সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা বেলকুচিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ  শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা

ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষাবাঁধ এখন মরণ ফাঁদে পরিনত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১৬:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩ ২০৫ বার পড়া হয়েছে

শিমুল চৌধুরী, ভোলা: নদী ভাঙনের হাত থেকে দ্বীপ জেলা ভোলাকে রক্ষায় সরকার ৩৩৫ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ভোলার উত্তর দিকে ইলিশা ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ রক্ষায় সিসি ব্লকের কাজও শেষ করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার ২২ দিনের মাথায় ২ দফা সিসি ব্লক ধসে এক জনের মৃত্যু ও কয়েকজনের গুরতর আহত হওয়ায় প্রকল্পটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এটি এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) আপদ কালীন ধস ঠেকাতে অপরিকল্পিত জিওব্যাগ ডাম্পিং’র কাজ শুরু করলেও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছেনা। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

তারা বলছেন, বর্ষায় পাউবোর ভোলা শহর রক্ষা বাঁধে ধসে পরে কয়েকটি ইউনিয়নে মেঘনার পানি ঢুকে শহর প্লাবিত হয়ে বহু মানুষ হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে। রিজার্ভ ব্লক, অনিয়ন্ত্রিত জিও ব্যাগ ডাম্পিং, কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও মেঘনায় অপরিকল্পিত বালু মহল ইজারার সঠিক তদন্ত দাবি করেন এলাকাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৭ জানুয়ারি ভোলা শহরকে রক্ষার জন্য ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের তে মাথা থেকে পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের দালাল কান্দি পর্যন্ত ২৮০ কোটি টাকা ব্যায়ে ইনফ্রাটেক-এনজেডকে(জেভি) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পের চার গ্রুপের কাজ শুরু করে। ৪ বছরে প্রকল্পটির আরো ৫৫ কোটি টাকার বরাদ্ধ বেড়ে মোট ৩৩৫ কোটি টাকায় ওই কাজ সম্পন্ন করে। প্রাথমিকভাবে ২৮ লক্ষ ৮০ হাজার সিসি ব্লক দিয়ে বাঁধ তৈরি করে অবশিষ্ট ৯০ হাজার ব্লক অতিরিক্ত রেখে আপদকালীন সংস্কার করার কথা ছিল। কিন্তু ৩ বছর পর ভোলা শহর রক্ষা বাঁধের ওই পয়েন্টে মাত্র ২২ দিনের মাথায় ২ দফায় সিসি ব্লক ধসে পরে এক পথচারি নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হলে পাউবো আপদকালীন সংস্কারের জন্য লোকাল বালি দিয়ে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করে।

কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে অতিরিক্ত সেই ৯০ হাজার সিসি ব্লকের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ নিয়ে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ( পাউবো)’র মাঠ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা কোন কথা বলতে রাজি হননি। অনদিকে, ইমারজেন্সী জিও ব্যাগ ডাম্পিং নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে অভিযোগ রয়েছে। তারা বলছেন, ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং, মের্সাস ড্রিম হোম ও মের্সাস স্বৃতি এন্টার প্রইজের মাধ্যমে পাউবো প্রায় ২২ কোটি টাকার জিও ব্যাগ ডাম্পিং’র যে কাজ করেছে তা অপরিকল্পিত ও নিয়মিত মনিটরিং না করার কারণে শহর রক্ষা বঁধ কোন কাজে আসবেনা। পাউবো শুধু শুধু রাষ্ট্রের অর্থ জলে ফেলছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিনিধি খোকন দেবনাথ’র কাছে ডাম্পিং’র বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নিজেকে লুকানোর চেষ্টা করেও পরে তার সম্পৃক্ততার বিষয় স্বীকার করে বলেন, আমরা কাজে কোন অনিয়ম করিনি। সব কিছু ঠিকঠাক মতই হচ্ছে।

ইলিশা বাঁচাও আন্দোলন কমিটিরি পক্ষে অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম ও সাংবাদিক ইয়ামিন হোসেন বলেন, উত্তাল মেঘনার ভাঙনের কবল থেকে ভোলা শহরকে রক্ষা করার জন্য তৎকালিন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী অতিরিক্ত ৯০ হাজার ব্লকের হদীস, প্রকল্পের অনিয়মের সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কোন কর্মকর্তা জড়িত।

