ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য হলেন ২৫ গণমাধ্যম কর্মী রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান জোড়া কবরে শুয়ে রইলেন তারা, নিভে গেল দুই পরিবারের বেঁচে থাকার স্বপ্ন সলঙ্গা থানা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়কের নামে থানায় অভিযোগ  প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তপূর্বক অপসারণের দাবী রাজশাহীতে বৈষম্যমুক্ত নগরের দাবিতে আলোচনা সভা  বেলকুচিতে হত্যাকান্ডের বিচার ও পি আর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গণ সমাবেশ রামেকে একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলার অভিযোগ  খাজা মেডিকেল প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আমজাদ হোসেনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প 

সমাবেশের নামে নাশকতা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: কুষ্টিয়ায় মাহবুব উল আলম হানিফ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১১৪ বার পড়া হয়েছে

আবু মনি সাকলায়েন এলিন কুষ্টিয়া প্রতিনিধ: আজ মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস আওয়ামী লীগের নেই, বিএনপির আছে। যে দলের শীর্ষ নেতা মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি থেকে পালিয়ে থাকে সে দলের নেতা কর্মীদের অন্য দলের নেতা কর্মীদের পালিয়ে যাওয়া নিয়ে হুমকি দেওয়াটা হাস্যকর।

২৮ অক্টোবর বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলনের বিষয়ে হানিফ বলেন, বিএনপি এর আগেও বহুবার আন্দোলন-সমাবেশ করেছে। এতে তারা সফল হতে পারেনি, ভবিষ্যতেও কোনো দিন পারবে না।

সমাবেশের নামে নাশকতা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে হানিফ বলেন, যেকোনো শান্তিপূর্ণ রাজনীতি কর্মসূচিতে সরকারের সহযোগিতা থাকবে। আর কর্মসূচির নামে যদি কোনো অশান্তি সৃষ্টি করা হয় তাহলে সরকার তা কঠোরভাবে দমন করবে।

হানিফ বলেন, এর আগেও বিএনপি ঘোষণা করেছিল ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে খালেদা জিয়া সরকার পরিচালনা করবে। কিন্তু সেই ১০ ডিসেম্বর পার হয়ে আরেক ডিসেম্বর চলে আসার সময় হয়ে গেল। তাই বিএনপির এসব ফালতু কথাবার্তা শুনে তাদের কর্মীরা কিছুটা পুলকিত হয়। এতে দেশবাসীর ভাবনার কিছু নেই।

হানিফ আরও বলেন, মির্জা ফখরুল কিছুদিন আগে নাকি বলেছিলেন, ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সরকারের পতন না হলে হাতে চুড়ি পড়বেন। ১৮ অক্টোবর পার হয়ে এখন ২৮ অক্টোবর চলে আসছে। কিন্তু তিনি চুড়ি পড়েছেন কিনা দেশবাসী তা জানে না।। সুতরাং এই সমস্ত কথাবার্তার কোনো মূল্য নেই।

কর্মীদের উজ্জীবিত করার জন্য বিএনপি বিভিন্ন ধরনের মিথ্যাচার করছে মন্তব্য করে হানিফ বলেন, এটি হচ্ছে তাদের একটি স্বভাব। জনগণের সঙ্গে প্রতারণার পর এখন দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদেরকে কর্মসূচির নামে ঢাকায় ডেকে নিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। আসলে এর ফলাফল হবে শূন্য।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন রাজুসহ নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সমাবেশের নামে নাশকতা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: কুষ্টিয়ায় মাহবুব উল আলম হানিফ

আপডেট সময় : ০৬:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

আবু মনি সাকলায়েন এলিন কুষ্টিয়া প্রতিনিধ: আজ মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস আওয়ামী লীগের নেই, বিএনপির আছে। যে দলের শীর্ষ নেতা মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি থেকে পালিয়ে থাকে সে দলের নেতা কর্মীদের অন্য দলের নেতা কর্মীদের পালিয়ে যাওয়া নিয়ে হুমকি দেওয়াটা হাস্যকর।

২৮ অক্টোবর বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলনের বিষয়ে হানিফ বলেন, বিএনপি এর আগেও বহুবার আন্দোলন-সমাবেশ করেছে। এতে তারা সফল হতে পারেনি, ভবিষ্যতেও কোনো দিন পারবে না।

সমাবেশের নামে নাশকতা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে হানিফ বলেন, যেকোনো শান্তিপূর্ণ রাজনীতি কর্মসূচিতে সরকারের সহযোগিতা থাকবে। আর কর্মসূচির নামে যদি কোনো অশান্তি সৃষ্টি করা হয় তাহলে সরকার তা কঠোরভাবে দমন করবে।

হানিফ বলেন, এর আগেও বিএনপি ঘোষণা করেছিল ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে খালেদা জিয়া সরকার পরিচালনা করবে। কিন্তু সেই ১০ ডিসেম্বর পার হয়ে আরেক ডিসেম্বর চলে আসার সময় হয়ে গেল। তাই বিএনপির এসব ফালতু কথাবার্তা শুনে তাদের কর্মীরা কিছুটা পুলকিত হয়। এতে দেশবাসীর ভাবনার কিছু নেই।

হানিফ আরও বলেন, মির্জা ফখরুল কিছুদিন আগে নাকি বলেছিলেন, ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সরকারের পতন না হলে হাতে চুড়ি পড়বেন। ১৮ অক্টোবর পার হয়ে এখন ২৮ অক্টোবর চলে আসছে। কিন্তু তিনি চুড়ি পড়েছেন কিনা দেশবাসী তা জানে না।। সুতরাং এই সমস্ত কথাবার্তার কোনো মূল্য নেই।

কর্মীদের উজ্জীবিত করার জন্য বিএনপি বিভিন্ন ধরনের মিথ্যাচার করছে মন্তব্য করে হানিফ বলেন, এটি হচ্ছে তাদের একটি স্বভাব। জনগণের সঙ্গে প্রতারণার পর এখন দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদেরকে কর্মসূচির নামে ঢাকায় ডেকে নিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। আসলে এর ফলাফল হবে শূন্য।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন রাজুসহ নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।