সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা বেলকুচিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ  শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা

সংস্কারের বছর না যেতেই ছনুয়া-শেখেরখীল ফাঁড়িরমূখ সংযোগ বেইলি সেতু মরণ ফাঁদে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪ ২২৩ বার পড়া হয়েছে

শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ সংস্কারের বছর না যেতেই বাঁশখালী উপজেলার ইকোনোমিক জোন খ্যাত ছনুয়া-শেখেরখীল ফাঁড়িরমূখ সংযোগ বেইলী সেতুটি আবারো মরণফাঁদে। সেতুটি দক্ষিণ বাঁশখালীর পশ্চিম উপকূলীয় জলকদর খালের উপর নির্মিত। উপকূলীয় ছনুয়া-শেখেরখীল এ দুই ইউনিয়নের প্রধান যোগাযোগের বিকল্প মাধ্যম সেতুটি। প্রতিদিন ছনুয়া ও শেখেরখীল ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যাতায়ত সহ মালবাহী নানা যানবাহন চলাচল করে এ সংযোগ সেতু দিয়ে। উপকূলীয় এলাকার ছনুয়া ও শেখেরখীল ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ সাগরে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত থাকে। জেলেরা বঙ্গোপসাগর থেকে বড় বড় ট্রলারে মাছ ধরে নিয়ে আসে জলকদরের তীরে। আর সকাল-সন্ধ্যায় পরিবহনে ব্যবহৃত হয় গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি। সংস্কারের বছর না যেতেই সেতুর পাটাতন ভেঙ্গে গিয়ে বড় বড় ফুটো হয়ে গেছে। এতে দূর্ভোগে পড়ছে সাধারণ যাত্রীরা। বঙ্গোপসাগর থেকে আহরিত মৎস্য বহনকারী যানবাহন চলাচলও হুমকীর পথে।

উপজেলার প্রধানসড়কের সাথে ছনুয়া ইউনিয়নের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম ছনুয়া-শেখেরখীল সংযোগ সেতুটি। সেতুর পাটাতন ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন। সাধারণ পথচারীসহ স্কুল-কলেজ, মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়ত করছে এ সেতু দিয়ে। মরিচা ধরে পাটাতন ভেঙ্গে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ায় এখন সাধারণ যানবাহন বিশেষ করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রিকশাসহ মালবাহী মিনিট্রাকের চলাচল ঝুঁকির পথে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পাটাতনে মরিচা ধরে সেতুটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অধিকাংশ পাটাতন মরিচা ধরে খসে পড়ছে। বড় বড় ফুটো হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। যার ফলে সাধারণের চলাচলসহ যানবাহন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলার প্রধান সড়কের সাথে শেখেরখীল-ছনুয়ার অভ্যন্তরিণ সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্রীজের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে।

শেখেরখীল ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল ইসলাম এ বিষয়ে প্রতিবেদক কে বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ বেইলি সেতুর পাটাতনে মরিচা ধরে বড় বড় ফুটো হয়ে গেছে। এতে আমাদের দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা হুমকির পথে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সেতুর জরাজীর্ণ ছবি তুলে উপজেলা প্রকৌশলীকে দেখিয়েছিলাম। জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য তাকে অবহিত করেছিলাম।

এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী (এল জি ই ডি) কর্মকর্তা কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘সেতুর জরাজীর্ণ অবস্থার বিষয়ে অগত হয়েছি। আপাতদ সেতু মেরামতের জন্য কোন বরাদ্দ নাই। একটা স্টিমিট করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হবে। জনদুর্ভোগ লাঘবে কম সময়ে সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সংস্কারের বছর না যেতেই ছনুয়া-শেখেরখীল ফাঁড়িরমূখ সংযোগ বেইলি সেতু মরণ ফাঁদে

আপডেট সময় : ১১:৪০:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ সংস্কারের বছর না যেতেই বাঁশখালী উপজেলার ইকোনোমিক জোন খ্যাত ছনুয়া-শেখেরখীল ফাঁড়িরমূখ সংযোগ বেইলী সেতুটি আবারো মরণফাঁদে। সেতুটি দক্ষিণ বাঁশখালীর পশ্চিম উপকূলীয় জলকদর খালের উপর নির্মিত। উপকূলীয় ছনুয়া-শেখেরখীল এ দুই ইউনিয়নের প্রধান যোগাযোগের বিকল্প মাধ্যম সেতুটি। প্রতিদিন ছনুয়া ও শেখেরখীল ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যাতায়ত সহ মালবাহী নানা যানবাহন চলাচল করে এ সংযোগ সেতু দিয়ে। উপকূলীয় এলাকার ছনুয়া ও শেখেরখীল ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ সাগরে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত থাকে। জেলেরা বঙ্গোপসাগর থেকে বড় বড় ট্রলারে মাছ ধরে নিয়ে আসে জলকদরের তীরে। আর সকাল-সন্ধ্যায় পরিবহনে ব্যবহৃত হয় গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি। সংস্কারের বছর না যেতেই সেতুর পাটাতন ভেঙ্গে গিয়ে বড় বড় ফুটো হয়ে গেছে। এতে দূর্ভোগে পড়ছে সাধারণ যাত্রীরা। বঙ্গোপসাগর থেকে আহরিত মৎস্য বহনকারী যানবাহন চলাচলও হুমকীর পথে।

উপজেলার প্রধানসড়কের সাথে ছনুয়া ইউনিয়নের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম ছনুয়া-শেখেরখীল সংযোগ সেতুটি। সেতুর পাটাতন ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন। সাধারণ পথচারীসহ স্কুল-কলেজ, মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়ত করছে এ সেতু দিয়ে। মরিচা ধরে পাটাতন ভেঙ্গে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ায় এখন সাধারণ যানবাহন বিশেষ করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রিকশাসহ মালবাহী মিনিট্রাকের চলাচল ঝুঁকির পথে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পাটাতনে মরিচা ধরে সেতুটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অধিকাংশ পাটাতন মরিচা ধরে খসে পড়ছে। বড় বড় ফুটো হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। যার ফলে সাধারণের চলাচলসহ যানবাহন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলার প্রধান সড়কের সাথে শেখেরখীল-ছনুয়ার অভ্যন্তরিণ সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্রীজের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে।

শেখেরখীল ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল ইসলাম এ বিষয়ে প্রতিবেদক কে বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ বেইলি সেতুর পাটাতনে মরিচা ধরে বড় বড় ফুটো হয়ে গেছে। এতে আমাদের দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা হুমকির পথে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সেতুর জরাজীর্ণ ছবি তুলে উপজেলা প্রকৌশলীকে দেখিয়েছিলাম। জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য তাকে অবহিত করেছিলাম।

এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী (এল জি ই ডি) কর্মকর্তা কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘সেতুর জরাজীর্ণ অবস্থার বিষয়ে অগত হয়েছি। আপাতদ সেতু মেরামতের জন্য কোন বরাদ্দ নাই। একটা স্টিমিট করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হবে। জনদুর্ভোগ লাঘবে কম সময়ে সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।