সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা বেলকুচিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ  শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা

নাইট্রোজেন শব্দটি যেভাবে পেলাম’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল: নতুন কিছু আলাদাভাবে চিহ্নিত করাসহ নানা কারণেই নাম দিতে হয়। বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও কথাটি সত্য। এসব নামের পেছনেও লুকিয়ে থাকে মজার ইতিহাস। আজ দেখা যাক, নাইট্রোজেন শব্দটি কী করে আমাদের হলো?

১৭৬০ সালের দিকে বিজ্ঞানী হেনরি ক্যাভেন্ডিশ ও জোসেফ প্রিস্টলে আলাদা আলাদা পরীক্ষায় বাতাস থেকে অক্সিজেন সরিয়ে নাইট্রোজেন গ্যাস পৃথক করতে পেরেছিলেন’। কিন্তু গ্যাসটি যে আসলে কী তা তাঁরা বুঝতে পারেননি। তবে পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল গ্যাসটি এবং এতে কোনো প্রাণী বাঁচতে পারে না। তাই তারা প্রাথমিকভাবে এর নাম দিয়েছিলেন অশ্বসনকারী গ্যাস’। ওদিকে তাদেরই প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রিটিশ রসায়নবিদ ড্যানিয়েল রাদারফোর্ড ১৭৭২ সালে বুঝতে পারলেন, এটি আসলে নতুন একটি গ্যাস। তাই এই গ্যাসের আবিষ্কারের কৃতিত্ব দেওয়া হয় রাদারফোর্ডকেই। নতুন গ্যাসটির নাম তিনি দিয়েছিলেন দূষিত বাতাস। ১৭৮৭ সালে রসায়নবিদ ল্যাভয়সিয়ে গ্যাসটির নাম দিলেন অ্যাজোট (azote) গ্রিক এ শব্দটির অর্থ জীবনহীন। এ গ্যাসে জীব শ্বাস নিতে পারে না বলেই এমন নামের প্রস্তাব। পরে এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। কারণ গাছের বেঁচে থাকার জন্য এ গ্যাসটি অপরিহার্য। তাই পরে গ্যাসটির নাম দেওয়া হয় নাইট্রোজেন। গ্রিক শব্দ নাইট্রন (nitron) আর জিন (genes) যোগ করে বানানো হয়েছিল শব্দ। এই দুটি শব্দের মিলিত অর্থ হচ্ছে নাইট্রি গঠনকারী (nitre-forming)। আবার গ্যাসটির ল্যাটিন নাম নাইট্রোজেনিয়াম (Nitrogenium) অর্থও তাই। সে সময় গানপাউডার বা বারুদের প্রধান উপাদান সল্টপিটার বা পটাশিয়াম নাইট্রেটকে বলা হতো নাইটার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নাইট্রোজেন শব্দটি যেভাবে পেলাম’

আপডেট সময় : ০১:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

বাংলা পোর্টাল: নতুন কিছু আলাদাভাবে চিহ্নিত করাসহ নানা কারণেই নাম দিতে হয়। বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও কথাটি সত্য। এসব নামের পেছনেও লুকিয়ে থাকে মজার ইতিহাস। আজ দেখা যাক, নাইট্রোজেন শব্দটি কী করে আমাদের হলো?

১৭৬০ সালের দিকে বিজ্ঞানী হেনরি ক্যাভেন্ডিশ ও জোসেফ প্রিস্টলে আলাদা আলাদা পরীক্ষায় বাতাস থেকে অক্সিজেন সরিয়ে নাইট্রোজেন গ্যাস পৃথক করতে পেরেছিলেন’। কিন্তু গ্যাসটি যে আসলে কী তা তাঁরা বুঝতে পারেননি। তবে পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল গ্যাসটি এবং এতে কোনো প্রাণী বাঁচতে পারে না। তাই তারা প্রাথমিকভাবে এর নাম দিয়েছিলেন অশ্বসনকারী গ্যাস’। ওদিকে তাদেরই প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রিটিশ রসায়নবিদ ড্যানিয়েল রাদারফোর্ড ১৭৭২ সালে বুঝতে পারলেন, এটি আসলে নতুন একটি গ্যাস। তাই এই গ্যাসের আবিষ্কারের কৃতিত্ব দেওয়া হয় রাদারফোর্ডকেই। নতুন গ্যাসটির নাম তিনি দিয়েছিলেন দূষিত বাতাস। ১৭৮৭ সালে রসায়নবিদ ল্যাভয়সিয়ে গ্যাসটির নাম দিলেন অ্যাজোট (azote) গ্রিক এ শব্দটির অর্থ জীবনহীন। এ গ্যাসে জীব শ্বাস নিতে পারে না বলেই এমন নামের প্রস্তাব। পরে এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। কারণ গাছের বেঁচে থাকার জন্য এ গ্যাসটি অপরিহার্য। তাই পরে গ্যাসটির নাম দেওয়া হয় নাইট্রোজেন। গ্রিক শব্দ নাইট্রন (nitron) আর জিন (genes) যোগ করে বানানো হয়েছিল শব্দ। এই দুটি শব্দের মিলিত অর্থ হচ্ছে নাইট্রি গঠনকারী (nitre-forming)। আবার গ্যাসটির ল্যাটিন নাম নাইট্রোজেনিয়াম (Nitrogenium) অর্থও তাই। সে সময় গানপাউডার বা বারুদের প্রধান উপাদান সল্টপিটার বা পটাশিয়াম নাইট্রেটকে বলা হতো নাইটার।