সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা বেলকুচিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ  শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা

বাংলাদেশের নির্বাচন: যুক্তরাষ্ট্র কি কি করতে পারে’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম অগ্রাধিকার বিষয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ কথা জানানো হয়েছে। প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল এখন বাংলাদেশ সফর করছে। আজ বিকেল বিকেলে মার্কিন এই প্রাক নির্বাচনী দল আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠক করেছে। এছাড়াও তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই’) আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গঠিত এই প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল নির্বাচন কমিশনের সাথেও বৈঠক করেছে। তারা গিয়েই বাংলাদেশের ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন দেবে এবং এই প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের ব্যাপারে কি ধরনের পদক্ষেপ নিবে বা আদৌ নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ পাঠাবে কিনা।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, আগামী নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে নিরবিচ্ছিন্ন নজরদারি শুধু রাখবে না, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যেন নিশ্চিত হয় সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপও গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছু কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সামনের দিনগুলোতে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে এবং পরে ৪ টি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে

১. আরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ২৪ মে যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে সেই ভিসা নীতির আওতায় ইতিমধ্যে চার শতাধিক ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এটি এখন চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হবে। যে যখন যেভাবে নির্বাচনের কাজে বাধা দিবে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রতীয়মান হবে তাকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতির আওতায় আনবে এবং তার ভিসা বাতিল করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে। নির্বাচনের আগে বেশ কিছু এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ জব্দ এবং অর্থনৈতিক বিধি নিষেধ আরোপ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বাধাগ্রস্ত হবে এমন ব্যক্তিদের যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সম্পদ থাকে তাহলে সেই সম্পদ জব্দ করবে বা বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতির তালিকা তৈরি করেছে যাদের ওপর স্যাংশন আরোপ করতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র গুলো জানিয়েছে। এই স্যাংশান আরোপের ফলে ওই সমস্ত ব্যবসায়ীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যদি কোন সম্পদ থাকে তাহলে সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। তাদের কোন পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবে না এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সাথে কোনো ব্যবসা বাণিজ্য করবে না।

৩. অর্থনৈতিক বিধি নিষেধ আরোপ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে তৃতীয় ধাপে সীমিত আকারে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো মনে করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধ্য হয় সেই জন্য এই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। তবে শেষ পর্যন্ত এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশের জনগণের জীবনমানের কোনো ক্ষতি হবে কিনা সেটিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিবেচনা করছে’। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা সহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যে বিভিন্ন ব্যবস্থা গুলো নেওয়া হচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবেই জনগণের লক্ষ্যে দেওয়া হচ্ছে, জনগণ যেটি চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়। এই কারণেই নিষেধাজ্ঞা’। কাজেই অর্থনৈতিক বিধি নিষেধ আরোপ করা হলে তা সরকারের ওপর যতটুকু না প্রভাব ফেলবে তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের জনগণ। এই প্রেক্ষাপটে এ ধরনের বিধি নিষেধাজ্ঞা আদৌ করা হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্নও রয়েছে।

৪. অন্যান্য দেশগুলোকেও এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একা বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে তদারকি বা পর্যবেক্ষণ করবেন না। অন্যান্য দেশগুলোকে বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ মার্কিন মিত্রদেরকে এক কাতারে নিয়ে আসবে এবং সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশে যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় এ ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করবে। আর এই সমস্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণের মাধ্যমেই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব বলে মার্কিন প্রশাসন এখন পর্যন্ত মনে করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশের নির্বাচন: যুক্তরাষ্ট্র কি কি করতে পারে’

আপডেট সময় : ০৭:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম অগ্রাধিকার বিষয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ কথা জানানো হয়েছে। প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল এখন বাংলাদেশ সফর করছে। আজ বিকেল বিকেলে মার্কিন এই প্রাক নির্বাচনী দল আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠক করেছে। এছাড়াও তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই’) আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গঠিত এই প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল নির্বাচন কমিশনের সাথেও বৈঠক করেছে। তারা গিয়েই বাংলাদেশের ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন দেবে এবং এই প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের ব্যাপারে কি ধরনের পদক্ষেপ নিবে বা আদৌ নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ পাঠাবে কিনা।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, আগামী নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে নিরবিচ্ছিন্ন নজরদারি শুধু রাখবে না, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যেন নিশ্চিত হয় সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপও গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছু কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সামনের দিনগুলোতে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে এবং পরে ৪ টি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে

১. আরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ২৪ মে যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে সেই ভিসা নীতির আওতায় ইতিমধ্যে চার শতাধিক ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এটি এখন চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হবে। যে যখন যেভাবে নির্বাচনের কাজে বাধা দিবে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রতীয়মান হবে তাকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতির আওতায় আনবে এবং তার ভিসা বাতিল করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে। নির্বাচনের আগে বেশ কিছু এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ জব্দ এবং অর্থনৈতিক বিধি নিষেধ আরোপ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বাধাগ্রস্ত হবে এমন ব্যক্তিদের যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সম্পদ থাকে তাহলে সেই সম্পদ জব্দ করবে বা বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতির তালিকা তৈরি করেছে যাদের ওপর স্যাংশন আরোপ করতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র গুলো জানিয়েছে। এই স্যাংশান আরোপের ফলে ওই সমস্ত ব্যবসায়ীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যদি কোন সম্পদ থাকে তাহলে সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। তাদের কোন পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবে না এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সাথে কোনো ব্যবসা বাণিজ্য করবে না।

৩. অর্থনৈতিক বিধি নিষেধ আরোপ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে তৃতীয় ধাপে সীমিত আকারে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো মনে করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধ্য হয় সেই জন্য এই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। তবে শেষ পর্যন্ত এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশের জনগণের জীবনমানের কোনো ক্ষতি হবে কিনা সেটিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিবেচনা করছে’। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা সহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যে বিভিন্ন ব্যবস্থা গুলো নেওয়া হচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবেই জনগণের লক্ষ্যে দেওয়া হচ্ছে, জনগণ যেটি চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়। এই কারণেই নিষেধাজ্ঞা’। কাজেই অর্থনৈতিক বিধি নিষেধ আরোপ করা হলে তা সরকারের ওপর যতটুকু না প্রভাব ফেলবে তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের জনগণ। এই প্রেক্ষাপটে এ ধরনের বিধি নিষেধাজ্ঞা আদৌ করা হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্নও রয়েছে।

৪. অন্যান্য দেশগুলোকেও এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একা বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে তদারকি বা পর্যবেক্ষণ করবেন না। অন্যান্য দেশগুলোকে বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ মার্কিন মিত্রদেরকে এক কাতারে নিয়ে আসবে এবং সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশে যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় এ ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করবে। আর এই সমস্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণের মাধ্যমেই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব বলে মার্কিন প্রশাসন এখন পর্যন্ত মনে করছে।