ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এনায়েতপুরে শহীদদের স্মরণে ২নং স্থল ইউনিয়নে দোয়া ও আলোচনা সভা  সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন সাজাপ্রাপ্ত সেই প্রধান শিক্ষক আফছার আলী দূর্গা পূজাকে ঘিরে ব্যস্ত রাউজানের প্রতিমা শিল্পীরা  নারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার গোপন কক্ষটি গোপন ছিল না দায়িত্ব গ্রহণের আড়াই ঘন্টা পর রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ প্রেমিকার টাকা স্বর্ণলংকার হাতিয়ে নিয়ে ফ্লাইওভার থেকে ফেলে হত্যা  এনায়েতপুরে আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর বিএনপির স্মরণ সভাকে সফল করতে প্রস্তুতিমূলক সভা  সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য হলেন ২৫ গণমাধ্যম কর্মী রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান

নির্মাণ কাজে ধীরগতিই সড়ক সংসস্কারে নামে তামাশা

এক বছরেও শেষ হয়নি শীলকূপ টাইমবাজার-গন্ডামারা সড়কের কাজ, জনদূর্ভোগ চরমে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪ ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ শীলকূপ টাইমবাজার-গন্ডামারা সংযোগ সড়কের কাজ শুরুর গত এক বছরে এখনো কাজই শেষ করতে পারেনি কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন। দীর্ঘ সড়কে দু’পাশে বর্ধিত অংশের মাটি কেটে স্যান্ড ফিলিং করেন। মাঝপথে কাজ বন্ধ করে চলে যান। হাতে-গোনা কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে মন্থরগতিতে কাজ চলায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়ন ও গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম গন্ডামারার সাথে বাঁশখালী প্রধান সড়কের একমাত্র সংযোগ সড়ক এটি। দীর্ঘ সড়কজুড়ে আবারো সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। ধূলাবালির নরক রাজ্যে জনসাধারণ সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।স্বাভাবিকভাবে হাটাঁ-চলাফেরা করতে পারছেনা পথচারী। এহেন অবস্থায় বিকল হচ্ছে সড়কে চলমান যানবাহনগুলো। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর এলজিইডি চট্টগ্রামের আওতায় মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কাজটি করছে। সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে পৌনে ৪ কোটি টাকা। কাজ শুরুর একবছর অতিক্রম হলেও কবে নাগাদ সড়কটির কাজ শেষ হবে তা নির্দিষ্ট করে সংশ্লিষ্টরা কেউ বলতে পারছেন না।

সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শীলকূপ টাইমবাজার ও পশ্চিমে গন্ডামারা ইউনিয়নের বৃহত্তম জনগোষ্ঠির সঙ্গে প্রধান সড়কের সাথে জনগণের সহজে যাতায়াতের সুবিধার্থে টাইমবাজার থেকে গন্ডামারা ব্রিজ পর্যন্ত সড়ক বর্ধিতকরণসহ পানি নিষ্কাশন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সে অনুযায়ী ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের দু’পাশ বর্ধিতকরণে সড়কটির পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হয়। আর এর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় পৌনে ৪ কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারীতে সড়কের কাজ শুরু করেন। দু’পাশে বর্ধিত অংশের মাটি কেটে স্যান্ড ফিলিং করেন। মাঝপথে কাজ বন্ধ করে চলে যান। আবার আসেন। দীর্ঘ এক বছর অতিক্রম হলেও কাজের গতি নেই। সড়কের কোনো কোনো অংশে কার্পেটিং তুলে ফেললেও ঠিকমতো বালু ও পাথরের মিশ্রণ ঢেলে রোলিং না করায় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।

বর্তমানে সড়কটির নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে চলায় শীলকূপ-গন্ডামারা দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া এ সড়ক দিয়ে যাতায়ত করা বিভিন্ন স্কুল-মাদরাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরও পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ। ধূলাবালিতে অতিষ্ট সাধারণ পথচারিও।

বাঁশখালী সরকারী বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুখ বলেন, ‘সড়কটি শীলকূপ ও পশ্চিম গন্ডামারাবাসীর একমাত্র বিকল্প সড়ক। বিশেষ করে আমার প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন এলাকা থেকে এ সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করে। ধূলাবালির কারণে শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারে না। প্রতিনিয়ত ধূলাবালির কারণে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। জনস্বার্থে সড়কটির দ্রুত সংস্কার জরুরী।’

শীলকূপ ইউপির চেয়ারম্যান কায়েশ সরওয়ার সুমন বলেন, ‘সড়কটি টাইমবাজার হয়ে গন্ডামারা পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার দূরত্বের সাথে বিশাল জনগোষ্ঠির যোগাযোগের মাধ্যম। এ সড়ক দিয়ে বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, মনকিচর বড় মাদরাসাসহ বেশ কয়েটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চরম দূর্ভোগে যাতায়ত করে।সড়কের কার্পেট খুলে ফেলায় নির্মাণ কাজের ধীরগতির কারণে চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে জনগণকে। তারা মাঝেমধ্যে আসে কাজ শুরু করে আবার চলে যায়। এখনো পর্যন্ত সড়কের এক-তৃতীয়াংশ কাজই শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

