ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এনায়েতপুরে শহীদদের স্মরণে ২নং স্থল ইউনিয়নে দোয়া ও আলোচনা সভা  সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন সাজাপ্রাপ্ত সেই প্রধান শিক্ষক আফছার আলী দূর্গা পূজাকে ঘিরে ব্যস্ত রাউজানের প্রতিমা শিল্পীরা  নারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার গোপন কক্ষটি গোপন ছিল না দায়িত্ব গ্রহণের আড়াই ঘন্টা পর রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ প্রেমিকার টাকা স্বর্ণলংকার হাতিয়ে নিয়ে ফ্লাইওভার থেকে ফেলে হত্যা  এনায়েতপুরে আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর বিএনপির স্মরণ সভাকে সফল করতে প্রস্তুতিমূলক সভা  সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য হলেন ২৫ গণমাধ্যম কর্মী রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান

শবে বরাতের মহান রাতেও ক্ষমা পাবেন না যে দুই ধরণের মানুষ’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল: শাবান মাসের মাঝখানের এই রাতটিকে বলা হয় শবে বরাত। বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে এ রাতে আল্লাহ মানুষের প্রতি তার রহমতের দরজা উন্মুক্ত করে দেন। ফলে এ রাতকে বলা হয় গুনাহ মাফের এক সুবর্ণ সময়। কিন্তু ২ ধরণের লোক আছে যারা এই রাতেও আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাবেন না।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বার বার নিজেকে ক্ষমাশীল বলেছেন। আর শুধু শবে বরাত না। প্রতি রাতেই মহান আল্লাহ অপেক্ষা করেন তার কোন বান্দা তার কাছে ক্ষমা চায়, তাঁকে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য। আবু হোরায়রা (র) থেকে বর্ণিত। মহানবী (স) বলেন, “আল্লাহ প্রতি রাতে প্রথম আসমানে নেমে আসে যখন রাতের দুই তৃতীয়াংশ অতিক্রম হয়। আর বলেন, “আমি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক। এমন কেউ কি আছে যে আমাকে ডাকে যার ডাকে আমি সাড়া দিবো? এমন কেউ কি আছে যে আমার কাছে কিছু চাইবে আর আমি তাঁকে তা দিবো? এমন কেউ কি আছে যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাঁকে ক্ষমা করে দিবো? সহীহ মুসলিম ]

অর্থাৎ, আল্লাহ প্রতিনিয়ত অপেক্ষায় থাকেন কখন তার বান্দা ক্ষমা চাইবে, কখন তার কাছে ফিরে আসবে আর তিনি ক্ষমা করে দিবেন। কিন্তু এমন দুই শ্রেণির লোক আছে, যাদের আল্লাহ ক্ষমা করেন না। মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, “মধ্য শাবানের রাতে, আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও অন্তরে রাগ পোষণকারীকে ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন।” [ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫৬৬৫]

হাদিসটিতে দুটি শ্রেণির কথা বলা হয়েছে। এক যারা আল্লাহর সাথে শিরক করে। অর্থাৎ, আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করে। আর এই গুনাহ খুবই মারাত্মক। যত গুলো কবীরা গুনাহের কথা আল্লাহ বলেছেন তার প্রথম ও প্রধান হচ্ছে শিরক।:

আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে যারা অন্য কারো প্রতি মনে রাগ বা ক্ষোভ ধরে রাখে। এই গুনাহটাকে এত মারাত্মক বলা হয়েছে কারণ, যখন কেউ কারো প্রতি ক্ষোভ বা রাগ ধরে রাখে তখন সে ব্যক্তি আল্লাহর রহমত বা ইবাদত নিয়ে ভাবতে পারে না। তার মনের মধ্যে শুধুমাত্র ঘৃণা আর বিদ্বেষ থাকে। এর ফলে সে ধীরে ধীরে আল্লাহ থেকে দূরে সরে যেতে থাকে।

তাই শবে বরাতের এই পবিত্র রাতে সম্পুর্ণভাবে আল্লাহর ক্ষমা প্রাপ্তির জন্য এক আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে। তারই ইবাদত করতে হবে। আর কারও প্রতি মনের মধ্যে রাগ বা হিংসা অথবা বিদ্বেষ পোষণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দিক।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শবে বরাতের মহান রাতেও ক্ষমা পাবেন না যে দুই ধরণের মানুষ’

আপডেট সময় : ০৯:৩১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলা পোর্টাল: শাবান মাসের মাঝখানের এই রাতটিকে বলা হয় শবে বরাত। বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে এ রাতে আল্লাহ মানুষের প্রতি তার রহমতের দরজা উন্মুক্ত করে দেন। ফলে এ রাতকে বলা হয় গুনাহ মাফের এক সুবর্ণ সময়। কিন্তু ২ ধরণের লোক আছে যারা এই রাতেও আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাবেন না।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বার বার নিজেকে ক্ষমাশীল বলেছেন। আর শুধু শবে বরাত না। প্রতি রাতেই মহান আল্লাহ অপেক্ষা করেন তার কোন বান্দা তার কাছে ক্ষমা চায়, তাঁকে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য। আবু হোরায়রা (র) থেকে বর্ণিত। মহানবী (স) বলেন, “আল্লাহ প্রতি রাতে প্রথম আসমানে নেমে আসে যখন রাতের দুই তৃতীয়াংশ অতিক্রম হয়। আর বলেন, “আমি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক। এমন কেউ কি আছে যে আমাকে ডাকে যার ডাকে আমি সাড়া দিবো? এমন কেউ কি আছে যে আমার কাছে কিছু চাইবে আর আমি তাঁকে তা দিবো? এমন কেউ কি আছে যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাঁকে ক্ষমা করে দিবো? সহীহ মুসলিম ]

অর্থাৎ, আল্লাহ প্রতিনিয়ত অপেক্ষায় থাকেন কখন তার বান্দা ক্ষমা চাইবে, কখন তার কাছে ফিরে আসবে আর তিনি ক্ষমা করে দিবেন। কিন্তু এমন দুই শ্রেণির লোক আছে, যাদের আল্লাহ ক্ষমা করেন না। মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, “মধ্য শাবানের রাতে, আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও অন্তরে রাগ পোষণকারীকে ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন।” [ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫৬৬৫]

হাদিসটিতে দুটি শ্রেণির কথা বলা হয়েছে। এক যারা আল্লাহর সাথে শিরক করে। অর্থাৎ, আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করে। আর এই গুনাহ খুবই মারাত্মক। যত গুলো কবীরা গুনাহের কথা আল্লাহ বলেছেন তার প্রথম ও প্রধান হচ্ছে শিরক।:

আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে যারা অন্য কারো প্রতি মনে রাগ বা ক্ষোভ ধরে রাখে। এই গুনাহটাকে এত মারাত্মক বলা হয়েছে কারণ, যখন কেউ কারো প্রতি ক্ষোভ বা রাগ ধরে রাখে তখন সে ব্যক্তি আল্লাহর রহমত বা ইবাদত নিয়ে ভাবতে পারে না। তার মনের মধ্যে শুধুমাত্র ঘৃণা আর বিদ্বেষ থাকে। এর ফলে সে ধীরে ধীরে আল্লাহ থেকে দূরে সরে যেতে থাকে।

তাই শবে বরাতের এই পবিত্র রাতে সম্পুর্ণভাবে আল্লাহর ক্ষমা প্রাপ্তির জন্য এক আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে। তারই ইবাদত করতে হবে। আর কারও প্রতি মনের মধ্যে রাগ বা হিংসা অথবা বিদ্বেষ পোষণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দিক।’