দুমকিতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে অবাধে ইলিশ শিকার
- আপডেট সময় : ০৪:০৯:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩ ৬১ বার পড়া হয়েছে

দুমকি (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা: সারা দেশে ইলিশ ধরার ওপরে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। সরকারি এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পটুয়াখালীর দুমকীতে দিনে দুপুরে চলছে অবাধে মা ইলিশ ধরার মহোৎসব।
স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নদীতে মা ইলিশ ধরার মহোৎসবে লিপ্ত জেলেরা।
শনিবার(২১ অক্টোবর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পাতাবুনিয়া ও আঙ্গারিয়া বন্দর এলাকায় পায়রা নদীর তীর ঘেষে, লোহালিয়া নদীর তীর ঘেষে উত্তর মুরাদিয়া এলাকায় জোয়ারের সময় কারেন্ট জাল ফেলে হোগল পাতার আড়ালে লুকিয়ে আছে কয়েকজন জেলে। এছাড়াও জাল ফেলায় ব্যবহৃত ছোট ছোট নৌকাগুলোর আনাগোনাও ছিল চোখে পড়ার মত। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েছে তারা।
বাংলা পোর্টালের অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব ধৃত মাছ গোপনে মোবাইল কলের মাধ্যমে বেচা কেনা হয়।
আঙ্গারিয়া বন্দর এলাকার বাসিন্দা ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের শেষ বর্ষে পড়ুয়া খালিদ হাসান মিলু জানান, স্পীড বোট বা ট্রলার ছাড়া এ অভিযান সফল হচ্ছে না। কারন নদীর এ পাড় থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধাওয়া করলে ওপারে গিয়ে লুকায়। আর ওপার থেকে ধাওয়া করলে এ পাড়ে এসে লুকায়।
এদিকে জলিশা গ্রামের জেলে পাড়ার সুকুমার দাস, প্রফুল্ল দাস, সিদ্দিকুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, সরকার আমাদের ২৫ কেজি করে চাল দিলেও আমাদের দেয়া হয় ২০ কেজি। সামন্য এ চাল দিয়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির বাজারে পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্ট হয়।
তারা আরও জানান, চালের পরিবর্তে যদি ব্যাংক একাউন্টে বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ টাকা দেয় তবে সংসারের চাহিদা মত জিনিসপত্র কেনা যেতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। আর স্থানীয় লোকজন ও জেলেদের দাবিগুলো উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা হবে।
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান জানান, আমাদের এখানে একটি টিম সক্রিয় আছে। আর স্পীড বোট ব্যবহার করতে পারলে অনেক ভালো হত। কিন্তু এটা অনেক ব্যয়বহুল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী পরিচালক(ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা) মো. রাকিব হাসান বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যেই সার্বিক দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পার্শ্ববর্তী উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় করে এবং আরও একটি টিম তৈরি করে অভিযান জোরদার করা হবে।
জেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম বাংলা পোর্টাল”কে জানান, লোকবলের সংকট রয়েছে। জেলা থেকেও টীম নিয়ে স্পীড বোটসহ অভিযান অব্যহত রয়েছে। ইনশাল্লাহ অতিদ্রুত দমন করা হবে।











