ঢাকা ০৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য হলেন ২৫ গণমাধ্যম কর্মী রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান জোড়া কবরে শুয়ে রইলেন তারা, নিভে গেল দুই পরিবারের বেঁচে থাকার স্বপ্ন সলঙ্গা থানা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়কের নামে থানায় অভিযোগ  প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তপূর্বক অপসারণের দাবী রাজশাহীতে বৈষম্যমুক্ত নগরের দাবিতে আলোচনা সভা  বেলকুচিতে হত্যাকান্ডের বিচার ও পি আর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গণ সমাবেশ রামেকে একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলার অভিযোগ  খাজা মেডিকেল প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আমজাদ হোসেনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প 

ঘুর্ণিঝড় ‘হামুন’ আঘাত হানছে কক্সবাজারসহ উপকূলীয় অঞ্চল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪০:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

এম আর আয়াজ রবি, কক্সবাজার: ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র অগ্রভাগ উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারে আঘাত হানা শুরু করেছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর), সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হয়েছে উপকূলের কয়েকটি জেলায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা নাগাদ উপকূল অতিক্রম করার কথা। কক্সবাজার সদর উপজেলাসহ উপকূলীয় উখিয়ার ইনানী, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, সাবরাংসহ বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হবার খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া ঝড়ো হাওয়া ও বাতাসের তীব্রতায় কক্সবাজার শহরে চলাচলরত টমটমসহ ঘেরাবেড়া উড়ে যাবার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে উপকূলে দমকা-ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত এবং পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (২১.০০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.০০ পর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কুতুবদিয়ার নিকট দিয়ে পরবর্তী ০৮-১০ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

ঘুর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা বড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঘুর্ণিঝড় ‘হামুন’ আঘাত হানছে কক্সবাজারসহ উপকূলীয় অঞ্চল

আপডেট সময় : ০৯:৪০:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

এম আর আয়াজ রবি, কক্সবাজার: ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র অগ্রভাগ উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারে আঘাত হানা শুরু করেছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর), সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হয়েছে উপকূলের কয়েকটি জেলায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা নাগাদ উপকূল অতিক্রম করার কথা। কক্সবাজার সদর উপজেলাসহ উপকূলীয় উখিয়ার ইনানী, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, সাবরাংসহ বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হবার খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া ঝড়ো হাওয়া ও বাতাসের তীব্রতায় কক্সবাজার শহরে চলাচলরত টমটমসহ ঘেরাবেড়া উড়ে যাবার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে উপকূলে দমকা-ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত এবং পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (২১.০০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.০০ পর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কুতুবদিয়ার নিকট দিয়ে পরবর্তী ০৮-১০ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

ঘুর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা বড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।