ঠিকাদার কামাল হোসেনের মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুব বলেন, ‘আগামী একসপ্তাহের মধ্যে সড়কের কাজ ব্যাপকভাবে শুরু করা হবে। খুব শিগগির সড়কের কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী (এল জি ই ডি) কর্মকর্তা কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে অফিস সূত্রে তিনি প্রশিক্ষণে আছেন বলে জানা যায়। মুঠোফোনেও বার বার ফোন দিলে তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নির্মাণ কাজে ধীরগতিই সড়ক সংসস্কারে নামে তামাশা

এক বছরেও শেষ হয়নি শীলকূপ টাইমবাজার-গন্ডামারা সড়কের কাজ, জনদূর্ভোগ চরমে

আপডেট সময় : ১২:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪

শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ শীলকূপ টাইমবাজার-গন্ডামারা সংযোগ সড়কের কাজ শুরুর গত এক বছরে এখনো কাজই শেষ করতে পারেনি কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন। দীর্ঘ সড়কে দু’পাশে বর্ধিত অংশের মাটি কেটে স্যান্ড ফিলিং করেন। মাঝপথে কাজ বন্ধ করে চলে যান। হাতে-গোনা কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে মন্থরগতিতে কাজ চলায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়ন ও গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম গন্ডামারার সাথে বাঁশখালী প্রধান সড়কের একমাত্র সংযোগ সড়ক এটি। দীর্ঘ সড়কজুড়ে আবারো সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। ধূলাবালির নরক রাজ্যে জনসাধারণ সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।স্বাভাবিকভাবে হাটাঁ-চলাফেরা করতে পারছেনা পথচারী। এহেন অবস্থায় বিকল হচ্ছে সড়কে চলমান যানবাহনগুলো। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর এলজিইডি চট্টগ্রামের আওতায় মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কাজটি করছে। সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে পৌনে ৪ কোটি টাকা। কাজ শুরুর একবছর অতিক্রম হলেও কবে নাগাদ সড়কটির কাজ শেষ হবে তা নির্দিষ্ট করে সংশ্লিষ্টরা কেউ বলতে পারছেন না।

সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শীলকূপ টাইমবাজার ও পশ্চিমে গন্ডামারা ইউনিয়নের বৃহত্তম জনগোষ্ঠির সঙ্গে প্রধান সড়কের সাথে জনগণের সহজে যাতায়াতের সুবিধার্থে টাইমবাজার থেকে গন্ডামারা ব্রিজ পর্যন্ত সড়ক বর্ধিতকরণসহ পানি নিষ্কাশন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সে অনুযায়ী ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের দু’পাশ বর্ধিতকরণে সড়কটির পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হয়। আর এর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় পৌনে ৪ কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারীতে সড়কের কাজ শুরু করেন। দু’পাশে বর্ধিত অংশের মাটি কেটে স্যান্ড ফিলিং করেন। মাঝপথে কাজ বন্ধ করে চলে যান। আবার আসেন। দীর্ঘ এক বছর অতিক্রম হলেও কাজের গতি নেই। সড়কের কোনো কোনো অংশে কার্পেটিং তুলে ফেললেও ঠিকমতো বালু ও পাথরের মিশ্রণ ঢেলে রোলিং না করায় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।

বর্তমানে সড়কটির নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে চলায় শীলকূপ-গন্ডামারা দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া এ সড়ক দিয়ে যাতায়ত করা বিভিন্ন স্কুল-মাদরাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরও পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ। ধূলাবালিতে অতিষ্ট সাধারণ পথচারিও।

বাঁশখালী সরকারী বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুখ বলেন, ‘সড়কটি শীলকূপ ও পশ্চিম গন্ডামারাবাসীর একমাত্র বিকল্প সড়ক। বিশেষ করে আমার প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন এলাকা থেকে এ সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করে। ধূলাবালির কারণে শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারে না। প্রতিনিয়ত ধূলাবালির কারণে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। জনস্বার্থে সড়কটির দ্রুত সংস্কার জরুরী।’

শীলকূপ ইউপির চেয়ারম্যান কায়েশ সরওয়ার সুমন বলেন, ‘সড়কটি টাইমবাজার হয়ে গন্ডামারা পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার দূরত্বের সাথে বিশাল জনগোষ্ঠির যোগাযোগের মাধ্যম। এ সড়ক দিয়ে বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, মনকিচর বড় মাদরাসাসহ বেশ কয়েটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চরম দূর্ভোগে যাতায়ত করে।সড়কের কার্পেট খুলে ফেলায় নির্মাণ কাজের ধীরগতির কারণে চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে জনগণকে। তারা মাঝেমধ্যে আসে কাজ শুরু করে আবার চলে যায়। এখনো পর্যন্ত সড়কের এক-তৃতীয়াংশ কাজই শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

ঠিকাদার কামাল হোসেনের মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুব বলেন, ‘আগামী একসপ্তাহের মধ্যে সড়কের কাজ ব্যাপকভাবে শুরু করা হবে। খুব শিগগির সড়কের কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী (এল জি ই ডি) কর্মকর্তা কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে অফিস সূত্রে তিনি প্রশিক্ষণে আছেন বলে জানা যায়। মুঠোফোনেও বার বার ফোন দিলে তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।