পার্সোনাল ডিপ্লোমেসি: এবার ইইউ সদর দপ্তরে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা’
- আপডেট সময় : ০৫:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১১৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে সম্প্রতি এক কঠিন প্রস্তাব গ্রহীত হয়েছে। অন্যতম পরীক্ষিত বন্ধু এবং রপ্তানির বড় বাজারের সঙ্গে যখন বাংলাদেশের সম্পর্কের অস্বস্তি ঠিক সেই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্সোনাল ডিপ্লোমেসির উদ্যোগ নিয়েছেন।
আগামী ২৪ অক্টোবর তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর ব্লাসেলসে যাচ্ছেন ৪ দিনের সফরে। ইউরোপীয় কমিশন আয়োজিত ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের সভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এর সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। নির্বাচনের আগে তার ব্রাসেলস সফর পার্সোনাল ডিপ্লোমেসির অংশ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে ইইউ যেন আগাম নেতিবাচক কোন অবস্থান এবং মনোভাব না নেয়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নেবেন। এছাড়া বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে যে নেতিবাচক এবং ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করার জন্যও কাজ করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশ গুলোর দূরত্ব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এটি শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কূটনীতি বলেই মনে করা হচ্ছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে নানা অস্বস্তি এবং বিভ্রান্তি রয়েছে’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নও চায় বাংলাদেশে ‘অংশগ্রহণমূলক’ অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির মতো প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো অংশ গ্রহণ করুক এটাই তাদের প্রত্যাশা। এ লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত মাসে একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল। দীর্ঘ দু’সপ্তাহ অবস্থান করে সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষন না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
জানা গেছে, আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না এবং নির্বাচনে সহিংসতা হতে পারে এমন একটি আশঙ্কা থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এর ফলে নির্বাচনের আগে ও পরে ইইউ বাংলাদেশের ব্যাপারে নানা নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি নির্বাচনের পর অর্থনৈতিক বিধি নিষেধ এবং রপ্তানি সীমিত করণের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এসব যেন না হয় সেজন্য বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে পরিস্কার ধারণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী’। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের অবস্থানও তুলে ধরবেন শেখ হাসিনা। এই সফরের মূল লক্ষ্য নির্বাচনের ব্যাপারে ইইউকে নিরপেক্ষ রাখা।
















