সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা বেলকুচিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ  শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা

মাথায় কত প্রশ্ন আসে

শরীরে ঠান্ডা বা গরম লাগে কেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ৫২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল: শরীরে ঠান্ডা বা গরম লাগার পেছনে দায়ী শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট (প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস) সারা দিন সাধারণত আমাদের দেহের তাপমাত্রা ৯৭ থেকে ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে। জ্বর হলে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা ওঠাও অস্বাভাবিক নয়।

দেহের স্বাভাবিক কাজকর্ম ঠিক রাখতে শরীরের ভেতরে সর্বক্ষণ তাপ তৈরি হচ্ছে। সেই হিসেবে বলা যায়, মানবদেহ আসলে তাপ তৈরির মেশিন। পরীক্ষায় দেখা গেছে, একজন মানুষের দেহে যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয়, তা একটি ১০০ ওয়াটের বৈদ্যুতিক বাল্বের উৎপাদিত তাপের সমান। আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের কাজের ওপর এই তাপের পরিমাণ নির্ভর করে। কোনো কিছু না করে চুপচাপ বসে থাকলে বা ঘুমালে শরীরে উৎপন্ন তাপের পরিমাণ হয় ৫০ ওয়াট বাল্বের সমান। আর হালকা কাজকর্ম করলে প্রায় ২০০ ওয়াট বাল্বের সমান তাপ উৎপন্ন হয়। আবার ভারী কাজ করলে (যেমন সিঁড়ি ভাঙলে’) উৎপন্ন হতে পারে প্রায় ১ হাজার ওয়াট বাল্বের সমান তাপ।

জ্বর হলে শরীরে ঠান্ডা লাগে

এই তাপের কারণে আমাদের দেহের তাপমাত্রা ওঠানামা করে। সাধারণত চারপাশের পরিবেশের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৭৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট) থাকলে, তা আমাদের দেহের জন্য আরামদায়ক। কিন্তু তাপমাত্রা এর চেয়ে বাড়লে বা কমলে শরীরে গরম বা ঠান্ডার অনুভূতি জাগে। দেহের তাপমাত্রা চারপাশের পরিবেশের চেয়ে বেশি হলে ঠান্ডা লাগে। আবার পরিবেশের চেয়ে শরীরের তাপ কম হলে গরম লাগে। এ কারণেই জ্বর হলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, আমরা ঠান্ডা অনুভব করি। আবার জ্বর কমে গেলে গা গরমে ঘেমে ওঠে।

মানুষ কেন বর্ণান্ধ হয়

আবার শারীরিক কোনো কাজ করলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু তারপরও গরম লাগে। কারণ কাজের ফলে শরীরের কোষের কাজ বেড়ে যায়। ফলে দেহে তৈরি হয় অতিরিক্ত তাপ। এই বাড়তি তাপ শরীর থেকে বের করে দেওয়ার জন্য আমরা ঘেমে উঠি। এটা আসলে আমাদের দেহকে ঠান্ডা রাখার প্রাকৃতিক একটি প্রক্রিয়া।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মাথায় কত প্রশ্ন আসে

শরীরে ঠান্ডা বা গরম লাগে কেন

আপডেট সময় : ০৫:৫৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

বাংলা পোর্টাল: শরীরে ঠান্ডা বা গরম লাগার পেছনে দায়ী শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট (প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস) সারা দিন সাধারণত আমাদের দেহের তাপমাত্রা ৯৭ থেকে ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে। জ্বর হলে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা ওঠাও অস্বাভাবিক নয়।

দেহের স্বাভাবিক কাজকর্ম ঠিক রাখতে শরীরের ভেতরে সর্বক্ষণ তাপ তৈরি হচ্ছে। সেই হিসেবে বলা যায়, মানবদেহ আসলে তাপ তৈরির মেশিন। পরীক্ষায় দেখা গেছে, একজন মানুষের দেহে যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয়, তা একটি ১০০ ওয়াটের বৈদ্যুতিক বাল্বের উৎপাদিত তাপের সমান। আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের কাজের ওপর এই তাপের পরিমাণ নির্ভর করে। কোনো কিছু না করে চুপচাপ বসে থাকলে বা ঘুমালে শরীরে উৎপন্ন তাপের পরিমাণ হয় ৫০ ওয়াট বাল্বের সমান। আর হালকা কাজকর্ম করলে প্রায় ২০০ ওয়াট বাল্বের সমান তাপ উৎপন্ন হয়। আবার ভারী কাজ করলে (যেমন সিঁড়ি ভাঙলে’) উৎপন্ন হতে পারে প্রায় ১ হাজার ওয়াট বাল্বের সমান তাপ।

জ্বর হলে শরীরে ঠান্ডা লাগে

এই তাপের কারণে আমাদের দেহের তাপমাত্রা ওঠানামা করে। সাধারণত চারপাশের পরিবেশের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৭৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট) থাকলে, তা আমাদের দেহের জন্য আরামদায়ক। কিন্তু তাপমাত্রা এর চেয়ে বাড়লে বা কমলে শরীরে গরম বা ঠান্ডার অনুভূতি জাগে। দেহের তাপমাত্রা চারপাশের পরিবেশের চেয়ে বেশি হলে ঠান্ডা লাগে। আবার পরিবেশের চেয়ে শরীরের তাপ কম হলে গরম লাগে। এ কারণেই জ্বর হলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, আমরা ঠান্ডা অনুভব করি। আবার জ্বর কমে গেলে গা গরমে ঘেমে ওঠে।

মানুষ কেন বর্ণান্ধ হয়

আবার শারীরিক কোনো কাজ করলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু তারপরও গরম লাগে। কারণ কাজের ফলে শরীরের কোষের কাজ বেড়ে যায়। ফলে দেহে তৈরি হয় অতিরিক্ত তাপ। এই বাড়তি তাপ শরীর থেকে বের করে দেওয়ার জন্য আমরা ঘেমে উঠি। এটা আসলে আমাদের দেহকে ঠান্ডা রাখার প্রাকৃতিক একটি প্রক্রিয়া।’