সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা বেলকুচিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ  শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা

যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনা জানালো ইসরায়েল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৭:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩ ৬১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল: দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট তেল আবিবে সংসদের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটির বৈঠকে বক্তৃতার সময় এ কথা বলেছেন গাজায় তিন ধাপে যুদ্ধ করবে ইসরায়েল। এর মাধ্যেমে হামাসকে সম্পূর্ণ নিমূল করা হবে। যুদ্ধ শেষ হলে হামাসের আর পাল্টা আঘাত করার সক্ষমতা থাকবে না। গাজায় নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করে ইসরায়েলের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এবাবেই নিজের পরিকল্পনার কথা বলেন তিনি।’

এ সময় তিনি গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্যগুলো তুলে ধরেন।

তিনি জানিয়েছেন, তাদের লক্ষ্য হলো হামাসকে সামরিকভাবে দুর্বল করে দেওয়া, হামাসের সরকার পরিচালনার সক্ষমতা ধ্বংস করা এবং গাজায় নতুন ‘নিরাপত্তা সরকার’ প্রতিষ্ঠা করা।

যুদ্ধের তিনটি প্রধান ধাপ থাকবে উল্লেখ করে গ্যালান্ট কমিটির সদস্যদের বলেন, ইসরায়েল এখন গাজায় প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধ করছে। ফিলিস্তিনে ক্রমাগত বিমান হামলা ও পরে স্থলপথে হামলা চালানোর মাধ্যমে হামাসের অবকাঠামো ধ্বংস করা হবে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় ধাপেও হামলা চালানো হবে, তবে তার তীব্রতা থাকবে কম। এ ধাপে ইসরায়েলের সেনারা হামাসের ভিতরে ঢুকে প্রতিরোধের জায়গাগুলো নির্মূলে কাজ করবে।

এ ছাড়া তৃতীয় ধাপ হবে গাজা উপত্যকায় একটি নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করা, গাজা উপত্যকায় দৈনন্দিন জীবনের জন্য দায়িত্ব থেকে ইসরায়েলের সরে যাওয়া এবং ইসরায়েলের নাগরিক ও গাজার পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন নিরাপত্তা বাস্তবতা তৈরি করা।

৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ ও অবরোধ আরোপের মাধ্যমে গাজায় সংঘাত শুরু হয়, যখন হামাস ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করে এবং নজিরবিহীন হামলা চালায়। এরপর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুগুলোতে হামলা শুরু করে এবং যুদ্ধ ঘোষণা করে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে’। ইসরায়েলে নিহত হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনা জানালো ইসরায়েল

আপডেট সময় : ০৭:৪৭:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩

বাংলা পোর্টাল: দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট তেল আবিবে সংসদের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটির বৈঠকে বক্তৃতার সময় এ কথা বলেছেন গাজায় তিন ধাপে যুদ্ধ করবে ইসরায়েল। এর মাধ্যেমে হামাসকে সম্পূর্ণ নিমূল করা হবে। যুদ্ধ শেষ হলে হামাসের আর পাল্টা আঘাত করার সক্ষমতা থাকবে না। গাজায় নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করে ইসরায়েলের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এবাবেই নিজের পরিকল্পনার কথা বলেন তিনি।’

এ সময় তিনি গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্যগুলো তুলে ধরেন।

তিনি জানিয়েছেন, তাদের লক্ষ্য হলো হামাসকে সামরিকভাবে দুর্বল করে দেওয়া, হামাসের সরকার পরিচালনার সক্ষমতা ধ্বংস করা এবং গাজায় নতুন ‘নিরাপত্তা সরকার’ প্রতিষ্ঠা করা।

যুদ্ধের তিনটি প্রধান ধাপ থাকবে উল্লেখ করে গ্যালান্ট কমিটির সদস্যদের বলেন, ইসরায়েল এখন গাজায় প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধ করছে। ফিলিস্তিনে ক্রমাগত বিমান হামলা ও পরে স্থলপথে হামলা চালানোর মাধ্যমে হামাসের অবকাঠামো ধ্বংস করা হবে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় ধাপেও হামলা চালানো হবে, তবে তার তীব্রতা থাকবে কম। এ ধাপে ইসরায়েলের সেনারা হামাসের ভিতরে ঢুকে প্রতিরোধের জায়গাগুলো নির্মূলে কাজ করবে।

এ ছাড়া তৃতীয় ধাপ হবে গাজা উপত্যকায় একটি নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করা, গাজা উপত্যকায় দৈনন্দিন জীবনের জন্য দায়িত্ব থেকে ইসরায়েলের সরে যাওয়া এবং ইসরায়েলের নাগরিক ও গাজার পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন নিরাপত্তা বাস্তবতা তৈরি করা।

৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ ও অবরোধ আরোপের মাধ্যমে গাজায় সংঘাত শুরু হয়, যখন হামাস ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করে এবং নজিরবিহীন হামলা চালায়। এরপর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুগুলোতে হামলা শুরু করে এবং যুদ্ধ ঘোষণা করে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে’। ইসরায়েলে নিহত হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষ।