ঢাকা ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তপূর্বক অপসারণের দাবী রাজশাহীতে বৈষম্যমুক্ত নগরের দাবিতে আলোচনা সভা  বেলকুচিতে হত্যাকান্ডের বিচার ও পি আর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গণ সমাবেশ রামেকে একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলার অভিযোগ  খাজা মেডিকেল প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আমজাদ হোসেনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প  কাউন্দিয়া ইউনিয়নের মূর্তিমান আতঙ্কের অপর নাম’কুখ্যাত ভূমিদস্যু সাইফুল আলম খান চেয়ারম্যান সাংবাদিকের গলায় জুতোর মালা; বিএমএসএফ’র তদন্ত কমিটি গঠন; তিনদিনের মধ্যে বিচার দাবি  পরকিয়ায় আত্মহত্যার দায়ভার স্বামী-শ্বাশুড়ীর উপর চাপানোর অভিযোগ বেলকুচিতে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের জন্য দোয়া ও আহতের আরগ্য কামনায় ছাত্র সমাবেশ

জাজিরায় দলিল লেখক কামরুজ্জামান মিলন খানের উপর বাদশা বাহিনীর হামলা 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১২২ বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কাজির হাট নতুন স্টান্ড এলাকায় দলিল লেখক কামরুজ্জামান মিলন খানের ক্রয়কৃত জমি দেখতে যাওয়ায় আটকে রেখে মারধর করে পা ভেংগে ফেলার অভিযোগ ও সত্যতা পাওয়া গেছে।

বছর পাচেক পূর্বে ২০ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভুক্তভোগি মিলন খান। সেই জমি, কাজিরহাট নতুন স্ট্যানের বাদশা বাহিনির প্রধান বাদশা মাদবর বিভিন্ন কোলাকৌশ করে অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করে আসছিলো।

কিন্তু কোন মতে সে জমি দখল করতে না পেরে স্থানীয় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সমঝোতা করে কিছু জমি ক্রয় করে নেয় বাদশা মাদবর এবং বাকী জমি কিছু দিন পরে দলিল করে নিবে বলে সিদ্ধান্ত দেয় সালিশ বৈঠকে।কিন্তু অনেকদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও বাদশা মাদবর বাকি জমি দলিল করে নেয়নি।এই নিয়ে জমির মালিক দলিল লেখক কামরুজ্জামান মিলন খানের সাথে বিরোধ চলে আসতেছিলো।পরে কামরুজ্জামান মিলন খান ওই জমি অন্য জায়গায় বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়,এবং জমি দেখতে যায়।এ খবর শুনে ভুমি দস্যু বাদশা মাদবর তার উপর চড়াও হয় এবং জমি কিভাবে বিক্রি করে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

এই ঘটনার সুত্রপাত ধরে গত

শুক্রবার বিকালে মিলন খান তার জমির সিমানা নির্ধারনী মাপ দিতে যান এবং সে জমি মাপার কাজে ব্যস্ত থাকেন, তখন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওত পেতে থাকা বাদশা মাদবর,শাহজান, নাহিদ, আরো ৩/৪ জন সন্ত্রাসী ও এক নারী তার উপর পিছন থেকে ঝাপিয়ে পড়ে।

লোহার রড, লাঠি চাপাতি দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়।তারপর সে বাঁচার জন্য চেষ্টা করলে তার চোখে মুখে মরিচের গুঁড়ো ঢুকিয়ে তাকে অন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং সাথে থাকা ১ লাখ টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোনের মধ্যে একটি মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয়।

শরীর থেকে রক্ত ঝড়তে দেখে ভুমি দস্যু বাদশা বাহিনী ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য, দলিল লেখক কামরুজ্জামান মিলন খান কে ডাকাত, ছিনতাইকারী,ধর্ষন কারী বলে চিৎকার করতে থাকে তখন লোকজন জড়ো হয়ে পূনরায় এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে পরে আরো লোকজন আসলে ঘটনার ভিন্ন রুপ বুঝতে পেরে তাকে উদ্ধার করে জাজিরা থানা পুলিশের হেফাজতে দিয়ে দেয়। পুলিশ সাথে সাথে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জাজিরা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ঘটনার বর্ননা দিলে পুলিশ ও ডাক্তার পরামর্শ করে তার অবস্থা আশংঙ্কা জনক দেখে তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পেরন করেন।

বর্তমানে তার পরিবার সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায় দলিল লেখক কামরুজ্জামান মিলন খানের অবস্থা আশংঙ্কা জনক।

এ ব্যাপারে বাদশা মাদবরের বক্তব্য নিতে গেলে সে প্রথমে সাংবাদিকদের হুমকিপ্রদান করেন।পরে তার সাথের কিছু লোকজন সাংবাদিক ম্যানৈজ করার চেস্টা করেন,সেই সাথে একটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক তার আত্মীয় ও বন্ধু বলে পরিচয়দেন।

ঐ বাড়ির এক মহিলা মাইরের কথা মুক ফোসকে শিকার করে ফেললেও পরে বলেন গালাগালি করছে তাই মারছে।

এ ব্যাপারে জাজিরা থানায় অভিযোগ হয়েছে, এবং ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত করছি,এবং এর সাথে জড়িত সকলকেই প্রমানসাপেক্ষে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জাজিরায় দলিল লেখক কামরুজ্জামান মিলন খানের উপর বাদশা বাহিনীর হামলা 

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কাজির হাট নতুন স্টান্ড এলাকায় দলিল লেখক কামরুজ্জামান মিলন খানের ক্রয়কৃত জমি দেখতে যাওয়ায় আটকে রেখে মারধর করে পা ভেংগে ফেলার অভিযোগ ও সত্যতা পাওয়া গেছে।

বছর পাচেক পূর্বে ২০ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভুক্তভোগি মিলন খান। সেই জমি, কাজিরহাট নতুন স্ট্যানের বাদশা বাহিনির প্রধান বাদশা মাদবর বিভিন্ন কোলাকৌশ করে অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করে আসছিলো।

কিন্তু কোন মতে সে জমি দখল করতে না পেরে স্থানীয় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সমঝোতা করে কিছু জমি ক্রয় করে নেয় বাদশা মাদবর এবং বাকী জমি কিছু দিন পরে দলিল করে নিবে বলে সিদ্ধান্ত দেয় সালিশ বৈঠকে।কিন্তু অনেকদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও বাদশা মাদবর বাকি জমি দলিল করে নেয়নি।এই নিয়ে জমির মালিক দলিল লেখক কামরুজ্জামান মিলন খানের সাথে বিরোধ চলে আসতেছিলো।পরে কামরুজ্জামান মিলন খান ওই জমি অন্য জায়গায় বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়,এবং জমি দেখতে যায়।এ খবর শুনে ভুমি দস্যু বাদশা মাদবর তার উপর চড়াও হয় এবং জমি কিভাবে বিক্রি করে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

এই ঘটনার সুত্রপাত ধরে গত

শুক্রবার বিকালে মিলন খান তার জমির সিমানা নির্ধারনী মাপ দিতে যান এবং সে জমি মাপার কাজে ব্যস্ত থাকেন, তখন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওত পেতে থাকা বাদশা মাদবর,শাহজান, নাহিদ, আরো ৩/৪ জন সন্ত্রাসী ও এক নারী তার উপর পিছন থেকে ঝাপিয়ে পড়ে।

লোহার রড, লাঠি চাপাতি দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়।তারপর সে বাঁচার জন্য চেষ্টা করলে তার চোখে মুখে মরিচের গুঁড়ো ঢুকিয়ে তাকে অন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং সাথে থাকা ১ লাখ টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোনের মধ্যে একটি মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয়।

শরীর থেকে রক্ত ঝড়তে দেখে ভুমি দস্যু বাদশা বাহিনী ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য, দলিল লেখক কামরুজ্জামান মিলন খান কে ডাকাত, ছিনতাইকারী,ধর্ষন কারী বলে চিৎকার করতে থাকে তখন লোকজন জড়ো হয়ে পূনরায় এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে পরে আরো লোকজন আসলে ঘটনার ভিন্ন রুপ বুঝতে পেরে তাকে উদ্ধার করে জাজিরা থানা পুলিশের হেফাজতে দিয়ে দেয়। পুলিশ সাথে সাথে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জাজিরা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ঘটনার বর্ননা দিলে পুলিশ ও ডাক্তার পরামর্শ করে তার অবস্থা আশংঙ্কা জনক দেখে তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পেরন করেন।

বর্তমানে তার পরিবার সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায় দলিল লেখক কামরুজ্জামান মিলন খানের অবস্থা আশংঙ্কা জনক।

এ ব্যাপারে বাদশা মাদবরের বক্তব্য নিতে গেলে সে প্রথমে সাংবাদিকদের হুমকিপ্রদান করেন।পরে তার সাথের কিছু লোকজন সাংবাদিক ম্যানৈজ করার চেস্টা করেন,সেই সাথে একটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক তার আত্মীয় ও বন্ধু বলে পরিচয়দেন।

ঐ বাড়ির এক মহিলা মাইরের কথা মুক ফোসকে শিকার করে ফেললেও পরে বলেন গালাগালি করছে তাই মারছে।

এ ব্যাপারে জাজিরা থানায় অভিযোগ হয়েছে, এবং ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত করছি,এবং এর সাথে জড়িত সকলকেই প্রমানসাপেক্ষে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।