সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা বেলকুচিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ  শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা

যুক্তরাষ্ট্রের পথেই কানাডা: ভিসা কড়াকড়ি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩ ১২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এই নতুন ভিসা নীতির আওতায় বলা হয়েছে যারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে সেই সমস্ত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান তারা যে পেশায় থাকুন না কেন তাদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে না। শুধু তাদেরকেই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই ভিসা নীতির আওতায় আসবে।

গত ২৪ মে এই ভিসা নীতি ঘোষণা করার পর গত ২২ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন যে এই ভিসা নীতি কার্যকর শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে চার শতাধিক ব্যক্তির ওপর এই ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে তারা চায় বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আর এই নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বাধাগ্রস্তদেরকে নিবৃত করতেই এই ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে। এটি কোন ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে নয় বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে এই ভিসা নীতি ঘোষণা করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি দিয়ে ঘোষণার পর কানাডা বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কঠোরতা আরোপ করছে। কানাডায় প্রচুর বাঙালি ইমিগ্রেন্ট রয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতোই প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী কানাডায় পড়তে যায়। বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষ করে আমলা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সন্তান, পরিবার পরিজনের অনেকেই কানাডায় বসবাস করে। তাছাড়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদরাও কানাডায় সম্পত্তি গড়েছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়। এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন ২০২০ সালে জানিয়ে ছিলেন যে গোপনে কানাডায় টরেন্টোতে অবস্থিত বাংলাদেশিদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমার ধারণা ছিল রাজনীতিবিদদের সংখ্যাই সেখানে বেশি। কিন্তু যে তথ্য পেয়েছি তাতে অবাক হয়েছি। সংখ্যার দিক থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়ি ঘরের সংখ্যা বেশি আছে।

কানাডায় অন্তত সতেরো জন বর্তমান এবং সাবেক আমলার স্থাবর সম্পত্তি অর্থাৎ বাড়ি ঘর রয়েছে বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এখন কানাডা বাংলাদেশের ভিসা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করছে। ভিসা রিফিউজালের হার অনেক বেড়ে গেছে। এমন অনেক ব্যক্তি যারা আগে কানাডায় গেছেন বিভিন্ন কাজে তারা ভিসা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো কানাডা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি যে তারা ভিসা নীতি প্রয়োগ করেছে বা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদেরকে ভিসা দেওয়া হবে না। কিন্তু বেশ কিছু ব্যক্তিকে কানাডা ভিসা দেয়নি।

যেকোনো রাষ্ট্র ভিসা দেবে কি দেবে না তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার এবং তারা কতগুলো সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট বিচার বিবেচনা করেই ভিসা দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কানাডার ক্ষেত্রেও সেটি প্রযোজ্য এবং এটি নিয়ে কেউ কোন প্রশ্ন করতে পারে না। কিন্তু হঠাৎ করেই কানাডার ভিসা আবেদনকারীদের মধ্যে প্রত্যাখ্যানের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াটা নিয়ে কোন কোন মহলের প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ মনে করছেন যে সবসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ অবলম্বন করা প্রতিবেশী কানাডা কি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদার্পণ অনুসরণ করছে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে সেটি কি কানাডা ঘোষণা ছাড়াই বাস্তবায়ন করছে। কারণ এর আগে কানাডার ভিসা প্রাপ্তি যত সহজ ছিল এখন কানাডার ভিসা প্রাপ্তি অতটা সহজ হচ্ছে না। বিশেষ করে গত চার পাঁচ মাসে কানাডার ভিসা যেন একটি দুরূহ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে অনেকের কাছে। কাজেই যুক্তরাষ্ট্রের পথেই কি কানাডা হাঁটছে? এই প্রশ্নটি নতুন করে সামনে এসেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

যুক্তরাষ্ট্রের পথেই কানাডা: ভিসা কড়াকড়ি

আপডেট সময় : ১১:৪৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এই নতুন ভিসা নীতির আওতায় বলা হয়েছে যারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে সেই সমস্ত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান তারা যে পেশায় থাকুন না কেন তাদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে না। শুধু তাদেরকেই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই ভিসা নীতির আওতায় আসবে।

গত ২৪ মে এই ভিসা নীতি ঘোষণা করার পর গত ২২ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন যে এই ভিসা নীতি কার্যকর শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে চার শতাধিক ব্যক্তির ওপর এই ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে তারা চায় বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আর এই নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বাধাগ্রস্তদেরকে নিবৃত করতেই এই ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে। এটি কোন ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে নয় বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে এই ভিসা নীতি ঘোষণা করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি দিয়ে ঘোষণার পর কানাডা বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কঠোরতা আরোপ করছে। কানাডায় প্রচুর বাঙালি ইমিগ্রেন্ট রয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতোই প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী কানাডায় পড়তে যায়। বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষ করে আমলা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সন্তান, পরিবার পরিজনের অনেকেই কানাডায় বসবাস করে। তাছাড়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদরাও কানাডায় সম্পত্তি গড়েছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়। এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন ২০২০ সালে জানিয়ে ছিলেন যে গোপনে কানাডায় টরেন্টোতে অবস্থিত বাংলাদেশিদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমার ধারণা ছিল রাজনীতিবিদদের সংখ্যাই সেখানে বেশি। কিন্তু যে তথ্য পেয়েছি তাতে অবাক হয়েছি। সংখ্যার দিক থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়ি ঘরের সংখ্যা বেশি আছে।

কানাডায় অন্তত সতেরো জন বর্তমান এবং সাবেক আমলার স্থাবর সম্পত্তি অর্থাৎ বাড়ি ঘর রয়েছে বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এখন কানাডা বাংলাদেশের ভিসা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করছে। ভিসা রিফিউজালের হার অনেক বেড়ে গেছে। এমন অনেক ব্যক্তি যারা আগে কানাডায় গেছেন বিভিন্ন কাজে তারা ভিসা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো কানাডা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি যে তারা ভিসা নীতি প্রয়োগ করেছে বা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদেরকে ভিসা দেওয়া হবে না। কিন্তু বেশ কিছু ব্যক্তিকে কানাডা ভিসা দেয়নি।

যেকোনো রাষ্ট্র ভিসা দেবে কি দেবে না তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার এবং তারা কতগুলো সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট বিচার বিবেচনা করেই ভিসা দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কানাডার ক্ষেত্রেও সেটি প্রযোজ্য এবং এটি নিয়ে কেউ কোন প্রশ্ন করতে পারে না। কিন্তু হঠাৎ করেই কানাডার ভিসা আবেদনকারীদের মধ্যে প্রত্যাখ্যানের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াটা নিয়ে কোন কোন মহলের প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ মনে করছেন যে সবসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ অবলম্বন করা প্রতিবেশী কানাডা কি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদার্পণ অনুসরণ করছে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে সেটি কি কানাডা ঘোষণা ছাড়াই বাস্তবায়ন করছে। কারণ এর আগে কানাডার ভিসা প্রাপ্তি যত সহজ ছিল এখন কানাডার ভিসা প্রাপ্তি অতটা সহজ হচ্ছে না। বিশেষ করে গত চার পাঁচ মাসে কানাডার ভিসা যেন একটি দুরূহ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে অনেকের কাছে। কাজেই যুক্তরাষ্ট্রের পথেই কি কানাডা হাঁটছে? এই প্রশ্নটি নতুন করে সামনে এসেছে।