এ ছাড়া তৎকালীন জেলা প্রশাসক ভোলার মেঘনাকে বালু দস্যুদের কাছে ইজারা দিয়ে কাদের পকেট ভারি করার দায়িত্ব নিলেন তার সঠিক তদন্তেরও দাবি জানান তারা। এ বিষয়ে ভোলার ভাঙনকবলিত মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এ বিষয়ে ভোলা দুর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বিরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, যতদিন এই প্রকল্পটির তদারকি ড. কাজী তোফায়েল অহমেদ করেছেন ততদিন কাজের মান ভালোই ছিলো। যখন একটি দূর্ণীতিবাজ চক্র ওনাকে সড়িয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মিলে কাজটি করেছেন তখন ভোলা শহর রক্ষাবাঁধটির স্থায়ীত্ব নিয়ে ভোলাবাসীর মনে শঙ্কা জাগে। এখন যা হবার তাই হয়েছে। আমরা আশা করবো সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ভোলার সবগুলো বেড়িবাঁধ প্রকল্পের কাজের জন্য তদন্ত কামিটি গঠন করে বা দুর্ণীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে তদন্ত করে এর সঠিক ব্যাবস্থা নিয়ে ড. তোফায়েলদের মত কর্মকর্তা বা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কাজ করে ভোলাকে নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করার প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি পরিচালক মনিরুল ইসলাম সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, আপদকালীন কাজে কোন অনিয়ম হচ্ছেনা।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ম. হাসানুজ্জামান বলেন, ৯০ হাজার অতিরিক্ত ব্লক রাখার কথা ছিল। কিন্তু জমির কোন ব্যাবস্থা না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। সিসি ব্লকের পার দখলের বিষয়ে কয়েকবার পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু কেউ কথা শোনেনা। আর আপদকালীন জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কোন অনিয়ম করার সুযোগ নেই। আমরা সার্বক্ষনিক বিষয়টি মনিটরিং করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষাবাঁধ এখন মরণ ফাঁদে পরিনত

আপডেট সময় : ০৬:১৬:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩

শিমুল চৌধুরী, ভোলা: নদী ভাঙনের হাত থেকে দ্বীপ জেলা ভোলাকে রক্ষায় সরকার ৩৩৫ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ভোলার উত্তর দিকে ইলিশা ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ রক্ষায় সিসি ব্লকের কাজও শেষ করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার ২২ দিনের মাথায় ২ দফা সিসি ব্লক ধসে এক জনের মৃত্যু ও কয়েকজনের গুরতর আহত হওয়ায় প্রকল্পটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এটি এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) আপদ কালীন ধস ঠেকাতে অপরিকল্পিত জিওব্যাগ ডাম্পিং’র কাজ শুরু করলেও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছেনা। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

তারা বলছেন, বর্ষায় পাউবোর ভোলা শহর রক্ষা বাঁধে ধসে পরে কয়েকটি ইউনিয়নে মেঘনার পানি ঢুকে শহর প্লাবিত হয়ে বহু মানুষ হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে। রিজার্ভ ব্লক, অনিয়ন্ত্রিত জিও ব্যাগ ডাম্পিং, কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও মেঘনায় অপরিকল্পিত বালু মহল ইজারার সঠিক তদন্ত দাবি করেন এলাকাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৭ জানুয়ারি ভোলা শহরকে রক্ষার জন্য ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের তে মাথা থেকে পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের দালাল কান্দি পর্যন্ত ২৮০ কোটি টাকা ব্যায়ে ইনফ্রাটেক-এনজেডকে(জেভি) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পের চার গ্রুপের কাজ শুরু করে। ৪ বছরে প্রকল্পটির আরো ৫৫ কোটি টাকার বরাদ্ধ বেড়ে মোট ৩৩৫ কোটি টাকায় ওই কাজ সম্পন্ন করে। প্রাথমিকভাবে ২৮ লক্ষ ৮০ হাজার সিসি ব্লক দিয়ে বাঁধ তৈরি করে অবশিষ্ট ৯০ হাজার ব্লক অতিরিক্ত রেখে আপদকালীন সংস্কার করার কথা ছিল। কিন্তু ৩ বছর পর ভোলা শহর রক্ষা বাঁধের ওই পয়েন্টে মাত্র ২২ দিনের মাথায় ২ দফায় সিসি ব্লক ধসে পরে এক পথচারি নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হলে পাউবো আপদকালীন সংস্কারের জন্য লোকাল বালি দিয়ে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করে।

কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে অতিরিক্ত সেই ৯০ হাজার সিসি ব্লকের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ নিয়ে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ( পাউবো)’র মাঠ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা কোন কথা বলতে রাজি হননি। অনদিকে, ইমারজেন্সী জিও ব্যাগ ডাম্পিং নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে অভিযোগ রয়েছে। তারা বলছেন, ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং, মের্সাস ড্রিম হোম ও মের্সাস স্বৃতি এন্টার প্রইজের মাধ্যমে পাউবো প্রায় ২২ কোটি টাকার জিও ব্যাগ ডাম্পিং’র যে কাজ করেছে তা অপরিকল্পিত ও নিয়মিত মনিটরিং না করার কারণে শহর রক্ষা বঁধ কোন কাজে আসবেনা। পাউবো শুধু শুধু রাষ্ট্রের অর্থ জলে ফেলছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিনিধি খোকন দেবনাথ’র কাছে ডাম্পিং’র বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নিজেকে লুকানোর চেষ্টা করেও পরে তার সম্পৃক্ততার বিষয় স্বীকার করে বলেন, আমরা কাজে কোন অনিয়ম করিনি। সব কিছু ঠিকঠাক মতই হচ্ছে।

ইলিশা বাঁচাও আন্দোলন কমিটিরি পক্ষে অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম ও সাংবাদিক ইয়ামিন হোসেন বলেন, উত্তাল মেঘনার ভাঙনের কবল থেকে ভোলা শহরকে রক্ষা করার জন্য তৎকালিন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী অতিরিক্ত ৯০ হাজার ব্লকের হদীস, প্রকল্পের অনিয়মের সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কোন কর্মকর্তা জড়িত।

এ ছাড়া তৎকালীন জেলা প্রশাসক ভোলার মেঘনাকে বালু দস্যুদের কাছে ইজারা দিয়ে কাদের পকেট ভারি করার দায়িত্ব নিলেন তার সঠিক তদন্তেরও দাবি জানান তারা। এ বিষয়ে ভোলার ভাঙনকবলিত মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এ বিষয়ে ভোলা দুর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বিরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, যতদিন এই প্রকল্পটির তদারকি ড. কাজী তোফায়েল অহমেদ করেছেন ততদিন কাজের মান ভালোই ছিলো। যখন একটি দূর্ণীতিবাজ চক্র ওনাকে সড়িয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মিলে কাজটি করেছেন তখন ভোলা শহর রক্ষাবাঁধটির স্থায়ীত্ব নিয়ে ভোলাবাসীর মনে শঙ্কা জাগে। এখন যা হবার তাই হয়েছে। আমরা আশা করবো সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ভোলার সবগুলো বেড়িবাঁধ প্রকল্পের কাজের জন্য তদন্ত কামিটি গঠন করে বা দুর্ণীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে তদন্ত করে এর সঠিক ব্যাবস্থা নিয়ে ড. তোফায়েলদের মত কর্মকর্তা বা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কাজ করে ভোলাকে নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করার প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি পরিচালক মনিরুল ইসলাম সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, আপদকালীন কাজে কোন অনিয়ম হচ্ছেনা।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ম. হাসানুজ্জামান বলেন, ৯০ হাজার অতিরিক্ত ব্লক রাখার কথা ছিল। কিন্তু জমির কোন ব্যাবস্থা না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। সিসি ব্লকের পার দখলের বিষয়ে কয়েকবার পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু কেউ কথা শোনেনা। আর আপদকালীন জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কোন অনিয়ম করার সুযোগ নেই। আমরা সার্বক্ষনিক বিষয়টি মনিটরিং করছি।