরতে হবে। এই ব্যাপারে নেতাকর্মীদেরকে আরও ব্যাপক তথ্য-উপাত্ত গুলো সংগ্রহ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’।

এছাড়াও বিএনপি বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় যে জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করেছে সে সম্পর্কেও মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে মানুষ যেন তাদের সেই নারকীয় তৎপরতা সম্পর্কেও অবহিত হয়। আর এর পাশাপাশি এর পাশাপাশি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিএনপি এবং তার সঙ্গীরা যে ষড়যন্ত্র করছে সে ব্যাপারেও বার্তা দিতে হবে জনগণের কাছে। তবে কোনোভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে, বিপক্ষে কোনোরকম কথাবার্তা না বলতে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখছে। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিনিধি এবং ব্যক্তির সঙ্গে সরকার এবং আওয়ামী লীগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতারা কথা বলছেন। কিন্তু এ প্রকাশ্যে এসব নিয়ে বিবৃতি বক্তৃতা দেওয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে ভারতের বিষয় নিয়েও নেতারা যেন প্রকাশ্যে কোনো ধরনের কথাবার্তা না বলে সে ব্যাপারেও বার্তা দেওয়া হয়েছে।’